পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

85২ কতকগুলির সাধুরূপ কতকগুলির চলিতরূপ নেওয়া হোক। বোধ হয় যে শব্দের সাধু ও চলিত রূপের প্রভেদ শেষ অক্ষরে, তার চলিতরূপ গ্রহণযোগ্য, যথা ‘স্থত, মিছা, কুয়ী' স্থানে ‘সুতে, মিছে, কুমে । যার প্রভেদ আদ্য বা মধ্য অক্ষরে, তার সাধুরূপষ্ট রাপা যেতে পারে, যথা ‘ওপর, ভেতর, পুরনো, উনন না লিপে উপর, ভিতর, পুরানো উনান । ( s ) যে সংস্কৃত শব্দ চলিতভাষায় আচল নয়, তা যেন বিরুত করা না হয় । ‘সত্য, মিথ্য, নূতন, অবশ্য বজায় থাকুক। ( e ) এ ভাষায় অনুবাদ করলে রামায়ণাদি সংস্কৃত রচনার ওজোগুণ নষ্ট হবে, অথবা এ ভাষায় দর্শন বিজ্ঞান লেখা যাবে না এমন আশঙ্ক ভিত্তিহীন । দুরূহ শব্দ আর সমাসে সাধুভাষার একচেটে অধিকার নেই। বাত্যাবিক্ষোভিত মহোদধি উদ্বেল হইয়া উঠিল না লিপে ...হয়ে উঠল লিখলে গুরুচণ্ডাল দোষ হবে না। দু-দিনে অভ্যাস হয়ে যাবে। গুনতে পাই ধুতির সঙ্গে কোট পরতে নেই, পাঞ্জাবী পরতে হয়। এই রকম একটা ফ্যাশনের অনুশাসন চলিতভাষাকে অভিভূত করেছে। ধারণা দাড়িয়েছে- চলিতভাষা একটা ఏం8O তরল পদার্থ, এতে হাত-পা ছড়িয়ে সাতার কাটা যায়, কিন্তু ভারী জিনিষ নিয়ে নয়। ভার বইতে হলে শক্ত জমি চাই, অর্থাৎ সাধুভায । এই ধারণার উচ্ছেদ দরকার। চলিতভাষাকে বিষয় অনুসারে তরল বা কঠিন করতে কোনও বাধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশে নবরচিত পাঠ্যপুস্তকে যদি এই ভাষ চলে তবে তা কয়েক বৎসরের মধ্যেই সাধারণের আয়ত্ত হবে। ব্যাকরণ আর অভিধানে এই ভাষার শকাবলীর বিবৃতি দিতে হবে, অবশু সাধুভাষাকেও কিছুমাত্র উপেক্ষা করা চলবে না, কারণ, সে ভাষার বহু পুস্তক বিদ্যালয়ে পাঠ্য থাকবে। কালক্রমে যখন সাধুভাষ প্রত্ন হয়ে পড়বে তখনও তা স্পেনসার শেক্সপিয়ারের ভাষার তুল্য সমাদরে অধীত হবে। নূতন লৈখিকভাষাও চিরকাল এক রকম থাকবে না নিয়মের বন্ধন যেমনই হোক । শক্তিশালী লেখকগণের প্রভাবে পরিবর্তন আসবেই, এবং কালে কালে যেমন পঞ্জিকা-সংস্কার আবগুক হয়, তেমনি যোগ্যজনের চেষ্টায় লৈখিকভাষারও নিয়মসংস্কার আবশ্যক হবে। বসুন্ধরা ঐঅমরেন্দ্রনাথ বসু নিখিল কাব্যে চিনিকু তোমারে, নিত্য স্রোতের নানা নিগ্রহে, বস্কন্ধরা ! কত আনন্দে শত বিদ্রোহে, জীবন-তন্ত্রে সে বাণী কি মোর কার পানে চাহি জীবনোৎসবে স্বতন্তরা ? অমর-কুচি ? কাহার উদার অঙ্কে নিবিড় Tಧ್ಧಿ পরশ গুচি ? রূপে রসে তুমি চিন্ময়ী মম ; * * * * #sm আঁধার শিক্ষরে জলে যে দীপালি ཨེ་ཙེ་ཨ་ཀྱཱ་ཡཱ་ཀཱ་ར་ཎ་ চিরন্তনী ; তারি মত তুমি অন্তলৈকে যে-মন্ত্র প্রেম জীবন-দেউলে নিরঞ্জনী ! উচ্চারিছে ; তব রহস্তে নানা সন্ধানে, ধেয়ে চলে তারা কি গভীর টানে ! হেরিস্তু তোমারে প্রথম চাহনি তোমার রূপের অসীমে হৃদয় উন্মেষিয়া ; নিজাহারা, সেদিন উঠিল জীবন প্রথম তিমির-স্বপ্ন-প্রয়াণে যেমন নিশ্বসিয়া । সঙ্কাতারা ।