পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عسياoمسي এখানে-ওখানে এই কীৰ্ত্তিক মাসের হিমে চট, সতরঞ্জি, হোগলা, মাদুর যে যা সংগ্রহ করতে পেরেচে তাই দিয়ে থাকবার জায়গা তৈরি ক’রে তারই তলায় আছে—কেউবা আছে শুধু গাছতলাতে । ষে যেখানে পারে, মাটি খুড়ে কি মাটির ঢেল দিয়ে উকুন বানিয়ে রান্না করচে । একটা সঙ্গনে-গাছতলায় এক বুড়ী রান্না করছিল—সে একাই এসেচে হুগলী জেলার কোন গী থেকে: '• J $. নাতি হুগলীর এক উকিলের বাসায় চাকর, তার ছুটি নেই, বুড়ী প্রতিবছর এক আসে । আমায় বললে—বডড জাগ্ৰতা ঠাকুর গো বটতলার গোসাঁই । মেরি মালসি গাছে র্ক্যাটল মোটে ধরতে নি, জলি পড়ে আর খসে খসে যায় । তাই বন্ন, বাবার থানে ক্যাটাল দিয়ে আসবে, হে ঠাকুর র্ক্যাটল যেন হয় । বললে না-পেত্যয় যাবে ছোটয়-বড়য় এ-বছর সতেরো গণ্ড৷ এ"চড় ধরেচে গোসাইয়ের কিরূপায় । আর এক জায়গায় থেজুরডালের কু-ড়েতে একটি বেী বসে র"tধচে । আর তার স্বামী কঁড়ের বাইরে বসে খোল বাজিয়ে গান করচে। কাছে যেতেই বস্তে বললে । তারা জাতে কৈবৰ্ত্ত, বাড়ি খুলনা জেলায়, পুরুষটির বয়েস বছর চল্লিশ হবে । তাদের ছোট্ট একটি ছেলে মায়ের কাছে ব’সে আছে, তারই মাথার চুল দিতে এসেচে । পুরুষটির নাম নিমচাঁদ মণ্ডল স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই বড় ভক্ত । নিমৰ্চাদ আমার হাতে একখানা বই দিয়ে বল ল—পড়ে শোনাও তো বাবু, দু-আনা দিয়ে মেলা থেকে কাল কেল্লাম একখানা । বইখানার নাম ‘বটতলার কীৰ্ত্তন’ । স্থানীয় ঠাকুরের মাহাত্ম্যস্থচক তাতে অনেকগুলো ছড়া। বটতলার গোঁসাই ব্রহ্মার সঙ্গে পরামর্শ করে এখানে এসে অস্তিান বেঁধেচেন, কলিরাজ ভরে র্তার সঙ্গে এই সন্ধি করলে যে বটতলার হাওয়া যত দূর যাবে তত দুর পৰ্য্যন্ত কলির অধিকার থাকবে না। বটতলার গোঁসাই পাপীর মুক্তিদাতা, সৰ্ব্বজীবের আশ্রয়, সাক্ষাৎ ঐহরির একাদশ অবতার । - কলিতে নতুন রূপ শুল মন দিয়! বটতলে স্থিতি হৈল ভক্তস্থল নিয়া খেদে কহে কলিয়াজ, এ বড় বিষম কাজ মেদি দশা কি হৰে গোঁসাই s6:2state), ఏరి3S ঠাকুর কহিলা হেসে, মসে ম: করিহ ফ্লেশে খাম ত্যজি কোথাও মী যাই । শ্ৰীদাম কুৰল সনে ছেখায় আসিব বটমূলে বৃন্দাবন স্বষ্টি করি লিৰ । নিমচাঁদ শুনতে শুনতে ভক্তিগদগদকণ্ঠে বললে—আহা । আহা ! বাবার কত লীলেখেলা ! তার স্ত্রীও কুড়ের দোরগোড়ায় এসে বসে শুনৃচে মানে বুঝলাম এরা নিজেরা পড়তে পারে না, বইপড় শোনার আনন্দ এদের কাছে বডড নতুন, তা আবার যার ওরা ভক্ত, সেই বটতলার গোসাই সম্বন্ধে বই । নিমৰ্চাদ বললে—আচ্ছা, বটতলার হাওয়া কত দূর যায় দ-ঠাকুর ? —কেন বল তো ? —এই যে বলচে কলির অধিকার নেই ওর মাধ্য, তা কত দূর তাই শুধুচ্চি । —কত দূর আর, ধর আধ কোশ বড়জোর— নিমৰ্চাদ দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে কি ভেবে বললে—fক করবো দ-ঠাকুর, দেশে লাঙল-গরু ক’রে ফেলেচি, কুড়ো-দুই জমিতে এবার বাগুন রুইয়ে রেখে এসেচি—নয়ত এ বাবার থান ত বিন্দাবন, আপনি পড়লেন—এ স্বগগে ছেড়ে বিলির মোষের মত বিলি ফিরে যাই দ-ঠাকুর ? কি বলিস রে তুই সরে অায় না এদিকে, দ-ঠাকুরকে লজ্জা কি, উনি তো ছেলেমানুষ । নিমচাঁদের স্ত্রী গলার মুরকে খুব সংযত ও মিষ্টি ক’রে অপরিচিত পুরুষ-মানুষের সামূনে কথা বলতে গেলে যেমন সুরে কথা বলে, তেমূনি ভাবে বললে—ইrা ঠিক তো। বাবার চরণের তলা ছেড়ে কোথাও কি যে৷ে ইচ্ছে করে ? নিমৰ্চাদ বললে—দু-মণ কোষ্টা ছিল ঘরে, তা হ বিক্ৰী ক’রে চল বাবার থানে যাবার ছিচরণ দর্শন ব আসি আর অমৃনি গঙ্গাছেনষ্টাও সারবো। টাকা বোগাবেন, সেজন্তে ভাবিনে ওরে শোনু, কাল তুই ধন্ন দিবি সকালে, মাজ স্নাতে ভাতে জল দিয়ে ? लिन्- # জিগ্যেস ক’রে জালাম ছেলের অসুখের জg দেবার ইচ্ছে আছে ওদের ।