পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ᎼᎭ ঘামিনী সেখান হইতে ঝড়ের বেগে আপন ঘরে আসিয়া আবীর চলিয়া গেল । অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পথে পথে ঘুরিয়া বেড়াইয়া সে অধিক রাত্রে যখন শয়নকক্ষ আসিল তখন উৎসব-অস্তে সকলে যে যাহার বাড়ি গিয়াছে। তাহার নিজের ঘরেও আলো নাই ; অন্ধকার । সেই অন্ধকারে জানালীর গরাদে ধরিয়া নিৰ্ম্মলা চুপ করিয়া দাড়াইয়া আছে। তাহার মনও আজ ভাল নাই ! নিমন্ত্রিতা মহিলা র্যাহারা আসিয়াছিলেন, বড়বেী তাঁহাদের কি বেন জানাইয়া দিয়াছিলেন । তাহার কেহ কেহ এ উহার কালে-কান ফিস-কাস করিতেছিলেন এবং মী.৫ মাঝে নিৰ্ম্মলার BBSBB BBS BDD BB DS BBSBBS কহি:তছিলেন, “এথনি কে দিয়েছেন ভাই ? তোমার বাবা, না তোমার উনি ?” সে বে দরিদ্রের কন্ঠ, তাহার পিতা যে ধনী নহেন এসকল কথা নিৰ্ম্মল আগে কোনদিন ভাবে নাই। সে এত দিন তাহার বাবার সঙ্গে বে-জগতে ছিল, যেসকল বিষয়ের আলোচনা করিত, তাহার বিষয় দেশদেশাস্তের ব্যাপ্ত, যুগ-যুগাস্তের মধ্য দিয়া প্রবাহিত । সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংরেজী কাব্য-সাহিত্যে হঠাৎ কেমন করিয়া জোয়ার আপিয়ছিল, রোমাণ্টিসিজমের অতি গদগদ আইডিয়ার তাপে ইউরোপীয় সাহিত্যের কোন কিনারে কতটুকু আবিল বাপ সঞ্চিত্ত হইয়াছিল, ক্তfহাদের আলোচনার স্রোত সংসার ছাড়া সেই সকল খাতেই বহিত। সেই জনহীন সংসার-সীমানার প্রান্তে কেবল পিতা এবং ক্যা প্রতিদিন পরম্পরকে সল্প দিত । সেখানে আর কেন সঙ্গ ছিল না। এমনি করিয়া সংসারে বেখানে বহুজনতার সংঘর্ষ, যেখানে অনেকের স্বাধ, অনেক ভাল সঙ্গ ঈর্ষা কুটিলতা মেশামেশি হইয়া ঐআশালতা দেবী পাশাপাশি রহিয়াছে সেখানকার সহিত নিৰ্ম্মলার কোনও পরিচয় লট নাই । সে বড়লোকের বাড়িতে জন্মিয়াছে, না গfরবের গৃহে—এ-কথাটা ভাবিবারও প্রয়োজন তাহার কোনদিন হয় নাই । কিন্তু আজ উপরের হলে যে-সব মহিলারা আমস্থিত হইয়া আসিয়াছিলেন র্তাহাদের মধ্যে এক দল নিৰ্ম্মলাকে বেশ করিয়া বুঝাইয়া দিয়া গিয়াছেন যে নিৰ্ম্মলা দরিদ্রের কন্ত । এ-বাড়িতে তাহার প্রবেশাধিকার কিরূপে ঘটিল । সেই কথাটাই তাহারা বিস্ময়ে হতবাক হইয়া ভাবিতেছেন, এবং তাহদের এই বিস্ময়ের কথাটা খুব ভাল , কাগ তাহাকে বুঝাইয়া দিবার জন্ত যামিনীর বড়বৌদি উঠিয়া । পড়িয়া লগিয়াছিলেন । তঁহার চেষ্টা সার্থক হইয়াছিল। নিৰ্ম্মল গভীর বেদনার সহিত বুঝিয়াছিল শ্বশুরবাড়িতে তাহার অন্ত জীয়েদের মত কোনো মর্যাদা কি সসন্মান অধিকার তাহার নাই । নিৰ্ম্মলার মনে আজ প্রথম ধাক্কা লাগিল । সে আস্তে আস্তে সেখান হইতে উঠিয়া নিজের শয়ন- রে আসিল । আলো জ্বালাইয়া চারিদিকে চাহিল । দামী মেহগনির পালঙ্কের উপর দামী নেটের মশারির ঝালর সন্ধ্যার বাতাসে একটু একটু কঁাপিতেছে। আল্লায় নিৰ্ম্মলার কাপড়ের জরির কঙ্কাগুলা বিদ্যুতালোকে ঝলমল করিতেছে। ঘরের ষেদিকে সে চায় সেইদিকেই আরাম এবং বিলাসের উপকরণ । মুখম্পর্শ সোফা তাঁহারই জন্ত যেন নীচু করিয়া বাধান। অর্গ্যানের কাছে মিউজিক টুলের উপর সেই মাপের একটা ভেলভেট, দেওয়া কুশান ঘামিনী কালই বিকালে দণ্ডিকে দিয়া করাইয়াছে তাহার উপর নিৰ্ম্মলার জরির কাজ-কবা মথমলের লক্ষেী চটি জুতার্ট রহিয়াছে। ৰোধ হয় বেয়ারটি ঘর ঝাট দিবীর সময় ধুলা লাগিবীর ভয়ে এখানে তুলিয় রাখিয়াছে। নিৰ্ম্মল স্তন্ধ স্থাই ভাঙ্গিতে লাগিল, এই স্বরের কেন কিছুকে