পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা-নিরাশা শ্ৰীসুধীরকুমার চৌধুরী তাহারে গুৱাম যবে, হে দোসর, কহ কহ কথা, কি এনেছ দুঃসহ বারতা।— লে কহে, আঞ্জিকে আনি এই আশা-নিরাশার বাণী, স্বপ্নে তারে দেখিয়াছি অরিক্ত নম্বনে মুক্তকেশে রক্তাক্ত দংষ্ট্রীয়, জাগরণে ছদ্মবেশে আত্মার আত্মীয় ব’লে বারস্বীয় জানিলাম ষারে। যে-বন্ধন শঙপাঙ্কে বঁধে ছুটি বিধুর হিসারে, তাহারই ফণার সূর্যে হলাহলে জলে বিযবাতি, মধুর লোভন করে দুর্দিনের ঘন অমারাতি, অলক্ষ্যে উগারে মৃত্যু দিকে দিকে নিঃশ্বাসের সনে । অমৃতভাষণে ডুবাম্বে আৰ্বের কণ্ঠ মৈত্রীমন্ত্রে কাছে যারে টানে, কটিতে অৰ্পিয় থভগ শিরে দেয় জয়টক,ঠু-বাহু সাজায় ধনুৰ্ব্বাণে। মানবে বঞ্চিত করি মানব-যুথের করে বড়, একত-বন্ধন ছলে রচিয়া গ্রস্থির মালা বিরোধে সে করে বৃহত্তর । কালি রাতে হাম্ব, স্বপ্নে তারে দেখিয়াছি দিশে দিশে প্লাবন বহায় শোণিত-বাদরে। যবে সে অাপন রূপ ধরে, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, মহামারী, চুক্তিক্ষে বস্থার দিকে দিকে হাহাকার, দিকে দিকে প্রচণ্ড অন্যায় অরাজক প্রজাহানি, জ্ঞাতি-রণ, নিপীড়নে জাগে। স্বাগরণে হেরি সবে সমারোহে হোমধুম-যাগে তাহারই অর্জন করে ধুপদীপ-নিৰ্ম্মল চন্দনে । মানবে অবজ্ঞা করি মানবের দেবের বন্দনে দিগন্ত মুখর হয়, ডুবে বায়ু আৰ্ত্তকণ্ঠ যুব, স্পৰ্দ্ধভির অভিমানে বাড়ে যেথা ংেবত-গৌরব মানবতা চ্যঞ্জ পায় । কালি স্বপ্নে হেরি, মানবের ক্ষুদ্র এ ভুবন ভরি অক্ষুষ্ম কুবের— ভাণ্ডার কে ঝুঁচিয়াছে নানা মণি-রতনের তারে। এ নহে কবির স্বপ্ন-ধনধান্য গোধূমলাঁধারে, স্নিগ্ধ চন্ত্রিকার ছাতি চীনাংশুকে শুক্তি-মুকুতা, বৈদুৰ্থ-নীলকে গাথা মণিহারে, সোনার স্বতীয় বিচিত্র চিত্রণে বোন উত্তরীষ্মে, গঙ্গদগুে-গড় দুগ্ধশুভ্ৰ মুখাসনে কোন কক্ষে ভরা অনঙ্গ-বাঞ্ছিত অঙ্গরাগ, কুচি মৰ্বতে নন্দন, কপূর-কুকুম-ধুপ, মৃগনাভি-অগুরুচন্দন। স্বপ্নসাল ফলমূলে স্বতে দুগ্ধে মধু শর্করাতে পবন বিকার ধরে, বিষম্পর্শ লাগে মধুরাতে । কোথা মাধী গৌড়ী আর বাহুলীক বন মরু-বালুতলে বহে স্বরডি অমৃত-প্রস্রবণ । জাগরণে হেরি, সে কুবের-কোষাগার ঘেরি, তরবারি ধর্ধার কূটবুদ্ধি য়াজনীতি-জলে যাহ্নুষ জুয়াল রুচি অহৰ্নিশি জালে হিংসার বাড়বানল। তরবারি, বুদ্ধি, রাজনীতিক্ষমতা ধরে না তার নিতে পারে কণা-পরিমিতি নিজ ব্যবহার লাগি । আজিকে স্বপ্নেরই মাঝে পুর্ণ করি জাগি জানি কে করিবে জয় দে-মহাশক্ররে, অগৌরবে আগৌরব হানি কে যে লজ্জা দিবে, বঞ্চনার রবে পলক-পরশে কায় খুলি যাবে স্কুবেরের বার, পড়ি রবে পথপাশে পুঞ্জ পুঞ্জ অতীত সাধার, তাহারই অশ্বের খুরে উৎক্ষিপ্ত পথের ধুলি সম । লভি সে জনম দিনে দিনে ভ্ৰণসম বাড়ে । সকল দৃষ্টির পারে যেথা সৰ্ব্বমানবের বুক একথান থেবা স্বরে অহৰ্নিশি করে ধুকধুক, স্বকোমল তার স্বেহু তাপে । কবে সে কেমন বীরদাপে দেবে দেথ}, ললাটে জুলিবে তার কোন জলেথ, কোন অস্ত্র সস্থানিবে শরাসনে, তুলি রণরণি উচ্চাfরবে কোন মন্ত্রধ্বনি, —কিছু নাহি জানি । অামি আনি এই আশী-নিরাশার বাণী ।