পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-সাহিত্যে বাংলার পল্লী-চিত্র শ্রীরাধামোহন ভট্টাচাৰ্য্য রবীন্দ্র-প্রতিভা সোনার কাঠি । যা ছুয়েছে তাই সোনা হয়েছে। রবীন্দ্র-সাহিত্য মণি-ভাণ্ডার । সে-ভাণ্ডারে অগণ্য অপরূপ মণি-মুক্ত ছড়ানো আছে বললে কম বলা হয়, বলা উচিত, মণি-মুক্ত দিয়ে তা ঠাসা, বোঝাই । আমার স্থির বিশ্বাস যে, রবীন্দ্র-সাহিত্যের কোন একটা দিক সম্বন্ধে আলোচনা করতে গেলে সব চেয়ে সুন্দর হয় খালি রবীন্দ্রনাথের সেই সম্বন্ধীয় কথাগুলি তুলে দেওয়া এবং নিজে কিছুই না বলা এবং হয়ত শেষ পর্যন্ত এক্ষেত্রে হবেও তাই, তবু নেহাৎ "আলোচনা কথাটার জাতিরক্ষার জঙ্গেও যা রবীন্দ্রনাথের নয় এমন কথা গোটকিয়েক অস্ততঃ বলতেই হবে, এই কথা মনে রেখে ভূমিকা শেষ করা যেতে পারে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথের শাসন ছিল তৃত্য-তন্ত্র । ছেলেদের খবরদারি করবার একটা অতিশয় সহজ এবং সরল উপায় তার বের ক’রে ফেলেছিল—তাদের একেবারে বাড়ির বাইরে যেতে-না-দেওয়া । সুতরাং বাড়ির বহিরট রবীন্দ্রনাথের শিশু-মনে বহুদিন ধরে একটা দুষ্প্রাপ্য আনন্দের উৎস ছিল । সে-আননের প্রায় সবটাই নিজের মনের মধ্যে গড়ে নিতে হ’ত অতি সীমান্ত মূলধন থেকে—চাকরদের হাত থেকে হঠাৎ পালিয়ে পাওয়া কোন গ্রীষ্ম-দুপুরে চুরি-করা অবকাশে, ছাদের আলিসার ওপর দিয়ে মুখ বাড়িয়ে, কিংবা তেতলার জানলার গরাদে দিয়ে বাড়ির পেছনের বাগন নামধারী যে ছোট রাজ্যটুকু দেখা যেত তারই চীনেবট, নারিকেলসারি, পাটবাধানো পুকুর আর ওপরের টুকরো টুকরো মেঘওড়া নীল আকাশের মধ্যে চিলের তীক্ষ ডাক থেকে । এইটিকে যে সামান্ত মূলধন বললাম, এ আমার বলবার ক্রটি ছাড়া আর কিছুই নয়, কারণ তখনকার সেই বন্দী শিশুর কাছে এই ছিল এক প্রকাও অনাবিষ্কৃত বিস্ময়ের রাজ্য। রবীন্দ্রনাথের মনের যে গুণ তাকে আমাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ব’লে প্রতিভাত করেছে তাই ছিল ঐ ছেলেবেলাকার বাড়ির পেছনের বাগানের বট-নারিকেলঘেরা পুকুরঘাটে পরী-রাজ্য খোজায় । যাক, যে কথা বলছিলাম। এই হ’ল রবীন্দ্রনাথের পল্লী-প্রকৃতির সঙ্গে প্রথম পরিচয় । যদিও জায়গাটা ছিল জোড়াসাকে, তাহলেও তখনকার কলকাতার ভেতরে ফাকে ফাকে এমন অনেক ছোট টুকরো ছিল যার সঙ্গে পল্লী বলতে যা বোঝায় তার কোন ভেদ ছিল না। রবীন্দ্রনখের নিজের কথাই বলি, তখন সহর আর পল্লী অল্পবয়সের ভাইবোনের মত অনেকটা একরকম চেহারা নিয়ে প্রকাশ পেত।’ এই পরিচয়টি কেমন ছিল তা পাই রবীন্দ্রনাথের একান্ন বছর বয়সের লেখা ‘জীবনস্মৃতিতে “জানালার নীচেই একটি ঘট-বাধানে পুকুর ছিল। তাহার পূর্ব ধারের প্রাচীরের গায়ে একট প্রকাগু চীনা-বট—দক্ষিণধীয়ে নারিকেলশ্রেণী ।” এই বটটির সঙ্গে তার বড়ই সখা, কিন্তু তার ঘন পাতার আবছায়ায় ঝুরি-নামা আধ-অন্ধকার স্যাতসেঁতে তলার মাটিতে অনিৰ্দ্দেশ্যের সঙ্গে একটু যে ভয়ের আমেজ আনত না তা বলা পায় না। এই বটকে লক্ষ্য করেই লেখা— নিশি দিশি দাড়িরে আছ মাথায় ল’য়ে জট, ছোট ছেলেটি মনে কি পড়ে ওগো প্রাচীন বট ? মনে কি নেই সারাটি দিন বসিয়ে বাতায়নে, তোমার পানে রইত চেয়ে অবাক নয়নে ? মনে হ’ত তোমার ছায়ে কতই কি যে আছে— কাদেয় যেন ঘুম পাড়াতে ঘুঘু ডাকত গাছে । মনে হ’ত তোমার মাঝে কাদের যেন ঘর, আমি যদি তাদের হতেম, কেন হ’লেম পর ?-পুরাণে বট ( কড়ি ও কোমল) “গণ্ডাবন্ধনের বন্দী আমি প্রায় সমস্ত দিন জালালার খড়গড়ি খুলির সেই পুকুরটাকে একথাম ছবির বহির মতন দেখিয়া দেখিয়া কাটাক্টর দিতাম। সকাল হইতে দেখিতাম প্রতিবেশীরা একে এক স্বান করিতে আসিতেছে । তাঁহাদের কে কখন আসিব আমার জান ছিল। প্রত্যেকের মানের বিশেষত্বটুকুও আমার পরিচিত। কেচুৰ ছুই কা আঙুল দিয়া ফুপৰুপ কৰিয়া ত্রুতবেগে কয়েকট ডুব পাড়ির চলি श३ऊ : ८कश्व धूत न ब्रि_शाभशग्न छल छूणिग्न घम षन भाथ ঢালিত ; কেহবা জলের উপরিভাগের মলিনত কটাইষার জন্ঠ বন্ধু-বার দুই হাতে জল কাটাইয়া লইয়া ছঠাৎ এক সময়ে ধী ক্ষীি छूत्रे गरुिङ : ८कश्त छग:इब्र नॅिम्नि श्रेंडर बिन फूभिकाश জলের মধ্যে বাপ জিয়া আত্মসমর্পণ কল্পিত ; কেহৰ জলের মধ্যে ।