পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র দিৰণস্বপ্ন eهسى উৎপাতে তাহার ঘুম হয় না । সারা দিন ভূতের মত খাটবে, আবার রাত্রে উহাদের চীৎকার উপভোগ করিবে, অত সথে আর কাজ নাই । বিনোদিনী অবগু খাটে তাহার চেয়ে বেশী, কিন্তু সে একে মেয়েমানুষ তাঁহার উপর তাহার খাটুনিতে পয়সা আসে না, সুতরাং তাহার পরিশ্রমকে কেহ থাতির করে না । ভাত বাড়িয়া অনিয়, প্রকাশের ঘরেই আসন পাতিয়া বিনোদিনী জায়গা করিয়া দিল। জামা-জুতা ছাড়িয়া, আপিসের ধুতিখানিও বদলাইয়া প্রকাশ আসিয়া খাইতে বসিল । বিনোদিনী সামনে মাটিতে বসিয়া খাওয়া দেখিতে গিল । স্বামীর থাইবার সময় তাহার কাছে বসিতে হয়, মাছি থাকিলে মাছি তাড়াইতে হয় এবং হাজার রাগিয়া থাকিলেও তখন রাগের কথা কহিতে হয় না, ইহা বিনোদিনী বাপের বাড়ি হইতেই শিধিয়া আসিয়াছে। মাকে চিরকালই সে এমনি ভাবে চলিতে দেখিত । প্রকাশ যেন ইচ্ছা করিয়াই থাওয়া শেষ করিতে দেরি করিতে লাগিল। এইটুকু সময়ই সন্ধির সময়, ইহার পরই বিনোদিনীর মুক্তি বদলাইয়া যাইবে। তবে আজ একটা ব্ৰহ্মাস্ত্র হাতে আছে, আজি মাহিনীর টাকা তাহার সঙ্গে আছে। বিনোদিনীর টাকা-কটা হাতে করিয়া নাড়িয়াই ষা মুথ । ইহার একট পয়সা পর্য্যস্ত সে নিজের জন্ত, বা লিঙ্গের ইচ্ছামত কোনো দিন খরচ করিতে পারে না । প্রকাশ অবশেষে খাওয়া সারিতে বাধ্য হইল। মুখহাত ধুইয়া, বিনোদিনীর হাত হইতে পান লইয়া চিবাইতে চিবাইতে বিছানায় গিয়া বসিল । এখন তাহার মেজাজটা বেশ আছে। বিনোদিনীর মেজাজটাও যদি ভাল থাকিত ত থানিক মিষ্টালাপ এই সময় করা যাইত। ছেলেমেয়ে দুটাও পাশের ঘরে ঘুমাইয়া আছে। কিন্তু মুস্কিল ত এইখানেই ৷ -জনের মেজাজ এক সময় ভাল থাকাটা অতি কালেণ্ডত্রে ঘটিয়া থাকে। বিনোদিনী মুখ বুজিয়া সারা দিন খাটে বটে, কিন্তু নিজের জেদ কখনও ছাড়ে না । , প্রকাশ স্বীকার না-করুক, সে নিজে জালে যে সে কাহারও বলিয়া খাইতেছে না । অতএব কাহারও অঙ্গুলি হেলনে ছাপিতে বা কাদিতে সে বাধ্য নয়। বিনাদিনী । i করিল। প্রকাশ গলার স্বরটাকে যথাসম্ভব মোলায়েম করিয়া বলিল, “তোমার এখনও খাওয়া হয় নি বুঝি ?” বিনোদিনী ফোস করিয়া উঠিল, “তোমার আগে কবে আমি গিলে বসে থাকি শুনি ?” প্রকাশ এখন ঝগড়া বাধাইতে চায় না, বলিল, “তা যদি থাকতেও ত কিছু চণ্ডী অশুদ্ধ হয়ে যেত না । তোমার ভাত এইখানেই নিয়ে এস না ?” “থাক, অত আদয়ে আর কাজ নেই, আবার এখানে আর এক পালা এটো পাড়তে বসি । তার চেয়ে আমার রান্নাঘরই ভাল।”—বলিয়া বাসন হাতে করিয়া বিনোদিনী চলিয়া গেল । প্রকাশ হতাশ ভাবে গুইয়। পড়িল । না, এদের সঙ্গে আর পারা যায় না । বিনোদিনীকে মুখে রাখিতে তাহার কি অলাষ ? সাধ্যে কুলাইয় উঠে না তা সে কি করিবে ? সেই জন্ত কি চিরদিন ধরিয়া থালি মুখ-কামটা খাইতে হইবে ? পান থেকে একটু চুণ খহুক দেখি, অমনি গৃহিণীর মুখ তোলা-ইাড়ির মত হইয়া উঠিবে। বাহিরে পরের দাসত্বের জালা, আর ঘরে খালি খিচিমিচি, কাহাতক অরি মানুষ পারিয়! ওঠে ? বিনোদিনীর খাইতে সময় বেশী লাগে না । সারাদিন ভূতের মত থাটিয়া সে এত শ্রাস্ত হইয়া পড়ে যে খাওয়াদাওয়া কিছু তাহার ভালও লাগে না । এই ক্ষুদ্র খোপের মত ঘরে বসিয়া বসিয়া প্রাণ তাহার ধাপাইয়া ওঠে, দম যেন বন্ধ হইয়া আসে । চব্বিশটা ঘণ্টার মধ্যে একটি বার পাঁচ মিনিটের জন্তও যদি সে বাহিরে বাইতে পারিত, তাহা হইলে খানিকটা যন্ত্রণা তাহার হয়ত কমিয়া যাইত, কিন্তু কেইবা তাহাকে লইয়া যাইবে ? বিকালে তাহার সময় হয় না এবং প্রকাশও বাড়ি ফেরে না । ভোরবেলা হইলে সে যাইতে পারে। কিন্তু ভোরে প্রকাশকে উঠান একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। খাওয়া শেষ করিয়া এটাে বাসনের রাশ সে কলতলায় ঠেলির রাখিয়া , দিল। এখন আর মাজিতে বসিতে পারে না, সকালে দেখা যাইবে এখন। রান্নাঘরটা চট कडिश श्ञा निश (न शृङ्गछांद्र निकण कृगिज्ञा क्णि । ठांशंद्र তাড়াগুড়ি ঝরিয়া এটা বাসন-কোন ফুলিতে আরম্ভ পর একটা পান খেদিল, গুইবার ঘরে গির প্রবেশ করিল। "

ఖీ