পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষণ্ড) রঙ্গিল নায়ের মাঝি ৩৬১ ছটফট করিতে লাগিল। খুব বিষাক্ত সাপ নিশ্চয়ই— অন্ধকারে যতটা দেখা যায় সাপের চেহারা দেখিয়াই বনমালী তাহা বুঝিতে পারিয়াছে ! ক্ষতস্থানের ঠিক উপরেই বাধিয়া দেওয়া হইয়াছিল— কিন্তু হইলে কি হয়—লারা শরীর ক্রমে নীল হইয়া আসিতে লাগিল। চোখের দৃষ্টি ঘোলা হইতেছে ; সে কী যন্ত্রণাকাতর চীৎকার—অত যে লাজুক মেয়ে সে-ও গলা ছাড়িয়া আকাশ-বাতাস কঁপাইয়া চেচাইতেছে। দেখিতে দেখিতে ক্রমে এক ঘণ্টার মধ্যেই সব যেন ঠাগু হইয়া আসিতে লাগিল—বনমালীর চোখের সামনে তাহার কোলের উপর মাথা রাখিয়া সুষম মরিতে চলিল-•• তার পর সেই নৌকা করিয়াই যত শীঘ্র পারা যায় কাছাকাছি কোন গ্রামে তাহাকে আনা হইল—বচিাইবার চেষ্টা যথাসাধ্য হইল—কোথায় ডাক্তার কোথায় বদ্যি—ওই বে অনেক দূরে একটা কালো জঙ্গল মতন দেথিতেছ— ওইখানে শ্মশানে তাহাকে পোড়াইয়া বনমালী একলা নৌকা করিয়া ফিরিয়াছিল--- গল্প শেষ করিয়া বনমালী চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। আশা এতক্ষণ তন্ময় হইয়া শুনিতেছিল । বনমালী থামিতেই বলিল—তার পর ?•••বাশ বাজান সেই দিন থেকেই ছেড়ে দিলে ? - —সেদিন থেকে নয়—তার পরদিন থেকে—ম্ষমা মারা যাবার পর একদিন শুধু বাজিয়েছিলাম, তার পরদিন সন্ধ্যেবেলা— আশা ছেলেমানুষের মত কাছে খেধিয়া জিজ্ঞাসা করিল—কেন—সেদিন কি ছিল ?••• —তবে শোন-- সব কাজ শেষ হইয়াছে—ভোরবেলা শ্মশান হইতে ফিরিয়া বনমালী বাড়ি ফিরিয়া যাইবে। সমস্ত ঠিক বন্দোবস্ত হইয়া আছে। এমন সময় মাঝি আসিয়া বনমালীকে তাহার বঁাশীট-ফিয়াইয়া দিয়া গেল। বনমালী ভুলিয়া আগের দিন নৌকার উপরেই ফেলিয়া রাখিয়া श्रांजिग्रांछ्शि । यांकू, रँगै*ि शांtङ श्रांनिप्ङई यममांर्णी ঠিক করিল আবার একবার সেই চরে ধাইতে হইবে। দু-জন মাঝি ছড়ি আরও দু-জন লোক চলিল লাঠি".. г. .r به ميسوا جع শড়কি লইয়া । বিকালবেলা আবার সেই চরে গিয়া তাহার পৌছিয়াছে । আগের দিনের মত ঠিক সেই জায়গায় নৌকা বাধ হইল । সন্ধ্য আরম্ভ হইয়াছে কি হয় নাই— এমন সময়ে সেই দুটি লোককে লইয়া বনমালী চরে নামিল। একটু ঝোপ-জঙ্গলময় অথচ ফাকা জায়গা বাছিয়া লইয়া । বনমালী বঁাশ-হাতে সেখানে বসিল । দুটি লোক, তাহারাও বনমালীর দু-পাশে দু-জন বসিয়াছে ! কাশীর সুরে সেই সাপকে ডাকিয়া আনিয়া লাঠি দিয়া ঠেঙাইয়া হত্যা করা হইবে । যে সাপ সুষমাকে কমড়াইয়াছে তাহাকে আর পৃথিবীতে বঁচিতে দেওয়া উচিত নয়। তাহার নিকাশ করিয়া তৰে বনমালীর অন্ত কাজ। আবার বাশা বাজিতে লাগিল । তেমনি হরের মুর্ছনায় মীড়ে তানে অপরূপ হইয়া বনস্থলী সচকিত হইয়া উঠিল । বনমালীর বুকে যত বেদন যত কান্না আছে সব বাশীর ফুটাতে নিঃশেষে চালিয়া দিল। হৃদয়ের অন্তস্তল পর্য্যস্ত কে যেন বড় নিষ্করুণ ভাবে মোচড় দিতে লাগিল । সন্ধ্যার অন্ধকার যেন ধরণীর মাঝপথে আসিয়া বিহ্বল হইয়া পড়িয়াছে। কেহ আদিতেছে না। তাহার পাশের দুটি লোক দু-জোড়া সন্ধানী চক্ষু দিয়া আশে পাশে নজর দিতে লাগিল—কেহ ত আসিতেছে না । অন্ধকার তখনও তরল । সুর বিনাইয়া বিনাইয়া কঁদিতেছে। বনমালী মরীয়া হইয়া উঠিল—তাহার সমস্ত শক্তি একত্র করিয়া একমনে বাশী বাজাইয়া চলিল। বাশী বাজিতেছে— এখনই বুঝি আকাশ গলিয়া পড়িবে—নদীর জল সমস্ত বুঝি এখনই চর ভাসাইয়া লইয়া যাইবে—আরও—আরও করুণ করিয়া বনমালীর বাণী কঁাদিয়া চলিল— তিন জনেই দেখিল—ফল ফলিয়াছে••• সাপ আসিতেছে ; বনমালীর মনে হইল যেন ঠিক সেই সাপটাই ! আসিতেছে—আসিতেছে—আসিয়া পড়িল—; কিছু দূরে আসিয়া সাপ চুপ করিয়া দাড়াইয়া গেল। স্থির নিশ্চল মুর্ভির মত—কেবল স্বরের তালে তালে যেন একটু মাথা দোলাইতেছে ; উহার চোখে ঘোর লাগিয়াছে— মুরের নেশা উহাকে পাগল করিয়াছে--- লোক ছুটি ইঙ্গিতে পরম্পরে একসঙ্গে তৈরি হইতেছিল। জায় এমন সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়, লাঠি হাতে লইয় ঠিক হইতে যাইবে—এমন সময় বনমালী দেখিল সাপ একটি