পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাৰেই ডাক্তার এল। ওষুধপত্রও হ’ল। দাদাকে পত্র দিলাস পরদিন সকালে । আমায় নিয়ে খুব হৈ চৈ হ’ল । জ্যাঠাইমা জামায় রান্নাঘরের দাওয়ায় বসে খেতে দেবেন না--অtমি জাতবিচার মানি নে, বাগদি-স্থলে সবার হাতে খেয়ে বেড়াই, এ-সব কথা কে এসে গায়ে বলেচে । নানা রকম অলঙ্কার দিয়ে কথাটা রাষ্ট্র হয়েচে গীয়ে । মায়ের অবস্থা শেষরত থেকে বড় খারাপ হ’ল । সকালে আমাকে আর চিনৃতে পারেন না—ভূল বকৃতেও লাগলেন। সন্ধ্যার সময় একটা মিটমিটে টেমি জলচে ঘরের মেজেতে—আমি এক বসে আছি মায়ের শিয়রে, এমন সময়ে বাইরে উঠোনে একখানা গরুর গাড়ী এস দাড়াবার শব্দ হ’ল। একটু পরেই ব্যস্তসমস্ত ভাবে মাটিতে অ’াচল লুটোতে লুটোতে সীতা ঘরে ঢুকল । আমায় দেখে বললে, ছোড়দা ? মা কেমন আছেন ছোড়দা ? আমি ওর দিকে চেয়ে রইলাম। সীতা একেবারে বদলে গিয়েচে, মাথায় কত বড় হয়েচে, দেখতেও কি সুন্দর হয়েচে–ওকে ধেন চেনা যায় না আর । মাকে বললাম--মা, ওমা, সীতা এসেচে,— ম চাইলেন, কি বললেন বোঝা গেল না । বুঝতে পারলেন না যে সীতা এসেচে। সীতা খুব শক্ত মেয়ে। সে কেঁদেকেটে আকুল হয়ে পড়লো না। আমায় বললে—দাদা, আমার বালাজোড়াটা দিচ্চি, তাই দিয়ে তাল ডাক্তার নিয়ে এস। এখানকার হরিডাক্তার তো ? তার কাজ নয় । আমি অক্ষমতার লজ্জায় কুষ্ঠিত সুরে বললাম—তার পর তোর শ্বশুরবাড়ির লোকে তোকে বক্বে। সে কি ক’রে श्झ--- সীতা বললে—ইল বক্বে কিসের জন্তে, ৰাল! কি ওদের ? মায়ের বলি, মা দিয়েছিলেন বিন্ধের সময় । বাবা গড়িয়ে দিয়েছিলেন মাকে । ভূমি বলা নিয়ে যাও, তার পর ওরা যা বলে বলবে- , . 控。 * . এই সময় সীতার স্বামী স্বরে ঢুকল । আমি যে-রকম eBB BBB BBBBS BD DS BBC BBBS বোধ হয় श्रुटि-वङ्गीof 然、 ఫిలి কালে তো বটেই, পেটমোটা, বোধ হয় পিলে আছে, কাঠখোট্ট গড়ন, চোয়ালের হাড় উচু—গায়ে একটা ছেলেমানুষের মত ছিটের জমি, একটা রাঙা আলোয়ান, পারে কেম্বিসের স্কুতো। আমায় দেখে দাত বার ক’রে হেসে বললে—এই যে ছোটবাবু না ? কখন আসা হ’ল ? বড়বাবু বুঝি এখনও আসবার ফুরসৎ পান নি- তার পর, অমুখটা কি ?--•এখন কেমন আছেন ? * তার পর সে খানিক ক্ষণ বসে থেকে বললে—কা ভোমরা। আমি ভাগইমাদের সঙ্গে দেখা করে আলি– একটু চায়ের চেষ্টা দেখা যাক, গরুর গাড়িতে গা-হাওঁ ব্যথা হয়ে গিয়েচে । '. ওর কথার ভঙ্গিতে একটা চাষাড়ে ভাব মাখানে । এই লোকটা সীতার স্বামী ! সীতার মত মেয়ের ! সীতাকেও আমরা সবাই মিলে উপেক্ষা করেচি । এই সময় হঠাৎ শৈলদিদির কথা আমার মনে পড়ল । শেয়ালদ’ ষ্টেশনে ছোট-বৌঠাকুরুপ বলেছিলেন শৈলদি এখানেই আছে। সীতার বালীজোড়াটা নেবো নী— ওকে ' তার জঙ্গে অনেক দুঃখ পোয়াতে হবে সেখানে, ও যে-রকম চাপা মেয়ে, কোন অভিধোগ করবে না কখনও কারু কাছে ৷ শৈলদিদির কাছ থেকে টীকা ধীর নেবো, মায়ের অসুখের পরে যে-ক’রে হোক, দেন শোধ হবেই। একবার বাড়ির মধ্যে গিয়ে দেখি সীতার স্বামী ওদের রান্নাঘরে বসে হু কো-হাতে তামাক খেতে খেতে খুব গল্প জমিয়েচে—আমার খুড়তুভে জ্যাঠতুতো ভায়েদের সকলেরই প্রায় বিয়ে হয়ে গিয়েচে এবং বৌয়ের সকলেই সম্পর্কে ওর শালজি—তাদের সঙ্গ । 嘛 রাত দশটার সময় শৈলদিদি এসে হাজির। আমাশদেখে বললে—এই ষে সক্লিসি-ঠাকুর ফি-র এলে দেখটি । এই ষে সীতা--এস এস, সাবিত্ৰী সমান হও, কখন এলে ভাই ? আমি শুনলাম এই থানিকট মাগে, আমাদের ও-পাড়ায় কে খবর দেবে বল । আমি আর সীতা শুধু ঘরে মায়ের পাশে বসে। সীতার স্বামী থেয়ে দেয়ে গুয়েচ, অবিপ্তি সে বসে থাকতে চেয়েছিল—আজি বলেছিলাম তার দরকার নেই। তুমি খেয়ে একটু বিশ্রাম কর-দরকার হয় ডাঙ্কুর রাত্রে ।