পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যাঠাইম ঘড় বার ক’রে দিয়েচেন দাওয়াতে । বৌদিদি নিয়ে এলেচে। কিন্তু বুঝতে পারে নি ব্যাপারটা কি, বুদ্ধিমতী মেয়ে হ’লে তখনই বুঝত । এ-কথা তখন সে কাউকে বলে নি । পরদিন মেজকীক আমায় ডেকে বললেন—একটা কথা আছে শেলি । তোমার মায়ের কাজটা এখানে না ক’রে অন্ত জায়গায় গিয়ে করো । মানে তোমার দাদার বৌয়ের এখানে তো পাকস্পর্শ হয় নি, বড়দাদাও নেই বড়ি—এ-অবস্থায় শ্রীদ্ধের সময় কেউ খেতে আসবে না। তোমার দাদার বৌকে আমরা সে-ভাবে ঘরে তো নিই নি ? এই বুঝে যা হয় ব্যবস্থা করে । ব’লো তোমার দাদাকে । তলীয় তলায় এরা সীতার স্বামী গোপেশ্বরকে কি পরামর্শ দিয়েচন জানি নে, সে হঠাৎ বেঁকে দাড়িয়ে বললে চতুর্থীর শ্রদ্ধ সীতাকে বাড়ি নিয়ে গিয়েই করবে—অথচ আগে ঠিক হয়েছিল চতুর্থীর শ্রদ্ধ এখানেই হবে। কালই শ্রীদ্ধের দিন, সুতরাং আজই সে সীতাকে নিয়ে যেতে প্রস্তুত হ’ল । এর কোনও দরকার ছিল না, সীতা এথানে শ্রাদ্ধ করলে তাতে কোন দেয সমাজের মতেও হবার কথা নয় –কিন্তু সে কিছুতেই কথা শুনলে না। এই অবস্থায় বৌদিদিকে পেয়ে সীতা অনেকটা সাত্মনা পেয়েছিল—কিন্তু সে ওদের সইল না। বৌদিদির সঙ্গে সীতার বেণী মেশামেশিট যেন গোড়া থেকেই আমার ভগ্নীপতি পছন্দ করে নি। নিজেই হোক আর ওদের পরামর্শেই হোক । যাবার সময় সীতা বৌদিদির গলা জড়িয়ে কঁদিতে লাগল। অামায় আড়ালে বললে--ছোড়দা আমায় বনবাসে ফেলে রেখে ভুলে থেকে না যেন, মাঝে মাঝে আসবে বল ? আর শোনে, বৌদি বড় ভালমানুষ, ও এখনও জানে না যে ওর জন্তেই মায়ের কাজ এখানে করতে দিচ্চে না ওরা। এ-কথা যেন বৌদিদির কানে না যায়, ব’লে দিও দাদাকে । - বৌদিদিকে বুঝিয়ে দেওয়া হ’ল এখানে শ্রাদ্ধ করতে খরচ বেশী পড়বে, কারণ জ্যাঠামশায়দের নাম শ্ৰেণী, , cशांकछन निभङ्ग* कब्रहङ * इग्न आग्ननग्न । श्रृंलांडेंौरब्र শ্রান্ধের কাজ করলে অনেক কম খরচ হৰে । বৌদিদি তাই ১& যাবার সময় আমাদের ঘরের ; চাবীটা ছোটকাকীমার হাতে দিয়ে বললুম—এ-বাড়িতে আর কাউকে আপন ব’লে জানি নে, কাকীমা। সীতার খোঁজখবর মাঝে মাঝে একটু নিও–ওর তো এ-বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক একরকম মিটেই গেল । ছোটকfকীমার চোখে জল এল । বললেম—সামরি কোন ক্ষমতা নাই, নইলে নিতুল বেীকে এবাড়ি থেকে অাজকে অন্ত জায়গায় যেতে বলে ? আমি বললুম—সে-কথা বলে না কাকীমা । আমরা এখানে এসেছিলাম প্রার্থী হয়ে, পরের দয়ার উপর নির্ভর করে। এখানে কোন অধিকার নেই আমাদের । " কাকীম বললেন—তুই ওকি কথা বলচি জিতু ? এ তোদের যে সাতপুরুষের ভিটে। জায়গা-জমি আর দুখীন ইট থাকলেই বা কি আর গেলেই বা কি ? এ ভিটেতে হারুর কি যোগেশের যে অধিকার, তোদের দু-ভায়ের অধিকার তার চেয়ে এক চুল কম নয়। ছোটকাকীমার এক মূৰ্ত্তি দেখেছিলাম বালো, এ আর এক মূৰ্ত্তি। এই এক জনই এ-বাড়ির মধ্যে বদলে গিয়েচে একেবারে । গাড়ীতে যেতে যেতে সেই কথাটা বার-বার মন হচ্ছিল । অষ্টম পরিচ্ছেদ . . . > মাস পাঁচ ছয় পরে ঘুরতে ঘুরতে একবার গেলাম দাদার বাড়িতে | দাদা ছিল না বাড়ি, বৌদিদি বাটনা-মাখা হাতে ছুটে বার হয়ে এল—আমার হাত থেকে পুটুলিটা নিয়ে বললে. —এস এস ঠাকুরপো, রদ রে মুখ রাঙা হয়ে গিয়েচ একেবারে । কই, আসবে বলে চিঠি দেও নি তো ? তা হ’লে একখানা গরুর গাড়ী ষ্টেশনে যেত । , তখনই বৌদিদি চিনি ভিজিয়ে সরবৎ ক’রে নিয়ে এল । খঙ্গলে—ঠাকুরপো তোমার মারা নেই শরীরে । এত্ত দেরি ক’রে জালত হয় ? উনি কেবল বলেন তোমার কথা । বিকেলে জাম্বা এল। অামার পেয়ে যেন হাতে স্বর্গ পেল। কিলে আমার মুথ-জুবিধে হযে, কিলে আমার