বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ

নিকটে থাকিতেন। মহেশবাবুর এই ভগিনীর সহিত আমি । ওয়াড ওয়ার্থের ভগিনী ডোরোণীর তুলনা করি। মহেশ বাবুর এই দিদি হাজারীবাগেই পরলোকগমন করিয়াছেন। তাহাকে ভ্রাতৃশোক লঙ্ক করিতে হয় নাই। আমার হাজারীবাগ যাইবার প্রধান উদ্বেশু ছিল বহুকাল পরে মহেশবাবুর সাহচৰ্য্য লাভ এবং ভগবানের কৃপায় ষোল-সতের দিন আমার সেই সৌভাগ্য হইয়াছিল। যখন আমি হাজারীবাগে তাহার বাসাতেই উঠিব স্থির হুইল তখন মহেশবাৰু শহরের মধ্যে র্তাহার বাসা কোথায় তাহার একটি নক্সা পাঠাইয়া দেন। হাজারীবাগ রোড ষ্টেশন হইতে মোটর-বাসে হাজারীবাগ পৌঁছিয়া আমি আমার বাক্স বিছানা একটি মুটের মাথায় দিয়া তাহার বালাভিমুখে রওনা হইলাম। আমাকে নক্সার সাহায্য গ্রহণ করিতে হয় নাই ; মুটেরাও র্তাহার বাসা চিনে । মহেশবাবু নক্সা পাঠাইয়া দিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন না। যেখানে মোটর-বাস থাকে, তথায় তিনি তাহার একজন ভৃত্যকে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন ; কিন্তু মোটর-বাস সেদিন তথায় না থামায়, ঐ ভূত্যের সহিত আমার দেখা হয় নাই। .তাহার বালার নিকটে গিয়৷ দেখিলাম যে তিনি বারান্দায় আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন। জিনিষপত্র মুটের মাথা হইতে নিজে নামাইলেন। বারান্দা হইতে র্তাহার সহিত প্রথম কক্ষে প্রবেশ করিয়া হতভম্ভ হইলাম –এ যে একটি পুস্তকের দোকান। চারিধারে খোলা শেলফে অসংখ্য পুস্তকরাশি ; মেঝের বেঞ্চের উপর এবং জানালার উপরেও বহু পুস্তক ; মহেশবাৰু ষে বাড়িতে থাকিতেন তাহার প্রধান অট্টালিকায় তিনটি শয়নঘর ; ঐ ঘর কয়টিই পুস্তকে পূর্ণ। প্রথম ঘরে সেই অগণ্য পুস্তক মধ্যে মাঝখানে তাহার ছোট একটি শয্যা এবং তাহারই সামনে একটি বৃহৎ টেৰিল । দ্বিতীয় ঘরটি আমার জন্তু নিদিষ্ট হইল। আমি বলিলাম, যে, কথায় ৰ’লে বাশ বনে ডোমকাণা ; আমি যে ক'দিন থাকিব কোনও বই পড়িব না। আপনার মুখে বইয়ের কথা শুনিব। হইয়াছিলও তাই। ब्रवैौअनाcथब्र कविऊ डिनि धूय ८क्नैौ *tफन नांदे । चामि - مسلسد {36} আনাইলেন। তাহার পত্রে পরে তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতার প্রশংসাস্থচক অনেক কথা লিখিয়াছিলেন। । র্তাহার স্বাস্থ্য ভাল ছিল না। ইদানীং ঢিলা পায়জামা পরিয়া বাড়িতে থাকিতেন ; এবং বেড়াইতে যাইবার সময় একটি গেরুয়া রঙের পাগড়ী মাথায় বাধিতেন। অজানা লোক অনেক সময় তাহাকে পাঞ্জাবী বলিয়া ভুল করিয়াছে। তাহার মুখে শুনিয়াছি—একবার বেড়াইতে বাহির হইয়া পথে একজন পরিচিত ভদ্রলোকের সহিত দেখা হইল। তাহার সহিত রাস্তায় দাড়াইয়া কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলিয়া অগ্রসর হইলেন। ঐ ভদ্রলোকের সহিত র্তাহার একটি বন্ধু ছিল , মহেশবাৰু অগ্রসর হইলে শুনিতে পাইলেন যে, ঐ বন্ধুটি বলিতেছেন, “ৰাঃ । ইনি ত বেশ বাংলা বলতে পারেন ।” তিনি একবার মাত্র যৎসামান্ত অল্প গ্রহণ করিতেন । তিনি নিরামিষাশী ছিলেন। প্রাতে উঠিয়া এক পোলা কোকো ও কয়েকখানি বিস্কুট, বৈকালে ও রাত্রি ৯টার সময় ঐ প্রকার। রাত্রি ১•ট বাজিলেই শয়ন করিতেন। এই “কোকো” কক্সবারই তিনি স্বহস্তে প্রস্তুত করিতেন। অথচ বাসায় তাহার দুটি চাকর ; একটি মালির কাজ করিত ७द९ श्रृंख्क भूहिउ, चाँच्न सिक्छन श्रृश्व्र चछ कांजक६ করিত। তিনি কাহাকেও নিজের কাজের জন্ত কষ্ট দিতে চাহিতেন না। প্রাতে উঠিয়া পাশ্বের ঘর হইতে শুনিতাম যে, কোন স্তোত্র বা গীতার কোন অধ্যায় বা স্বরচিত একটি সংস্কৃত স্তোত্র আবৃত্তি করিতেছেন। তাহার স্বরচিত স্তোত্রটি নিম্নে দেওয়া হইল। ইহা হাজারীবাগ স্কুলের ছাত্রদের ক্লাসের পাঠ আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে আবৃত্তি হুইবার জন্ত রচিত হইয়াছিল । - এখানে দেখিলাম তাহার যাবতীয় বৌদ্ধ প্রবন্ধ প্রবাসী হইতে কাটা শেলাই করিয়া রাখিয়াছেন। পরে জানিতে পারি যে রামানন্দবাৰু সেগুলি প্রকাশের ভার লইয়াছেন। হাজারীবাগের গণ্যমান্ত ব্যক্তি মাত্রই তাহাকে শ্রদ্ধা করিতেন এবং অনেকে তাহার বাসায় আসিতেন । হাজারীবাগে ইহার হাওর পরিবর্তন করিতে আসিতেন র্তাহারাও অনেকে তাহাকে ও র্তাহার লাইব্রেরী দেখিতে জালিতেন। অধ্যাপক জীযুত গোপালচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যান্থ উাহার সহিত রেখা করিতে আসিয়া বলিলেন, “হাজারীবাগ আদি৷