পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার তীর্থযাত্রা জীবনারসীদাস চতুৰ্ব্বেদী চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার কথা"। জার্মান পাদরী রেভারেও হেনরী উফম্যান সমস্ত দিনের পরিশ্রমের পর বিশ্রাম করিতেছিলেন এমন সময় ডাকহরকরা বিলাতী ডাক দিয়া গেল। স্বদুর বিদেশে প্রবাসঘাপনকালে নিজ মাতৃভূমি হইতে আগত সংবাদের প্রতীক্ষা লোকে যথেষ্ট উৎকণ্ঠার সহিত করিয়া থাকে। পাদরী-সাহেব বার্লিনের ডাকঘরের ছাপমারা একটি চিঠি অত্যন্ত ঔৎসুক্যসহকারে খুলিয়া দেখিলেন, চিঠির উপরে ‘এলিজাবেথ হাসপাতাল, বার্লিন' লেখা । ভিতরে পাদরী-সাহেবের দশম বর্ষীয়া কঙ্কা মেরীর কয়েকটি বড় বড় ফটো ছিল। শিক্ষাব্যাপদেশে মেরী পুরুলিয়া-প্রবাসী পিতার নিকট হইতে দূরে ,জাৰ্ম্মানীতে কৈশোরযর্ষ যাপন করিতেছিল। পত্রে লিখিত ছিল— *আপনি শুনিয়া দুঃখিত হইবেন যে, মেরী এখানে আসা অবধি পীড়িত হইয়াছে। উহার শরীরের উপর চাকা চাকা দাগ পড়িয়াছে এবং আরও কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছে যাহা দেখিয়া অভ্রন্থ চিকিৎসকেরা কিছুই নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারিতেছেন না। সম্ভবত ভারতবর্ষে রোগনির্ণয় হইতে পারে এই নিমিত্ত তাহার ফটো পাঠাইতেছি।” চিঠি পড়িয়া পাদরী-সাহেব চিন্তিত হইলেন এবং কালবিলম্ব না করিয়া কলিকাতা রওয়ানা হইলেন । সেখানে তিনি চিকিৎসকদের মেরীর ফটো দেখাইলেন ও পত্রের বর্ণনা আহুপুৰ্ব্বিক শুনাইলেন। সমস্ত শুনিয়া চিকিৎসকেরা কহিলেন, “আপনার কন্যার কুষ্ঠরোগ হইয়াছে।” কুষ্ঠ ! রেভারেও উফম্যানের চিন্তার জার অবধি রহিল না। তিনি নিজের কার্ধ্যস্থলে প্রত্যাবর্তন করিলেন। কিছুদিন পরে পত্ৰযোগে তিনি প্রিয়তম৷ কস্তার হৃদয়বিদারক মৃত্যুসমাচার প্রাপ্ত হইলেন। পাদরীসাহেব চিন্তা করিলেন, যে দুঃখ আজ আমার উপর चोजिब्बां श्रृंक्लिबांदइ णक जक निष्ठा भांड उज्वांब्रा नैौग्निष्ठ । ७र्षन श्रेष्ठहे डिनि भट्न भरन हिब्र कब्रिड्रां जहेप्लन ८ष, ভারতের কুণ্ঠরোগীদের সেবায় তিনি জীবন ব্যয়িত করিবেন। ষে সদিচ্ছা চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে বীজক্সপে উহার হৃদরে উপ্ত হইয়াছিল, আজ তাহাই মনোরম উপবনস্বরূপ পুরুলিয়া শহরে বিদ্যমান। ভারতবর্ষ, ভারতবর্ষ কেন, সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কুষ্ঠাশ্ৰম আজ পুরুলিয়ায় অবস্থিত। যাহার হৃদয়ে শ্রদ্ধাভক্তি তথা মানবসমাজ-প্রেমের বিন্দুমাত্র বিকাশ হইয়াছে পুরুলিয়ার এই আশ্রম তাহার নিকট তীর্থস্থান বলিয়া পরিগণিত হইবে । মহাত্মা গান্ধীও এই তীর্থযাত্রা করিয়া আসিয়াছেন এবং এ বিষয়ে লিখিয়াছেন— “To see the happy faces of the inmates was to realize what loving service rendered in the name of God can do.” অর্থাৎ “এই আশ্রমবাসীদের প্রসন্ন মুখমণ্ডল দেখিয়া স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ঈশ্বরের নামে প্রতিষ্ঠিত মানবের প্রেমপূর্ণ সেবাধৰ্ম্ম কি অনটন ঘটাইতে সক্ষম।” গত ডিসেম্বর মাসের প্রারভে এই তীর্থে যাত্রা করিবার সৌভাগ্য অামার হইয়াছিল। রাত্রে হাওড়াতে পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে উঠিয়া পরদিন প্রাতে পুরুলিয়া পৌছিলাম। মিশনের সেক্রেটারী মিঃ এ-ডোনাল্ড মিলার সাহেব ষ্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। পুরুলিয়া শহর বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বোধ হইল না। বিহার-প্রাস্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার खछ थनिकe नग्न । ७हे नश्ट्ब्रग्न बांश्रिब्र ७क इनब्र রমণীয় স্থানে এই আশ্রম অবস্থিত—এক বিশাল সরোবর ও নানাবিধ বৃক্ষরাজি এই স্থানের শোভা চতুগুণ বৃদ্ধি করিতেছে। পূৰ্ব্বে এই স্থান জঙ্গলসমাকীর্ণ ছিল— শুনা যায়, এই জঙ্গল বন্যপশু ও পোকামাকড়ের সাম্রাজ্য ছিল। সেই জঙ্গল আজ মানবের মঙ্গল আলিয়াছে। शूकणिञ्च चांअंश ४२> छनzक चांडवंध्न निद्रां८इउद्मरषा १ew खन कूटैtब्रांग्रंशख, ७s छन त्रिज ७षंबe রোগাক্রাপ্ত হয় নাই। জনসংখ্য। এই প্রকার—পুরুষ ese,