পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক সৗৰম্ভিলা । పిసి কঠোর স্বামিনি বিমোহিনি নিষ্ঠুর, কুংলিতে তবু করি স্বন্দর তব স্বরে নাহি জাগে ছেড়া তানপুর ? কৈলাস-চুড়ে কে বাধিবে ঘর ? গুণী তবু পারে জাগাতে নিবিড় কে উরিবে আসি বুকের শ্মশান-কালিমার কালিদহে ? চকিত স্বরের সাহসের মীড়, ভাঙা যন্ত্রের বিরস বিলাপে আলাপের রস-স্বরা । শুধু মিথ্যার পশরাটি শিরে ধরি’ আসে না মৃত্যু, পলে পলে মোরা মরি ; বুঝি অবেলায় ভুলের খেলায় যাহা ছিল সব হারাল হেলায়, নিরমাল্যের ফুল-চন্দন ধূলাতলে রহে পড়ি’ । আঁখির পাহার প্রেমহারা জেগে থাকে, নাহি স্নেহ-চাবি, তবু দেহ-দাবী রাগে ; শুশানের মাঝে গুঞ্জন-গান মধুপাত্রের ভূখ্রম-ভাণ প্রতিদিবসের স্ফীত সজ্জায় ভীত লজ্জায় ঢাকে । যে দীর্ঘপথ ঘর-বাহিরের মাঝে ডাকে সে আমারে নিত্য প্রভাতে সাঝে, স্থো চঞ্চল আলে। আকাশের, যেথা অঞ্চল ওড়ে বাতাসের, রস-অর্ণবে যেথা স্বর্ণের বর্ণের খেল রাজে । পথে পথে তাই করি প্রেম-মধুকরী পথের পথিক চলে দিব-বিভাবরা ; কে জানে কোথায় কি অৰ্ঘ্য রয়, আশা-নিরাশার স্বৰ্গ-নিরয় ; পথের জ্যোৎস্না ডাকে যারে তার গৃহদীপ রহে পড়ি । কোথা চাতকের চিরতুষ্ণার ধারা, অসীমার আশী সীমার বাধনহারী ! লবণাস্তুর তলে পায় লয় মধু-উৎসের নিভৃত-নিলয় ? সে-অতলে ডোবে রসের গাগরী ভরিতে সাহসী যা’রা ? মত্ততা-স্রোত মাথায় আমার বহে ? চক্ষে অনল, কণ্ঠে গরল দহে ? : ছাড়াছাড়ি পথ, তবু একসাথে চলি ; আপন আড়াল করি আপনারে ছলি; প্রেমে আজ প্রাণ নহে ইন্ধন, গৃহ-বিভবের রহে বন্ধন ; শীতের উষার তুষার ঢেকেছে অলির কুন্দকলি। তবুও চিত্ত তোমারে ঘেরিয়া ঘুরে ; মিথ্যা, তবুও সত্য জীবন জুড়ে' ; তুমি জয়, তবু তুমি পরাজয় ; তুমি ভয়, তবু তুমি বরাভয় ; ঘূণীর স্থির চির-উদাসীন বিন্দুটি যেন ফুরে । স্বামী-সোহাগের সিক্টরটি তবু জলে আজে অভাবের অবগুণ্ঠনতলে : ছান্নাতলার শুভদৃষ্টির আছে কি সে-মায় রস-স্বষ্টির ? স্বপনে-গোপন বহে কি আশ্র কলহাস্যের ছলে ? বৈশাখ-দিনে মেঘের কোমল কায়! আপনার মনে চলে রচি ক্ষণ-ছায় ; ধরার রুক্ষ বক্ষের তল হয় না সরস, হয় না শীতল, ছায় শুধু নহে, চাহে সে নিবিড় বুকে-ঝরে-পড়া মায়া । চেয়ে রয় কবে শ্রাবণের শুভখনে ঝরিবে সে-ধারা বিপুল বিপ্লাবনে ; কতদিন আর আলোর দহন চিরতুষাতুর করিবে বহন ? কবে মিলনের পাত্র ভরিবে প্রাণের নিমন্ত্রণে ? মত্ত মেঘের দিগন্ত-উৎসবে র্তাধার-পাথার চারিধার ঘিরে রবে, ডুবে যাবে সারা ধরার চেতন, হয়ে দিশাহার কাদিবে বেদন,— - আবার শ্রাবণ-মিলন-রজনী ফিরিয়া আসিবেংকৰে ? .