পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বিবাসী .

Oළෂ বাড়িতে আসিম্বা সিদ্ধেশ্বর দেখে, মা আঙিনা ঋণট দিতেছে। সৰ্ব্বাঙ্গে তার বিধবার চিহ্ন,—পরনে সাদা থান ধুতি। ছুটিয়া গিম্ব সে মায়ের পা দুটি জড়াইম্বা কঁদিস্কা উঠে,— মা ! মাম্বের হাত হইতে ঝাটা খসিয়া যায় । পুত্রকে বুকে টানিয়া লইয়া মা অশ্রুসজল চোখে তাহার কপালে চুম্বন দেয়। বলে,—“বুড়ো ব্যপটাকে আর দেখতে পারলি নে রে সিধু, এমনি পোড়া কপাল তোর " সিস্কেশ্বরের গৃহত্যাগের কয়েক মাস পরে তাহার বাপের মৃত্যু হয়। যা অল্পকিছু সে রাধিয়া গিয়াছিল, তাঁহাইতিমধ্যেই ফুরাইয়া গিয়াছে। সিদ্ধেশ্বরের স্বল্প সঞ্চমু দিম্বাই এখন সংসার চলিতে লাগিল । তারপর হইতে সিদ্ধেশ্বর বাড়িতে থাকিম্ব মাটির বাসন তৈরি করে । ছোট ছোট কলসী, থালা বা ভাণ্ডের উপর সে কত স্বন্দর ছবি অঁাকে ; পদ্মফুল, পদ্মপাত, লক্ষ্মীর পা, এমনি কত কি। পাড়ায় ঘুরিয়া সে এই সব বেচে । মেয়ের সিদ্ধেশ্বরের হাতের জিনিষ পাইলে খুশী হইয়া কেনে। মাঝে মাঝে মেলা হইলে সে গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মহাদেব, নানা প্রকার জীবজন্তু এবং আরও কত রকমের পুতুল তৈরি করিয়া সেখানে লইয়া যায়। ছেলের ভিড় করিয়া তাঁহার পুতুল দেখিতে আসে, অনেকে কেনেও । এমনি নানা উপায়ে তাহার জীবিক-সংস্থান হয়। মা বলে—“সিধু, এবার একটি বিশ্নে কর। বউ দেখে মরি।” সিধু লজ্জিত হইয়া বলে—“আচ্ছা ম', সে হবে, অত ভাবনা কি ?” সিদ্ধেশ্বরের মনেও অনেকবার সেই কথা জাগিয়াছে। কিন্তু যাহাঁকে-তাহাকে নিবাহ করিবার ইচ্ছা তাহার নাই । একবার মামার বাড়িতে এক বিবাহের নিমন্ত্রণে পাশের গায়ের হরিশ চৌকিদারের মেয়ে লক্ষ্মীকে দেখিয় তাহার খুবই পছন্দ হইতাছে। মুন্দর ভাসা-ভাস চোখদুটো, গাম্বের রঙও ষেশ সুন্দর। ইহাকেই সে বিবাহ .করিবে। মাকে নানা কৌশলে এই কথা সে জানায়। মা খুশী হইয়া ঘটক পাঠায়, শুভদিন দেখিয়া বিবাহের ঠিক হুই৷ সিস্কেশ্বর খুবই খটা করিয়া পাড়ার লোকদের নিমন্ত্রণ করিয়াছে। ভোল, পাচু, ধনা এদের ও বরযাত্রী যাইতেই হইবে। একখানি ঢাকাই কাপড় ও একটি কোট গাঙ্গে দিয়া সিদ্ধেশ্বর বিবাহ করিতে চলিল। পাড়ার মেয়েরা দেখিয়া বলিল,—বেশ মানাইৰাছে কিন্তু সিন্ধুকে । পরদিন নববধূ লক্ষ্মীকে লইয়া সিদ্ধেশ্বর ফিরিয়া আসিল। আনন্দে তাঁহার মুখখান ভরিয়া উঠিছে। নিমন্ত্রিতগণকে আদর-আপ্যায়ন, নানা কিছুর তত্ত্ব-তালাস করিতে করিতে একটি দিনের ভিতর সে যেন বিশ্রাম করিবার একটু সময়ও পাম না। সকলেই খুশী হইম নবদম্পষ্ঠীকে আশীৰ্ব্বাঙ্গ করিয়া যায়। বিবাহের আনন্দোৎসব শেষ হুইবার কয়েক মাস পরে আবার শোকের আগুন জলিয়া উঠিল। একদিন প্রভাতে মাকে হারাইয়া সিদ্ধেশ্বর আৰোধ বালকের মত কানিতে কাদিতে বুক ভাসাইয়া দিল। সেই মা, স্বাহার জেহাঙ্কলে তাহার বাল্যজীবনের সমস্ত চঞ্চলত ঢাকা পড়িআছিল, জাজ সে তাঁহাকে ছাড়িয়া কোথাম চলিয় গেছে । प्तिtनग्न भग्न नि षां★ । कङ नृङन नृजन ऋ१-इ:१ আসিমা তাহার মাতাপিতার স্মৃতি জুলাইম্ব দিয়া যায়। এমনি করিয়া সংসার কাটে। কালেক্স গতি-বৈচিত্র্যের সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরের বয়স বাড়িয়া চলে । ইতিমধ্যে তাহার দুইটি ছেলে একটি মেন্ধে জন্সিয়াছিল। একটি ছেলে জন্মিবার বছরখানেক পরেই মুরিয়া গেছে। আর একটি পাগল হইয়া সেই ষে বাহির হইয়া গেছে তাহার স্বার খোজধবরই নাই। মেয়েটিকে গত বৎসর অবস্থাপন্ন ঘর দেখিয়া বিবাহ দিয়াছিল। কিন্তু মেয়ের ভাগে সে-সুখ ঘটিল না, ছয় মাসের ভিতরই বদম্ভরোগে সে মারা গেল ! এমনি করিয়া তিন-তিনটি আঘাত তাহার বুকে পর-পর তীরের মত বিধিয়াছে। তাই বলে বেশী না হইলেও তাহার শরীর শীর্ণ হইয়া গেছে, আগের মত শক্তি আর নাই। সংসারে তাহার ভরসা কেবল লক্ষ্মী। এই বধূর পানে চাহির সে সমস্ত শোৰতাপ ভুলিয়া যায়। লক্ষ্মী ক্ষে শাস্তির মূৰ্ত্তিমতী প্রতিমা। লক্ষ্মী সৰাল হইতে সন্ধ্য। পৰ্যন্ত শাস্তচিত্তে গৃহকৰ্ম্ম করিয়া খাম্ব। সিদ্ধেশ্বর অবসর পাইলে একবার সেই কৰ্ম্মরত আদর্শ গৃহিণীকে দেখিয়া লক্ষ। তাহার বেঙ্গলাক্লিষ্ট মুখে তৃপ্তি ও আনন্দের হাসি ফুটিয়া উঠে।