পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন এত দিনের পরিচয়, তার মুথের একটা কথা না-গুনে কি করে যাবেন ? তিনি যদি একটা ভুলই করতে সান-গ্ৰীরে ফেলে চলে কাঁচ বাঁধেন তাহলে কি তাকে বোঝাতে চেষ্টা করবেন না ?” —এ কি কথা বলছেন আপনি ? —বলছি ঠিক কথাই। ধীকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি আমার বড় ভাই, আমার পূজ্য, তাকে আমি জানি । কিন্তু যেখানে এক জন নারীর সমস্ত জীবন নির্ভর করছে, সেখানে তিনি যত বড় পুজাই হ’ল, তার সম্বন্ধে সত্য বলাই উচিত। এ-সব কথা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক অগ্ৰীতিকর প্রসঙ্গও আমাদের মধ্যে হয়ে গেছে । কিন্তু আপনি আর একটু বলুন । উল্ক:ও আপনাকে সমস্ত কথা বলবেন বলছিলেন— তিনি তো গোপন করতে চান না ?” আচলেশ একটু শুষ্ক হাসিয়া বলিল, “তাই তো এত দিন আশ্চৰ্য্য হচ্ছিলাম—উল্কার স্বভাবে তো গোপনত নেই ?” “কি গোপনত দেখলেন তবে আজি P বলিয়া উল্কা যুণীলা ও আচলেশের সম্মুখে আসিয়া পড়িল । • পলকের জন্ত অচলেশের মুখ রাঙা হইয়া উঠিল, বলিল, “उ कि फूमि छन ना ?” —ই, কতকটা আন্দাজ করছি । কারও কাছে সমস্ত কথা বলতে বাধ্য মই ? —ত আমি জানি । সেইজন্তই আমি একে বলছিলাম তোমায় বলতে যে আমি তোমার উপর কোন দিন কোন দাবি করি নি, আর তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ না কর, এই আমার ইচ্ছা ! শ্লেষের হাসি হাসিয়া উল্কা বলিল, “উপদেশের জল্প অসংথ্য ধন্তবাদ । কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না যে, আমার অসাক্ষাতে আমার কোন গোপন কথা নিয়ে কেউ আলোচনা করে ” নিধিত্বকার শাস্ত অচলেশ এত দিনে সহসা দপ, করিয়া জলিয়া উঠিল ; বলিল, “কার কাছে তোমার কোন কথা গোপন হ’ল, উষ্ণ –এর কাছে তো নয় ? তবে অামার কাছেই আজ তোমার সব কথা গোপন হয়েছে ?” মুখের কথা লুকির উদ্ধ পাণ্ট জবাৰ দিল—“ষদি বলি তাই ?” ; : জচলেশ গৈছিাৱা হুইয়া বলিয়া উঠিল, “কিন্তু সেদিন আমার কাছে তোমীর কোন কথা গোপন ছিল, উক্ষ, যেদিন তোমার পিতা আমার হাতে তোমায় স’পে দিয়েছিলেন ? ৰেজিন গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ভিনি আমার {क भकिम्ब थरब्रक्लिअब ? डांद्र श्रद्ब्र कानक क्षण शिcबcश्-cङांभद्र! थफटनांक इरग्रह-अभिाँब अtcर्भ বড়লোক হয়ে তার পরে জোখায় বিয়ে, করতে চাইতে বলেছ : সৰই জেনেছি কুৰেছি—কিন্তু তখনও জে তোমার কিন্তু আমি তো छझ, ब्ञां श्रद्धriचन्न ? tూగీథ్స কোন কথা আমার কাছে গোপন ছিল না ? আজ ছু-দিন নুতন বন্ধু পেয়ে সবই ভুলে গেছ ?” ঝঙ্কার দিয়া উল্কা বলিল, “তাই বুৰি নিৰ্ব্বনে নুতন বন্ধুনীর কাছে পুরানো বন্ধুত্বের বাহাদুরী করছিলে ?” অচলেশ গর্জিয়া উঠিয়া বলিল, “উল্কা,—চুপ ? অার কোন কথা নয় । আমি চললাম । প্রার্থনা করি গুমিলবিকাশকে বিয়ে ক’রে তুমি সুখী হও ।” - অচলেশ চলিয়া গেল । তাহার গমনপথের দিকে উল্কা রুদ্ধদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল। মনে হইল হঠাৎ কি যেন হইয়। গেল ! যাহা নিকটতম, চির আপনার, তাঁহাই যেন আজি দুরে—চিরবিচ্ছিন্ন হইয় গেল । ইচ্ছা হইল একবার ডাক ছাড়িয়া কাদে । কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হামলবিকাশের মোটরের হৰ্ণ তাহার কানে প্রবেশ করিল । আজ পুরাতনের দিয়ে, নূতনের অাহৰনি । 泰 秦 徽 মসি-কয়েক কাটিয়া গিয়াছে । গুমিলবিকাশের মস্থিত উল্কার বিবাহ স্থির হইয়া গিয়াছে । কিন্তু যাহাঁদের ইহাঙে আননো উৎফুল্ল হইবার কথা, তাহদের মুখে বিশেষ আনন্দের আভাস দেখা যায় না । উল্কা যেন সৰ্ব্বদাই উন্মন, গুমিলবিকাশ চিন্তামগ্ন । সুশীলারও ষেন স্কুরে দূরে সরিয়া যাইবার ভাব । অথচ মুখে কেহ কিছুই প্রকাশ করে না । - মুশীলা যেন ইহাদের কাছে আর একটা রহস্য । সে উল্কাকে আর কোন কথা বলে নাই বটে, কিন্তু সে যে তাহাদের বিবাহ বিশেষ অনুমোদন করিতেছে না, তাহা স্পষ্টই বোঝা যায় । কিছু দিন পরে উল্কার অসাক্ষাতে শ্যামলবিকাশের সহিত তাহার মস্ত একটা বোঝাপড়। হইয়া গেল । , শ্যামলবিকাশ স্থির থাকিতে না পারিয়া এক জিজ সুশীলাকে জিজ্ঞাসা করিল, “আচ্ছ, তোর ব্যাপারখানা কি, বল দেথি ?” —কেন, কি দেখলে ? —সৰ্ব্বদাই একটা আড়াআড়ি, ছাড়াছাড়ি ভাব, কি যেন মনের মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে চলছিস ? —এ আর আজ তোমায় নুতন ক’রে কি বলৰ দ্বাদ } তোমায় তো কোনদিন কোন কথা লুকোই নি ? —ওঃ, আজিও তোর সে ভৰি গেল না ? কেন, আমাদের এ-বিয়েতে তুই খারাপটা কি দেখলি, বল দেখি ? “. . . সুশীলা কথা কহিল । স্থির আয়ত্ব নেত্রে শ্যামলবিকাশের দিকে চাহিয়া বলিঙ্গ, জাদ, এই আমার শেষ অনুরোধ রাখ। উষ্কাকে ফুজি বিয়ে ক’রে না ।” —কেন ?