পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাম বস্ত্র, চামড়ার কারখানার পরিত্যক্ত অংশ, নরবিঃ প্রভৃতি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কথঞ্চিৎ পরিবর্তিত হইয়া সাররূপে दिङ्गी झम्न । रुज बांछ्णा, ५४शि ठाँवर्किनाभांढ़, किडू রসায়ন-বিদ্যা এই জঞ্জাল শুধু দূর করিবার উপায় বাহির করিয়াই নিবৃত্ত হয় নাই—এগুলি হইতে অর্থাগমের ব্যবস্থt ও করিয়াছে । সুলভ বলিয়া সে দেশের কৃষকগণ জমির সার যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করিয়া থাকে । সরিযেtগে জমির উৎপাদিকা শক্তি কেমন অবিশ্বাস্য রকমে বৃদ্ধি পায়, একটি দৃষ্টান্ত দিলেই তাহা বুঝা যাইবে । বিলাতী বেগুন নদিকে আগাছার মত অপর্যাপ্ত জন্মে। কিন্তু এ-পর্য্যন্ত বছরে প্রতি একরে নয় টনের বেশী পাওয়া যায় নাই । ইংলণ্ডের ওয়ালথম-ক্রসে পচা ঘাস সার দিয়া এক একর জমিতে পঞ্চাশ টন উৎপন্ন করা হইয়াছে । আর আমেরিকার এক জায়গায় উৎকৃষ্ট তম সার দিয়া একই পরিমাণ জমিতে এক বছরে অtঠার হাজার টাকার বিলাতী বেগুন উৎপাদন সম্ভব হঠয়াছে । আমাদের দেশে মোটর গাড়ী ও দ্বিচক্র যানের আমদানীর পরিমাণ দ্রুতবেগে বৃদ্ধি পাইতেছে । রবারটারার-ওয়ালা ঘোড়ার গাড়ীর সংখ্যাও নিতান্ত কম নয় । ছেড়া টায়ারের পরিমাণও তদনুপাতে বাড়িয়ছে। এ-দেশে অষ্টান্ত অকেজে জিনিষের ষ্ঠায় ইহা আবর্জনাস্ত,পে স্থান লাভ করে । কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকায় এই সকল অব্যবহার্য টায়ার নূতন রবারের সঙ্গে মিশ্রিত করিয়া নুতন টায়ার প্রস্তুত হইতেছে। পরীক্ষাদ্বারা দেখা গিয়াছে শতকরা পচিশ ভাগ পুরাতন রাবার মিশাইলে তৈয়ারী টায়ার কিছুমাত্র কম-টেকসই হয় না । বস্তুত:, সেগুলি যে পুরাতন টায়ার সংমিশ্রণে প্রেস্তুত হইয়াছে তাহাও ধরা শক্ত । ১৯২৬ সালে শুধু আমেরিকায় ৯২,০০০ টন পুরাতন টায়ার এই ভাবে কাজে লাগান হইয়াছে । আঙ কাল কৃত্রিম রবার প্রস্তুত হইতেছে সত্য, কিন্তু এই ভাবে অপচয় নিবারণ করিতে না-পরিলে তাহা সত্ত্বেও টায়ারের দাম বাড়িয়া যাইত সন্দেহ নাই । লৌহ ও স্বর্ণের বিবাদ আমরা ছোটবেলায় কবিতায় পড়িয়াছি । তার পর যান্ত্রিক সভ্যতার প্রসবি ও উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে লৌহের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়া গিয়াছে। অপচয়-নিবারণে রসায়ন-বিদ্যা 8>位 বস্তুতঃ, লোহ এবং কয়লা—এই দুইটি অত্যাবস্তক জিনিষের জন্ত পরমুখাপেক্ষী হইতে হইলে জাতির ভবিষ্যৎ, ঘোর অন্ধকারময়। হাজার হাজার টন লোহা টাটার কারখানায় দৈনিক প্রস্তুত হইতেছে । আর তৎসঙ্গে প্রভূত পরিমাণে ভস্মাবশেষ ( slag ) কারখানার চারিদিকে স্ত,পীকৃত হইতে:ছ। বিশ বছর আগেও লৌহনিৰ্ম্মাতারা এই ভষ্মের কি উপায় করা যায় তাহা ভাবিয়া পাইতেন না । চারি দিকে ইহা বিক্ষিপ্ত করিয়া জমির উৰ্ব্বর শক্তি নষ্ট করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। ফলে চতুপার্থের জনপদের নাম হইয়াছিল কৃষ্ণদেশ ( Black Country ), কিন্তু রাসায়নিক এ সঙ্কট হইতে তাহাদিগকে ত্ৰাণ করিয়াছে । অtঞ্জকাল এই ভস্ম হইতে বহুল পরিমাণে পোর্টল্যাণ্ড সিমেন্ট প্রস্তুত হইতেছে । গত যুদ্ধের পর হইতে ইহা রাস্ত-নিৰ্ম্মাণ ও অন্তান্ত কাজের জন্ত কন্‌ক্ৰিট (concrete) প্রস্তুত করিতে ব্যবহৃত হইতেছে । বলা অনাবশ্বক, কারখানার মালিকগণ শুধু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন নাই, আয়র একটা নুতন পন্থা হওয়ায় উৎফুল্লও হইয়াছেন। দার্শনিকদের মতে আবর্জনা মানে অস্থানে কোন দ্রব্যের অবস্থিতি । বস্তুতঃ যেখানে যে-fজনিষের কোন প্রয়োজন নাই সেখানে তাহা থাকিলেই তাহাকে আমরা জঞ্জাল বলি। যথোপযুক্ত ক্ষেত্রে স্থানান্তরিত করলেই তাহ আবার মূল্যবানু কাচামালে পরিণত হয় এবং তাহ হইতে দামী জিনিষ প্রস্তুত হইতে পারে। ‘Waste not, want not off votests, Coe Robi মানিয়া চলে আমরা ততটা চলি না, আর সেই জন্তই কমলার কৃপাকটাক্ষ তাহদের ভাগ্যে লাভ হইয়াছে । আংশিক পচা ফল আমরা নর্দমায় ফেলিয়া দি । কিন্তু সে-দেশের লোকের তাহা হইতে রাসায়নিক উপায়ে 'পেকটিন’ বাহির করিয়া লয় এবং তাহা দিয়া নানা প্রকার ফলের আচার তৈয়ার করিয়া থাকে। সুদৃষ্ঠ বিলাতী বোতলে অগ্নিমূল্যে আমরা সেই সব কিনিয়া থাকি। স্বক্ষদৃষ্টিতে দেখিতে গেলে বাতাসের নাইট্রোজেনও সেদিন পর্য্যন্ত অব্যবহার্য্য দ্রব্যের পর্য্যায়ভুক্ত ছিল । বায়ুমণ্ডলের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ নাইট্রোজেন । অক্সিজেন-তরলীকরণ ( dilution ) ছাড়া আর কোন কাজেই ইঙ্ক লাগিত না । যুদ্ধের সময় বাতাসের নাইট্রোজেন জাৰ্ম্মান বৈজ্ঞানিক হাবার হাইড্রোজেন