পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ দিদির দুঃখ ৩৭৩ চুলের মাঝখানে নিটোল সুন্দর মুখের বড় বড় দুটি চোখের দৃষ্টি শচীর মন পড়িয়া যায়। মুখখানাই তার অমন, নইলে শরীরে তার কিছু নেই। জ্বরে ভূগিয়া ভূগিয়া অস্থিসার চেহারা, বুকের হাড় ক’খনি বুঝি গুণিয়া বলা যায়। কড়িগুলি ফিরাইয় দিলে তার বড়ই দুঃখ হইত, সনিশ্বাসে শচী মনে ভাবে । শচীর অদৃষ্ট প্রসন্ন। উপরের সেই ফিরিঙ্গি বদলি হইয়া গেল । এবীর বীরা আসিয়াছে তারা বাঙ্গালী । শচীদের মতই স্বামী-স্ত্রী দু-জন শুধু। কিন্তু তাদের জীবনধারা নীচের বাড়ির মত নিঃশব্দে বহিয়া যায় না । দাস-দাসীর কোলাহলে সে বাড়ি প্রাণময়। নিতাই উৎসব চলিয়াছে যেন ! উহাদের দেখিতে শচীর কৌতুহল হয় কিন্তু সাহস হয় না, সমপদস্থ না-হইলে নাকি আলাপ করে না কেউ,-অনিল বলিয়াছে ! তবু অজ্ঞাতে চোখ কেমন করিয়া উপরের দিকে যায়। এইরূপে একদিন বাতায়ন-পথে এক কিশোরীর সুন্দর মুখের আভাস পাইয়া চোখ নীচু করিতেই শুনিতে পাইল, “চেয়ে দেখই মা ভাই, তোমার চেয়ে এতই কি বিচ্ছিরি দেখতে ?” শচী সপুলকে হাসিয়া বলে, কি যে বলেন ! ইহার পরে উপরের জানালায় পাতার আড়ালের উজ্জ্বল গোলাপটির মত সে কিশোরীর মুখ অহরহই ফুটিয়া উঠিত। কিন্তু চেচাইয়। কতক্ষণ কথা বলা যায় ? বাধাহীন আলাপের জন্ত উপরের বৌটি ছুটিয়া আসিত ! অনেকটা পথ,— দুখন বাড়ি যেদিকে, রাস্তা সেদিকে নয় । পাহাড়ের অন্তদিকে ছায়াচ্ছন্ন ঢালুপথে নামিয়া অনেকটা পথ ঘুরিয়া তবে তাহাকে আসিতে হয় । আলাপেও সে-ই পটু। অপ্রতিভ শচীকে লজ্জা দিতে সেই বলে,-বগতে দেবে না ভাই ? আপনি, আজো, বলা আমার চলবে না— আগেই বলে রাখছি কিন্তু । তোমার নামটি কি ভাই ? বোটির অসঙ্কোচ আলাপে পরিতুষ্ট শচী হাসিয়া বলে, আগে নিজের নামটি বলতে হবে ষে। অপর তখন চৌকী টালির স্বচ্ছল হইয়া বসিয়াছে। শীর কৃষ্ঠার ভাব তাছার মিষ্ট লাগে, চোখে মুখে হাসির ময় বর্ষণ করিয়া সে বলে,--শঁতভাঙা নাম গুনতেই হবে ?-- বলে তাহলে চেষ্টা করে-ইঙ্গাণী— नर्थक बांभ 1 চেহারায় স্বভাবে মিলাইয়া কে এমন নাম রাখিয়ছিল ? নিজের নাম যেন শচীর উপহাস বলিয়াই মনে হয় । শৈশবে তার মুখে কি বৈশিষ্ট্য দেখিয়াই যে মা নাম রাখিয়ছিলেন, শচীরাণী । সে নামে শচীর দিন-fদন কুষ্ঠা বাড়িয়া চলিয়াছে রাণী হইয়াও বিয়ের বেলায় তার বীপ-মাকে বিন্দুমাত্র কম লাঞ্ছনা দেয় নাই ! তবু সেই নামই শচীকে বলিতে হয়।—শচী, ওমা, কি আশ্চৰ্য্য মিল, দ্যাধে! তুমি আমি একই লোক তাহলে । ইন্দ্রাণীর আনন্দ ধরে না, বলে, এতদিনে এক হলুম আবার । তুমি ভাই নাম করতে পাবে না আমার ; নিজের নাম বলে কি কেউ ? এস মিলন পাতাই আমরা,—কি বল ? হ’লব পুরনো তবু কেমন মিষ্টি,—শচী খুশী হইয়াই পাতানে ডাকটি মানিয়া লয়। এতটা তার সাহসই হইত না । তারপর চলে অজস্র গল্প । যাওয়ার বেলায় আবার দেখা হওয়ার অনুরোধ। ইন্দ্রাণী বলে,—একটিবার তুমিও আসবে ভাই ; নইলে ক্যাংলা বলে আমায় বডই ঠাট্ট করবে যে! ইন্দ্রাণী চলিয়া যায়, কিন্তু তার সস্নেহ হাদয়ের মধুসৌরভ শচীকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে। কি মিষ্টি তার কথাগুলি, নিংড়াইয়া মৃধা ছানিয়া লয় শচী। সখীত্বর বন্ধন ক্রমেই নিবিড় হইয়া আসে—স্তব্ধ মধ্যাহ্ন আর শচীকে নদীর দিকে চাহিয়া কাটাইতে হয় না । সর্থীর হাসি কথা তহিকে ঘিরিয়া থাকে এখন। ইন্দ্রাণীর স্নেহময় স্বভাব শচীর জীবনে ইন্দ্রলোক আনিয়! দিয়াছে যেন । +. হাসাইতেও ইন্দ্রাণী ওস্তাদ । কখনও স্বামীর চালচলন তার বর্ণনার বিষয় হইয় পড়ে । অশোকের সামান্ত ক্রটি লইয়া এত সে রং ফলায় —হাসিয়া ক্লাস্তু শচী বাধ্য হইয়া বলে-থামো ভাই, স্বামীকে অত বিদ্রুপ করতে নেই।-- —ই, হেসে নিলে কেমন ! আবার বাড়ি গিয়ে তোর কথাও বর্ণনা করব –গেকি ভাই ? সত্ৰালে শচী বলে,--- আমি আবার কি অপরাধ করলাম ? : , -দাই তোমারই ক্ষে কোন ধুই નિર ! હરે