পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৃঙ্খল শ্ৰীমুখীরকুমার চৌধুরী S 6. অজয়কে বিমান বার বার বলিয়াছে, সমস্যাট তোমার একলার নয়, মানুষের জীবনের, বিশেষ করিয়া এযুগের সভ্য মানুষের জীবনের অধিকাংশ সমস্যাই কোনও-না-কোনও রূপে সমষ্টিগত সমস্ত। কিন্তু বিমানের কথা অজয় গুনিত মাত্রই, শ্রদ্ধা করিয়া শুনিত না। তদুপরি নিজের পুরুষকারে তাহার অপরিসীম নির্ভর। নিজের বাহিরে আর যাহ-কিছু, তাহারই ত অপর নাম দৈব। সমষ্টিগত কৰ্ম্মফলকেও সে দৈবেরই নামান্তর বলিয়া জানে। মৃতরাং একলার মনে করিয়াই তাহার জীবনের সমস্ত সংশয়-সমস্যার সঙ্গে সে সংগ্রাম করিতে নামিয়াছে। প্রথমেই তাহার দৈহিক অসম্পূর্ণতা। এই কদিনেই শরীর যেন আরও ভাঙিয়া পড়িয়াছে। শ্রম না করিয়াই শ্রাস্তি. আহার নাই অপরিপাক আছে। নন্দ তাহার পরিচিত এক হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের কাছে লষ্টয়া যাইবার বোধ করে। তাহার অস্বাস্থ্য তাহার লজ্জা, ইহাকে প্রচার করিয়া বেড়াইতে তাহার আপত্তি। স্বভদ্র বন্ধু মানুষ, পাচনে তিক্ততা ছিল, আগৌরব ছিল না। নন্দকে এত কথা সে বলে নাই, বলিয়াছে সমস্ত অস্বাস্থ্যের প্রতিকার অনায়াসে এবং বিনা চিকিৎসাতে করিতে পারে, প্রতি মানুষ সেই গভীর শক্তিতে শক্তিমান। নিজের মধ্যে সেই শক্তির উৎসস্থল আমি খুজিয়া বাহির করিব, ইহাই আমার সাধন। নতুবা মহন্তত্বের দুরূহতর পরীক্ষাগুলিতে আমি উত্তীর্ণ হইব কেমন করিয়া ? বিমান কাছে থাকিলে বলিত, “তুমি ভারতবর্ষের মানুষ, তোমার এধরণের সব spiritualityর মূলে আছে তোমার মজাগত আলস্ত। সবকিছুকে তুমি সহজ করিতে চাও। बिबांटनब्र कथों ७ीर्थन नों छांविरणe करण। अछरब्रव्र छरिङ এখন একমাত্র মানুষ নন্দ, তাহাকে লষ্টয়া কোনও গোল নাই । অহেতুক শ্রদ্ধা জিনিসটা নন্দ তাহার পূর্বপুরুষদের নিকট হইতে উত্তরাধিকার সুত্রে পাইয়াছে। অজয় শ্রদ্ধেয়, অজয় প্ৰণমা, ইহা স্থির করিয়াই সে মুরু করিম্নাছিল, স্বতরাং অতঃপর তাহার মধ্যে যাহ-কিছু অপরিস্ফুট, যাহ-কিছু দুৰ্ব্বোধ্য দেখিত তাহাকেই অনন্যসাধারণ জ্ঞান করিয় ভক্তিতে আনন্দে আপ্লুত হইয়া যাইত। অজয়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও কিছু লক্টম্ব সে তর্ক করিত না. তর্কটা অজয়ের হইয়া মনে মনে নিজের সঙ্গে করিত। স্বভাবের ভয়-প্রবণতা লইয়াও অজয়ের লজ্জার অবধি ছিল না, নন্দের সঙ্গে থাকিয়া যাওয়াও কতকটা সেই পাপেরই প্রায়শ্চিত্ত-বিধানের অঙ্গ। যখন নন্দের খোজ করা তাহারই সৰ্ব্বাগ্রে কৰ্ত্তব্য ছিল তখন বিপদের ভয়ে সে তাহাকে এড়াইয় চলিয়াছে, আজ যাচিয় বিপদের সম্মুখীন হষ্টয়া সেই অপরাধ সে ক্ষালন করিতে চায়। দেশের অতীত ঐতিহ্যের তমসাচ্ছন্ন অন্ধকারে কল্পনার দীপবৰ্ত্তিক হাতে করিয়া মাঝে মাঝে অভিযান করে। নানা রকম করিয়া দেশের বহুমূগী সমঙ্গকে ভাবে, মনে মনে তাহাদের নানা ঐতিহাসিক সমাধান স্থির করে, কিন্তু তাহার মন খুসি হয় না। সমস্ত সমস্তার একটি যে সমাধানকে গহনতম অন্ধকারের অতল তলা হইতে অন্তরের আলোয় প্রদীপ্ত কহিয়া সে বাহিরে আনিতে চায়, তাহার পথ কোথায় কতদূরে ? অন্ধকারের পথে, সংগ্রামের পথে বেশীদূর অগ্রসর হইবার মত জোর অজয় কিছুতেই মনের মধ্যে সঞ্চয় করিয়া উঠিতে পারে না। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত চিত্তবৃত্তি কেমন দুৰ্ব্বল । নিস্তেজ হইয়া পড়িয়াছে। কোনও কিছুতেই সাড়া জাগে না । তাহার দৃষ্টিতে নূতন যুগের আলোয় চোখ মেলিয়াছে, বিংশ শতাব্দীর ভাষায় যুগযুগাভের ভারতবর্ষের বাণী তাহার