পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^*. ইহ দেশের সামাজিক জীবনের অতি স্বাভাবিক চিত্র,-- তাহাতে বিন্দুমাত্র পঞ্জিলতার আভাস নাই। জনের অধিকাংশ ছবি তাহার বসত-বাড়ির মিউজিয়মে রক্ষিত । তাহার বিধবা স্ত্রী অতি সযত্নে সমস্ত রক্ষণ تتتنتشتنتجت تعتنقعات تتين S98> বেক্ষণ করেন। প্রতিবৎসর, বিশেষ করিয়া গ্রীষ্ম কালে, দেশ-বিদেশ হইতে শত শত লোক উপমাবিহীন সিলিয়ান-ইঁদ ও পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রাম-সকল দেখিবার জন্ত সেখানে ভিড় করে । 總 ঘাসের ফুল শ্রীতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রাণীগঞ্জ-টাইলে ছাওয়া উত্তর-দক্ষিণে লম্বা বাংলোটা কলিয়ারীর আপিস। আপিসের উত্তরেই পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে লম্বা থড়ে ছাওয়া বাংলোটা কলিয়ারীর বাবদের মেস । বাংলো দুটোর কোলে প্রকাও বড় খোলা মাঠখানায় অতুল পয়চারি করিতেছিল । চারিদিক অন্ধকার । ‘পিট'গুলার মুখে, বয়লারগুলোর চিমনীর মাথায় শুধু আগুনের শিথা হু হু করিতেছে । আর এখানে ওখানে কুলীদের কেরোসিনের কূপী খদ্যোতের মত কঁপিয়া কঁপিয়া উঠিতেছে । মেসের একটা ঘরে কুলী-রিঙ্কুটার চন্দ্রকান্ত ছ’কা টানিতে টানিতে সার্ভেয়ারকে বলিতেছিল—আমার ভাই যোল আনার মধ্যে সাড়ে পনের আন মিছে কথা ••••••সে আমি মিছে কথা বলব না । বড় টেবিলটার উপরে থনির ম্যাপখানায় নুতন একটা লাইন টানিতে টানিতে সার্ভেয়ার উত্তর দিল—ছ”—তা নহলে চাকরি থাকবে কেন ? আলোটা একটু বাড়িয়ে দেন ত চক্ৰবুৰু চশমা নইলে আর চলছে না। পাশের ঘরে লেবার-রেজিষ্ট্রীর সীতাপতি আপন মনে একখানা ছবি আঁকিতেছিল। সম্মুখে গম্ভীর ভাবে আর এক জন বসিয়া আছে স্থাণুর মত—চোখের পলক পৰ্য্যস্ত পড়ে না । * তার পাশের ঘরে বৃদ্ধ কম্পাউণ্ডার ੋਂ স্ত্রীকে পত্র লিখিতেছিলেন—“এখানে বৃষ্টি খুবই হ ওধীনে vবৃষ্টির অবস্থা কিরূপ পত্রপাঠ জানাইৰে। গঙ্গাৰামের অর্কুবুৰিল ধান্তগুলি ধার বির বাবস্থা করিবে: আর একখানা ঘরে লটারির টিকিট কেনা হইতেছিল । ম্যানেজারের নামে একথানা লটারীর টিকিট-বই আসিয়াছে— সেইথান হেডক্লার্ক বাবু লইয়া বিক্রয় করিতেছেন । আট আনা করিয়া টিকিটের দাম । প্রথম পুরস্কার প{চ হাজার টাকা । কালীপদ একটা ছদ্মনাম খুজিয়া সারা হইয়া গেল । হেডক্লার্ক বাৰু কলম ধরিয়া বসিয়া ছিলেন—বলিলেন–কি নাম দেবে বল হে কালীপদ ? কালীপদ বলিল—শ্ৰীবৎস—কি বলেন ? ও নামে শনির দৃষ্টিও চলে না .-দীড়ান, দাড়ন,-মহালক্ষ্মী কেমন হবে বলুন দেথি ? একেবারে এ-পাশের ঘরে একটি গুরূপ তরুণ হারমোনিয়ম লইং গলা সাধিতেছিল--"কি ঘুম তোরে পেয়েছিল হতভাগিনী!” ছেলেটি কলিয়ারীর মালিকদের থিয়েটারে নায়িক সাজে । এখানে চাকরিও তার সেই জন্ত । বেতন বাইশ টাকা ছিল—এখন দুই টাকা কমিয়া হইয়াছে কুড়ি । পাশের বারীনায় ষ্টোরকিপার অমূল্য কুলিদের তেল মাপিতে মাপিতে বলিল—তুমি একটা যাত্রার দলে ঢুকে পড়, বুঝলে বিনোদ । মোট মাইনে বে। কেন কুড়ি টাকায় পড়ে আছ বল দেখি ! গান থামাইয়া বিনোদ বলিল—ভারী চুক হয়ে গেছে গুদোম খাৰু! সেবার বীণাপাশি অপেরা আমাকে সাধাসখি করলে ! বলে— পয়ত্রিশ টাকা মাইনেতে তুমি চোক—তার পর ছ-সাল পরে পঞ্চাশ ক’রে দেব। তিন বছরে এক-শে টাকা । তা যাত্রার দল বলে আর- -س-لا.