পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅՂՆ .৫ প্রবাসনা ; ఎSD8ు দেখা করলাম। সামান্ত ব্ৰণ থেকে দাদার মুথে হয়েছে খারাপ—একবার রেসিডেণ্ট মেডিকেল অফিসারকে BBBBBS BB BBBB BBB BBS BB BBBB S BBB S BBB BBS BBB BB S BB BBB দাদা আমায় দেখে শরীরে যেন নতুন বল পেলে । সন্ধ্যা পর্য্যস্ত হাসপাতালে বসে রইলাম দাদার কাছে । দাদা বললে, এখানে বেশ খেতে দেয় জিতু। রোজ প্রতিবেলায় একখানা বড় পাউরুটি আর আধ সের ক’রে দুধ দিয়ে যায়। দেখিস এখন, এখুনি আনবে । খাবি রুটি একথানা ? পরদিন সকালে আবার গেলাম হাসপাতালে । আঙুর কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম, বৌবাজারের মোড় থেকে, দাদাকে ব’সে বসে খাওয়ালাম । পুরের আগে চলে আসছি, দোর পর্য্যস্ত এসেছি, দাদা পেছু ডাকলে—জিতু, শোন । দাদা বিছানার ওপর উঠে বসেছে—তার চোখ দুটিতে যেন গভীর হতাশা ও বিষাদ মাখানে । বললে—জিতু, তোর বৌদিদি একেবারে নিপাট ভালমানুষ, সংসারের কিছু বোঝে না। ওকে দেখিস– আমি বিস্ময়ের সঙ্গে বললাম-ও কি কথা দাদা ! তুমি সেরে ও, তোমায় বাড়ি নিয়ে যাব, তোমার সংসার তুমিই দেখবে। দাদ। চুপ ক’রে রইল । বিকেলে দাদার ওয়ার্ডে ঢুকবার আগে মনে হল দাদা ত বিছানাতে বসে নেই 1 গিয়ে দেখি দাদা আগাগোড়া কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে । মাথার কাছে চার্টে দেথি জর উঠেছে ১০৪ ডিগ্রির ঘরে । পাশের বিছানার রোগী বললে—আপনি চলে যাবার পরে খুব জর এসেছে । কোন কথা বল্তে পারেন নি, আপনি আস্বার আগে ডেকেছিলাম, সাড়া পাই নি। সেদিন সারাদিন তেমূনি ভাবে কেটে গেল। পরদিনও তাই, দাদার জ্ঞান আর ফিরে এল না—জরও কমূল না, পরদিন রাত্রে আমি রোগীর কাছে রইলাম । ওঃ, কি বর্ষা সে রাত্রে l ঘনকৃষ্ণ শ্রাবণের মেঘপুঞ্জে আকাশ ছেয়ে গিয়েছে, নির্ণিরীক্ষ্য অন্ধকারে কোথাও একট। তার চোখে পড়ে না । একখানা বই পড়ছিলাম দাদার বিছানার ধারে বসে। রাত বারোটায় একবার নার্স এল। আমি তাকে বললাম—রোগীর অবস্থা দেড়ট । বাইরে কি ভীষণ মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে। আকাশ ভেঙে পড়বে বুঝি পৃথিবীর ওপরে—স্থষ্টি বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে । একজন ছাত্র এসে রোগী দেখে বললে—ইনজেকশন দিতে হবে । আমি বললাম—বেশ দিন— তার পর আমি বাইরে এসে দাড়ালুম। ঘন মেঘে মেঘে আকাশ অন্ধকার । হাসপাতালের বারানাতে কুলির ঘুমুচ্ছে । টিটেনাস্ ওয়ার্ড থেকে অনেক ক্ষণ থেকে আৰ্ত্ত পশুর মত চীৎকার শোনা যাচ্ছে—একবার সেটা থামৃছে, আবার জোরে জোরে হচ্ছে । ডিউক-অফুকনট, ওয়ার্ডে মেম নার্সটা ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরাঙ্গাতে । বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হুড, লাইট জালিয়ে একখানা মোটর এসে ওয়ার্ডের সাম্নে দাড়াল । সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট তদারক করতে এসেছেন। দাদাকে তিনি দেখলেন। নার্সকে কি বললেন । ছাত্রটিকে ডেকে কি জিগোস করলেন। ছাত্রটি আর একটা ইন্‌জেকশন দিলে । রাত আড়াইট । বৃষ্টি আবার সুরু হয়েছে । হাসপাতালের বারানায় ওদিকের আলোগুলো নিবিয়ে দিয়েছে—অনেকটা অন্ধকার । দাদার সঙ্গে অনেক কথা বলবার ইচ্ছে হচ্ছিল । ছেলেবেলাকার কথা, দার্জিলিঙের কথা । সেই আমরা কার্ট রোড ধ'রে উমৃল্লাং-এর মিশন-হাউস্ পর্যন্ত বেড়াতে যেভূম, মনে আছে দাদা ? একদিন থাপা তোমাকে আমাকে কাদার পুতুল গড়িয়ে দিয়েছিল ! মুরগীর ঘরে লুকিয়ে তুমি আর আমি মিছর চুরি করে সরবৎ খেতুম ? তুমি দোকান করলে আটঘরাতে বাবা মারা যাওয়ার পরে পাচ সের মুন, আড়াই সের আটl, পাচ পোয়া চিনি নিয়ে—সবাই ধার নিয়ে দোকান উঠিয়ে দিলে ! বৌদিদিকে কি বলব দাদা ? এবার এসে দাদার খাটের পাশে বসে রইলাম। একটানা বৃষ্টিপতনের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। মাঝে মাঝে কেবল টটেনাস্ ওয়ার্ড থেকে বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়েও