পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-অঞ্জশ্বিন বিবিধ প্রসঙ্গ—নারীনিগ্রহের প্রতিকারে সামাজিক কত্তব্য పెఫిసె নিবারণ ও দমনকল্পে বিশেষ পরিশ্রম করিয়া আসি তছেন । এই বিষয়ে তাহীর জ্ঞান অনতিক্রান্ত । তিনি লিখিয়াছেন— পুলিশের সাহায্য ন পাইলে নারাহরণ বাঙ্গলাদেশ হইতে কখনও দূর করা যাইবে না । সার জন তাহ জানেন, সুতরাং পুলিশকে এই দুষ্কৰ্ম্ম লিথারণ বিশেষ মনোযোগ দিতে বলিয়াছেন । অনেক সময়ে নিয়শ্রেণীর পুলিশ নারীকরণ অপরাধ দমন করিতে অৱহেল করে, মারাহয়ণ যে অপরাধের বিষয়, তাহ দমন করা যে পুলিশের কৰ্ত্তব্য, তাহাও তাহারা মনে করে না। ভূতপূৰ্ব্ব পুলিশ-ইনস্পেক্টর জেনারেল মিঃ লোম্যান ও গবর্ণর সাক্ষ জন এণ্ডাসন প্রভৃতি আলেকে পুলিশক তাহীদের কৰ্ত্তবা করিতে উপদেশ দিয়াছেন কিন্তু আমরা অভিজ্ঞতা হইতে বলিতেছি উচ্চ শ্রেণীর পুলিশ কৰ্ম্মচারীর নারীহরণ যেমন গুরুতর অপরাধ বলিয়া মনে করেন, নিয়শ্রেণীর অনেক কৰ্ম্মচারী তেমন মনে করেন না । কোন কোন স্থলে থানায় খবর দিতে গেলে পুলিশ এজাহার গ্রহণ না করিয়া অভিযোগকারী:দিগকে তাড়াইয়া দেন । সে যাহা হউক, আমরা অতীতের কথা আলোচনা করিতে চাই ন! । ভবিষ্যতে বাঙ্গলার সমস্ত থানায় পুলিস নারীহরণ দমনের জগু মনোযোগী হইবেন এবং সার জন উডহেড যেমন বাঙ্গলার কলঙ্ক দূর করিতে প্রয়াসী হইয়াছেন, ছোট বড় সকল শ্রেণীর পুলিশ সেইরূপ প্রয়াস হইবেন । গবলু’ন্টের নিকট আমাদের অনুরোধ এই, শীঘ্র অপরাধীনিগ্নকে বেত্রমণ্ড দানের ব্যবস্থা করুন | কিন্তু কেবল বে রদ ও নয়, তাহাঙ্গের সম্পত্তি বাজেয়াগু মা করিলে তাহলের মনে ভয় হইবে না । অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাও যে উচিত, আমরাও তাহ আগে আগে লিখিাছি । অনেক সময় অপহৃত নারীকে গোপনে গ্রাম হইতে গ্রামস্তিরে, গৃহ হইতে গৃহস্তিরে লইয়া রাখা হয় । যাহারা এইরূপে বদমায়েসদের সহায় হইয়া অপহৃত নারীকে নিজ নিজ গৃহে লুকাইয়। রাখিতে দেয়, তাহদেরও শস্তির ব্যবস্থা হওয়া উচিত, ইহাও আমরা অনেক বর লিখিয়াছি । এক সময়ে অষ্ট্রলিয়ায় দলবদ্ধ ভাবে নারীহরণ ও নারীধর্ষণের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় তথাকার গবন্মেটি অপরাধীদের প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করেন । তাহতে এই অপরাধ বন্ধ হইয়া যায়। কলিকাতা হাইকেটের পরলোকগত জজ সৈয়দ আমীর আলী এদেশেও জলবদ্ধভাবে নারীর উপর অত্যাচারের জন্ত প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা চাহিয়াছিলেন । আমরা সাধারণতঃ প্রাণদণ্ডের পক্ষপাতী নহি । কিন্তু এইরূপ অপরাধে যাবজ্জীবন নিৰ্ব্বাসন দও নিশ্চয়ই হওয়া উচিত । মাষ্ট্রীনিগ্রহের প্রতিকারে সামাজিক কর্তব্য नtब्रैौ८भद्ध ॐग्न अङ)ांछांग्न भयत्र ७ fमेकांब्रट्रलग्न छछ গবশ্নণ্ট কি করিতে পারেন, তাহার আলোচনা রাজপুরুযের করিয়াছেন, গবষ্মেন্টের প্রধান ব্যক্তি বক্তৃতায় ও পুলিস রিপোটের উপর মন্তৰে করিয়াছেন । এই আলোচনায় প্রধানতঃ পুলিস কি করিড়ে পারে এবং অপরাধীদের শাস্তি কিরূপ হওয়া উচিত্ত, তাঁহাই আলোচিত হইয়াছে । গবন্মেন্টের এবং সৰ্ব্বসাধারণের আর এক দিকেও কৰ্ত্তব্য আছে। নারীদিগকে আত্মরক্ষায় সমর্থ করিবার চেষ্টা যত করা যাইবে, এই কৰ্ত্তর ততই সাধিত হইবে। অনেক স্থলে দেখা যায়, কোন বালিকা হয়ত শ্বশুরালয়ে উৎপীড়িত, তহীকে পিতৃগৃহে লইয়া যাইবার লোভ দেখাইয়া দুৰ্ব ত্ত লোকেরা তাহাকে শ্বশুরালয় হইতে লইয়া যায় এবং তাহার উপর অত্যাচার করে। কখনও বা কোনও বধুকে দুৰ্বত্ত লোকেরা এই মিথ্য সংবাদ দেয়, যে, তাহার পিতা, মাতা, বা অন্ত স্বজন পীড়িত, এবং তাহার সহিত দেথা করিতে লইয়া বাইবার ছলে তাহার সৰ্ব্বনাশ করে । শিক্ষিত বালিকা বা মহিলাকে এই প্রকারে ঠকান সহজ হয় না । সুতরাং নারীশিক্ষার বিস্তার এইরূপ প্রতারণা ও প্রতারণার স্বারা অত্যাচারের একটা প্রতিকার । যেখানে অন্তঃপুরে বধূদের উপর অত্যাচার হয়, সেখানে পিতৃগৃহে লইয়া যাইবার ছল চলে । অতএব সমাজের এরূপ সংশোধন ও সংস্কার আবগুক যাহাতে অন্তঃপুরে বধুদের উপর অত্যাচার না-হয় । বিবাহে বরপক্ষ বাঞ্ছিত বরপণ ও যৌতুক না পাইলে অনেক সময় বধুর উপর অত্যাচার করে । বিবাহ সম্বন্ধে নীচ ধারণা থাকায় এবং কতকটা আর্থিক কারণে এইরূপ অত্যাচার হয় । এ-বিষয়ে লোকমতের উন্নতিসাধন অবিগুক । বালিক ও তরুণী বিধবাদিগকে প্রেমের লোভন দেখাইয়া পরে বৃত্তের তাহীদের উপর অত্যাচার করে । বালবৈধব্য ঘটিতে পারে না যদি বাল্যবিবাহ না-থাকে। অতএব বালবৈধবের প্রতিকার বিবিধ-বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং বাহদের বল্যে বিবাহ ও পরে অল্পবয়সেই বৈধব্য ঘটয়াছে, জুহাঙ্গের পূৰ্ব্বোর বিবাহ দেওয়া । বালিকা ও তরুণী বিধবাদের বিবাহ আগেকার চেয়ে বেশী প্রচলিত । হইয়ছে । কিন্তু ইহার আরও অধিক প্রচলন দরকার ।