পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཏྣ་སྤྲུ་ཁུལ། GF 39 سوالون& ” কম। অধিকাংশই আন্ডাকূটে যোগ দেয়। সেখানে উপাসনার কোন ধরাবাধা পদ্ধতিই নাই, এমন কি গোড়। মতে সেটাকে উপাসন বলা চলে কি-না সন্দেহ । কোনদিন হয়ত সেখানে শুধু সঙ্গীতই হইল, কোনদিন গেহেব ( তিনি বিদ্যালয়ে পাওলাস্ (Paulus) নামে পরিচিত ) কোন পুস্তক হইতে কিছু পড়িয়া শোনাইলেন । এরূপ গ্রন্থ সকল সময়ে যে ধৰ্ম্মগ্রন্থ হয় তাহ নহে। একদিন দেখি, তিনি টলষ্টয়ের তেইশটি গল্পের একটি গল্প পড়িতেছেন । আর একদিন দেখিলাম, তিনি ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের প্রাণীদের একটি গল্প পড়িয়া শোনাইলেন । গেহেব আদর্শবাদী, বিশ্বপ্রেমিক। তিনি শাস্তিবাদী,

  1. i SSBS

রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজীর প্রতি র্তাহার গভীর শ্রদ্ধা । গেহেব মনে করেন বিশ্বের দুঃখ দূর করিতে হইলে সমাজকে নুতন ভাবে মূর্তন আদর্শে গড়িয়া তুলিতে হইবে ; সেই সমাজগঠনের মুলকথা স্বাধীনতা ও সহযোগিতা । ভাবীকালের উপযোগী স্বাধীনচিত্ত, চলিষ্ণুমন, বলিষ্ঠদেহ মাস্থ্য গড়িয়া তুলিতে হইলে শিক্ষার নুতন আদর্শ গ্রহণ করিতে হইবে। শিক্ষার সেই আদর্শকেই তিনি ওডেনভাল্ড বিদ্যালয়ে রূপ দিতে চেষ্টা করিতেছেন । - সংবাদ পাইলাম জাৰ্ম্মানীর বর্তমান গবর্ণমেণ্টের সহিত মতের মিল না হওয়ায় পল গেহেবকে ওডেনভাল্ডও যুদ্ধে বিশ্বাস করেন না । ভারতীয় সভ্যতার প্রতি, ছাড়িতে হইয়াছে । তন্ত্রের সাধনা অধ্যাপক শ্ৰীচিন্তাহরণ চক্রবর্তী, এম-এ মারণ, উচ্চাটন, বশীকরণ প্রভৃতি ফট্‌কৰ্ম্ম ও মদ্য মাংস মৎস্য প্রভৃতি পঞ্চ ম’কার—এই সকলের জন্য তাম্বিকধৰ্ম্ম, আধুনিক যুগে দেশী ও বিদেশী পণ্ডিতসমাজে বিশেষ ভাবে উপেক্ষিত ও অবজ্ঞাত হইয়া আসিতেছে । বৰ্ত্তমান কালে ঐতিহাসিক অনুসন্ধিৎসা জাগরণের ফলে ভারতের প্রাচীন সৰ্ব্বম্বিধ সাহিত্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হইলেও তন্ত্রসাহিত্যের অনুশীলন নিরতিশয় মন্দীভূত । তাহার কারণ একদিকে এই উপেক্ষা ও অবজ্ঞ, অন্যদিকে তন্ত্রশাস্ত্রের স্বাভাবিক দুৰ্ব্বোধ্যতা । বস্তুতঃ কিছুদিন পূৰ্ব্বেও তন্ত্রশাস্ত্র আলোচনা করা যেন একটা লজ্জার বিষয় ও কুরুচির পরিচায়ক বলিয়া বিবেচিত হইত। তন্ত্রশাস্ত্র ও তান্ত্রিক আচারের বিলোপ অনেক চিন্তাশীল মনীষীরও কাষ্য ছিল। তন্ত্রশাস্ত্রের নিন্দায় অনেকে পঞ্চমুখ হইয়া উঠিয়াছিলেন। তন্ত্র ছদ্মবেশী কামশাস্ত্র—সুনীতি প্রমুরের জন্যই এই শাস্ত্র প্রচারিত ইয়াছিল—এইরূপ নর্দি কথা তন্ত্র সম্বন্ধে অবাধে প্রচার করা হইত। সমগ্র তন্ত্রশস্ত্র সুক্ষভাবে আলোচনা করিয়া কেহ এই জাতীয় মত প্রকাশ করিয়াছেন এরূপ বলিতে পারা যায় না । বিশাল তন্ত্রশস্ত্রের আংশিক আলোচনা এবং কতকগুলি তান্ত্রিক আচারের আপাতদৃষ্টিতে বিচারের ফলেই এই সব মতবাদের উৎপত্তি হইয়াছে। একদেশদশ না হইয়া এবং পুৰ্ব্ব হইতেই কোন বিরুদ্ধ ধারণা পোষণ না করিয়া যে-কেহ ধৈৰ্য্যসহকারে তন্ত্রশাস্ত্রের আলোচনা করিলেই পূৰ্ব্বোল্লিখিত মতবাদের অসারত, অন্ততঃ অতিরঞ্জন, স্বতঃই প্রতিপক্স হইবে বলিয়া মনে হয় । অবগু তন্ত্র নামে যাহা কিছু চলিতেছে এবং তন্ত্রের নামে যে-কোনরূপ আচারই অনুষ্ঠিত হউক না কেন, তাহা সকলই ভাল—তন্ত্রের অতিবড় পৃষ্ঠপোষকগণও এরূপ কথা বলিবেন ন। তন্ত্র নামে প্রচলিত সমস্ত গ্রন্থেরই প্রামাণিকতা কোনও তান্ত্রিক আচাৰ্য্যই স্বীকার করেন না । তন্ত্রের নাম দিয়া অনেকে নানা সময়ে যে-সমস্ত কুৎসিত আচরণ করিয়া থাকেন তাহারও কেহ প্রশংসা করেন