পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चण्शिन जश्नकान कतििरे बुकिङ आश गि। आठौनकरण छन । বিজ্ঞান বিষয়ে যে সকল বৈদেশিকের সহিত প্রাচীন ছিপুর জানি প্রদান চলিয়াছিল, তাহাঙ্গের লিঙ্কট হইতেও সংস্কৃত ভাল ঋণস্বীকায়ে কাতর চর লাই •••জামাদের পক্ষে সেইরূপ ঋণগ্রহণে লজ্জা দেখাইলে কেবল অহম্মুখতাই প্রকাশ পাইৰে । (সাহিতা-পরিষৎ-পত্রিক, সন ১৩৪১ ) বাংলা ভাষার জননী সংস্কৃত হতে পারেন, কিন্তু গ্ৰীক ফাসী আবাঁ পোতুগীজ ইংরেজীও আমাদের ভাষাকে স্তন্যদানে পুষ্ট করেছে। যদি প্রয়োজনসিদ্ধির জন্য সাবধানে নিৰ্ব্বাচন করে আরও বিদেশী শব্দ আমরা গ্রহণ করি, তবে মাতৃভাষার পরিপুষ্ট হবে, বিকার হবে না। অপ্রয়োজনে আহার করলে অজীর্ণ হয়, প্রয়োজনে হয় না। যদি বলি‘ওয়াইফের টেম্পারটা বড়ই ফ্রেট্‌ফুল হয়েছে, তবে ভাযজননী ব্যাকুল হবেন। যদি বলি—“মোটরের ম্যাগনেটোটা বেশ ফিনকি দিচ্ছে, তবে আমাদের আহরণের শক্তি দেপে ভাষাজননী নিশ্চিস্থ হবেন । EEzęsto straf-Frq cr International Scientific Nomenclature সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে তার দ্বার। জগতের পণ্ডিতমণ্ডলী অনায়াসে জ্ঞানের আদানপ্রদান করতে পারছেন । এই পরিভাষা একবারে বর্জন করলে আমাদের ‘অহম্মুখতাই প্রকাশ পাবে। সমস্ত না হোক, অনেকট আমরা নিতে পারি। যে বৈদেশিক শব্দ নেওয়া হবে, তার বাংলা বানান মূল-অনুযায়ী করাষ্ট উচিত। বিকৃত ক’রে মোলায়েম করা অনাবহুক ও প্রমাদজনক । এককালে এদেশে ইতর ভদ্র সকলেষ্ট ইংরেজীতে সমান পণ্ডিত ছিলেন, তখন general থেকে "জাদরেল’, hospital থেকে হাসপাতাল হয়েছে। কিন্তু এখন আর সে যুগ নেই, বহুকাল ইংরেজী পড়ে আমাদের জিবের জড়ত অনেকট ঘুচেছে। সংস্কৃত শব্দেও কটমটির অভাব নেই। কেউ যদি ভুল উচ্চারণ করে যাচ ঞা' কে যাচিঙ্গা', 'জনৈক কে 'জৈনিক’, ‘মোটর’কে ‘মটোর’, ‘গ্লিসারিন’ কে গিল্‌ছেরিন বলে, তাতে ক্ষতি হবে না-যদি বানান ঠিক থাকে। এখন সঙ্কলনের উপায়চিস্ত করা যেতে পারে। আমাদের উপকরণ–এক দিকে দেশী শব্দ, অর্থাং বাংলা সংস্কৃত হিন্দী ইত্যাদি ; অন্য দিকে ইংরেজী শব্দ। কোথায় কোন শব্দ গ্রহণযোগ্য ? ধরা-বাধা বিধান দেওয়৷ অসম্ভব। মোটামুটি পথনির্ণয়ের চেষ্টা করব । ১। আমাদের দেশে বহুকাল থেকে কতকগুলি বিদ্যার চর্চা আছে, যথা-দর্শন, মনোবিদ্যা, ব্যাকরণ, গণিত, জ্যোতিষ, ভূগোল, শারীরবিদ্যা প্রভৃতি। এইসকল বিদ্যার বহু পরিভাষা এখনও প্রচলিত আছে । শাস্ত্র অতুসন্ধান করলে আরও পাওয়া যবে এবং সেই উদ্ধারকার্য অনেকে করেছেন। এই সমস্ত শব্দ আমাদের সহজেই গ্রহণীয়। এই শব্দসম্ভারের সঙ্গে আরও অনেক নবরচিত সংস্কৃত শব্দ অনায়াসে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গণিতে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ বৰ্গ । ঘাত (power ) প্রভৃতি প্রাচীন শব্দের সঙ্গে নবরচিত aza (calculus), waarza ( evolution), Grawa ( involution ) সহজেই চলবে । বর্তমান কালে এইসকল বিদ্যার বুদ্ধির ফলে বহু নূতন পরিভাষা ইউরোপে হষ্টি হয়েছে । তার অনেকগুলির দেশী প্রতিশব্দ রচনা করা যেতে পারে। কিন্তু যে ইংরেজী পারিভাষিক শব্দ অত্যন্ত রূঢ় ( যেমন focus, thyroid ) তা যথাবৎ বাংলা বানানে নেওয়াই উচিত। ২ । কতকগুলি বিদ্যা আধুনিক, অর্থাৎ পূৰ্ব্বে এদেশে অল্পাধিক চর্চিত হলেও এখন একবারে নূতন রূপ পেয়েছে, যথা—হুতবিদ্যা, রসায়ন, খনিজবিদ্যা, জীববিদ্যা। এইসকল বিদ্যার জন্য অসংখ্য পরিভাষা আবশুক । যে শবদ আমাদের আছে, তা রাখতে হবে, বহু সংস্কৃত শব্দ নুতন করে গড়তে হবে, পাওয়া গেলে কিছু কিছু হিন্দী ইত্যাদি ভাষা থেকেও নিতে হবে ; অধিকন্তু, ইংরেজী ভাষায় প্রচলিত পারিভাষিক শব্দ রাশি রাশি আত্মসাৎ করতে হবে। ৩ । বিশেষবাচক শব্দ আমাদের যা আছে ত থাকবে, যেমন—‘চন্দ্র, স্থ্য, বুধ, হিমালয়, ভারত, পারস্য’ ! যে নাম অৰ্ব্বাচীন কিন্তু বহুপ্রচলিত, তাও থাকবে, যেমন-“প্রশান্তমহাসাগর’। কিন্তু অবশিষ্ট শব্দের ইংরেজী নামই গ্রহণীয়, যথা—“নেপচুন, আফ্রিক, আটলাণ্টিক । ৪ । এব্যবাচক শব্দের যদি দেশী নাম থাকে, ত রাখব, যেমন-স্বর্ণ লৌহ বা ‘সোনা লোহা । যদি না থাকে তবে প্রচুর ইংরেজী নাম নেব । বৈজ্ঞানিক বস্তু যে-নামে পরিচিত, সেই নামই বহুপরিমাণে আমাদের মেনে নিতে হবে। রাসায়নিক ও খনিজ বস্তু এবং যন্ত্রাদি (যথা---মোটর, এঞ্জিন, পম্প, স্কেল, লেন্স, থাম মিটার, ষ্টেথস্কোপ ) সম্বন্ধে এই কথা