পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মান্তন বঙ্গের পট-চিত্র gs বায় ২৫০০০ টাকা দানশীল স্বদেশহিতেচ্ছ দান করিবেন। ধিনি এই টাকা দান করিবেন প্রত্নভবন তাইরি নামে আখ্যাত হইবে ধিনি ৫০০০ টাকা দান করিবেন, তিনি ‘গোপ্ত’ নাম পাইখেন, এবং ভবনের এক কক্ষ তাইরি নামে আখ্যাত হইবে । বিক্সি ১০০০ টাকা দিবেন, তিনি ভবনের পোষ্টা ; এবং যিনি ৫০০ টাকা দিবেন, তিনি মিত্র নামে পরিচিত হইবেন । ইতিমধ্যে প্রত্নভবন নিমিত্ত কিছু কিছু দান প্রতিশ্রত হইয়াছে। কেহ কেহ এই দান লইয়া পুর্থী সংগ্ৰহ গৃহ না হইলে ধর্ম রক্ষ হইবে না । পুর্থীর স্বামী কি দেখিয়া কাহাকে দেখিয়া তাছার বংশের ক্রমায়াতরিকৃথ কেfথয় দ্যস্ত করিবেন ? কে লগ্নক হইবেন ? এদিকে যত দিন যাইতেছে, শিলাপ্রতিমা ও পুর্থীও তত নষ্ট ও স্থানান্তরিত হইতেছে। এই সঙ্কটে পড়িয়া বাঁকুড়া সারস্বত-সমাজ ঠাকুড়'বঙ্গী ও স্বদেশবাসী বদান্ত ও বিদ্যোৎসাহীর নিকটে ২৫০০০ টাকা প্রার্থনা করিতেছেন। আপনাদের শিববুদ্ধি হউক, দেশের মুখ উজ্জ্বল হউক । করিতে বলিয়াছেন । কিন্তু পুর্থীকে অমূল্যনিধি মনে ਾਂ | ত্ৰযোগেশচন্দ্র রায়, করিয়া তাহ রক্ষা করিতে হইবে। সমাজের নিজের , লীলাৰ প্রত্নভবন অনুষ্ঠানের অনুধেীজক – বঙ্গের পট-চিত্র শ্ৰীঅজিতকুমার মুখোপাধ্যায় ভারতে বৌদ্ধযুগকে জাগরণের যুগ বলিল বোধ হয় অত্যুক্তি হইবে না, কেন-না, বৌদ্ধযুগে ভারত সৰ্ব্ববিষয়ে— চিত্রে, ভাস্কর্যো, স্থপতি-কলায় ঘেরূপ উন্নত হইয়াছিল সেরূপ বিকাশ আর কোনও যুগে দেখা যায় না। এই কারণে বাংলার চিত্র-পরিচয় দেওয়ার পূৰ্ব্বে বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলার সম্বন্ধ কিরূপ ছিল তাহার আলোচনা একস্তি প্রয়োজন । বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রচারিত হওয়ার পর ভারতের অন্তান্ত অংশের তুলনায় পূৰ্ব্ব-ভারতেই প্রথম অধিকাংশ লোক বৌদ্ধমত গ্রহণ করিতে থাকে। এমন কি আফগানেরা যখন বাংলা আক্রমণ করে তখন পূৰ্ব্ব-ভারতের অধিকাংশ লোকই বৌদ্ধ ছিল । তাহারও পূৰ্ব্বে পাচ শত বৎসর ধরিয়া বেীদ্ধের বাংলা ও বিহারে রাজত্ব করিয়াছিলেন । সেনের ইহার মধ্যে এক শত বৎসর ধরিয়া বাংলার একাংশে রাজা ছিলেন মাত্র এবং বল্লাল সেন যখন তাহীদের সংখ্যা গণনা করেন তপন বাংলায় দুই হাজার ঘর মাত্র ব্রাহ্মণ ছিল । পালের বৌদ্ধ ছিলেন । বাংলা ও বিহারে রাজত্ব বাতীতও অন্ত অনেক দেশ তাহদের অধিকারে আসে। এক শত বৎসর ধরিয়া তাহারা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত-প্রদেশ হইতে গোদাবরীর মুখ পর্যন্ত আপনাদের আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। সমস্ত ভারত যখন বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সংস্পর্শে আসে নাই তখন বাংলায় রীতিমত বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা আরম্ভ হইয়া গিয়াছে। তাহকে ভিত্তি করিয়াই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর পৃথিবীর নানাস্থানে বৌদ্ধমত প্রচার করিতে থাকেন। বাংলার ও মগধের বৌদ্ধ সাহিতা, বৌদ্ধ ব্যাকরণ, এবং বৌদ্ধকোষ, বৌদ্ধ শাস্ত্র, বৌদ্ধ দর্ণ বৌদ্ধ শিল্প ও বৌদ্ধ সভ্যতা সমস্ত ভারতে বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল। (vহরপ্রসাদ শাস্ত্রী লিখিত প্রবন্ধ, ভারতবর্ষ )। এই সময় বৌদ্ধ শিল্প, ভাস্কর্য, স্থপতি-কলা বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সহিত যুক্ত হইয়া দিগ্বিজয় করিতে চুটিয়াছিল এবং ইহার