পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©სჭ· ধ্ৰুপ্রবাসী; SoğO গোটা-দুই পান মুখে পুরিয়া লাঠিখানি হাতে করিয়া বাহির হইয়া পড়িলেন । যাইবার কালে কিন্তু স্ত্রীকে কিঞ্চিৎ আশ্বাসের স্বরেই বলিলেন,-“আমি শীগগিরই ফিরব---” অমলা তাহার কথার কোন জবাব দিল না, পানের ভিধাটি তাহার হাত হইতে লইয়া ফিরিয়া দাড়াইল । খাবারগুলি সে স্বহস্তে প্রস্তুত করিয়াছিল । তাহার মতে যেগুলি ভাল হইয়াছিল, রাধিকাবাবু তাহার একটিও স্পর্শ করেন নাই। র্তাহার সে অবসরটুকুও ছিল না, এমনি খেলার টান ! রাধিকাবাবু চলিয়া গেলে অভুক্ত খাদ্যগুলি একটি পাত্রে তুলিয়া ঢাকিয়া রাখিয়া সে শয্যায় গুইয়া পড়িল । মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিল, সারারাত্রির মধ্যে সে একবারও উঠিবে না, লোকে ডাকিয়া মাখ। কুটিয়া ভাঙিয়া ফেলিলেও না। থাক সে দামোদর ভটচার্য ও দাবী-বোড়ে লইয়া। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইল, সে না উঠিলে সকলকে অভুক্ত থাকিতে হুইবে । ঝিও অধিকক্ষণ থাকে না, একটু রাত্রি হইলেই হাতের কাজ না সারিয়া চলিয়া যায় । চাকরটির সব সময় ঘরে থাকিবার কথা, কিন্তু ভাগকেও ডাকিয়। ডাকিয়া পাওয়া যায় না। ঐ পুষ্করিণীর ধারে স্যাকরার দোকানে গিয়া বসিয়া থাকে। শীঘ্ৰ কাজ কৰ্ম্ম না চুকাইয়া ফেলিলে অস্থবিধায় পড়িতে হইবে তাহাকেই। অগত্য। অঞ্চলে চক্ষু মুছিয়া মনে মনে অন্ত প্রকার প্রতিশোধের উপায় চিন্তা করিতে করিতে সে শয্যা ছাড়িয়া পাকশালার দিকে চলিয়া গেল । ওদিকে রাধিকাবাবু আড্ডায় পৌছিয়া দেখিলেন, চন্দরবাৰু মাং হুইয়া আর এক হাত খেলিবার জন্ত গুটিগুলি সাজাইতে আরম্ভ করিয়াছেন। তাহাকে দেখিয়া সকলে একটু মুখ টিপিয়া হাসিলেন। চন্দরবাবু ব্যথিত কণ্ঠে বলিলেন,—"দাদার নিষ্কৃতি জার কিছুতেই নেই! রেস নয়, ফটুক নয়, একহাত ছাবখেলা তাতেও বৌদি আসতে দেন না—” इंकाछैो दिखञ्च नखद्र थांबांब्र भषा श्८ङ ७कक्लश्न কাড়িয়া লইয়া হৃদয় ঘোষ বলিলেন, —“তোমাদের এখনও একপক্ষ চলছে, দ্বিতীয় পক্ষের খবরদারীতে পড়নি ত—” বলিয়াই নিজের রসিকতায় অট্টহাস্ত করিয়া উঠিলেন। ব্যাপারটা অন্তরূপ হইয়া থাকিলেও কথাগুলি রাধিকাবাবুর মন্দ লাগিতেছিল না—ন্ত্রৈণ হওয়ার মধ্যে৪ আমোদ আছে। তিনি চন্দরবাবুকে একটা ঠেলা দিয়া সরাইয়৷ সেই হাতে বসিতে বসিতে বলিলেন,— “তাড়াতাড়ি একদান খেলে নি । শীগগিরই যেতে হবে—” “সে তোমার দেরি দেখেই বুঝেছি। কিন্তু কালকের হারটা আজ শোধ না দিয়ে-আমি উঠছি না—” বলিতে বলিতে দামোদর ভটচাথ চাল স্বরু করিলেন। রাধিক। বাবু বলিলেন,“বেশ—” দেখিতে দেখিতে খেলা জমিয়া উঠিল। মস্তিষ্কে তাহার চিন্তা ও বাহিরে তাম্ৰকুট-ধুম মাহব পাচটিকে কেন্দ্র করিয়া, কুগুলী পাকাইয়া, দেহ এলাইয়া, ঘুরিয়৷ ফিরিয়া, উদ্ধে উঠিয়া, নিম্নে নামিয়া, আঁকিয় বাকিয়া ভাসিয়া বেড়াইতে লাগিল । তার পর খেলা যখন ভাঙিল—রাত্রি বারোটা ! বাহিরে ঝুপঝাপ বৃষ্টি হইতেছে। চন্দরবাবু, বিজয় দত্ত ও হৃদয় ঘোষ নাই—তাহার কখন কোন ফাকে উঠিয়া গিয়াছেন। দামোদর ভট্টচার্য বলিলেন,—“এই দুপুর রাতে বৃষ্টিতে ভিঞ্জে, ঠাণ্ডায় বাড়ি গিয়ে কাজ নেই—” রাধিকাৰাবু জুতা পরিডে পরিতে বলিলেন,—“ষা বলেছ- * "ভাল কথাই বলছি, বাড়ি গিয়ে দরজা খোলা পাবে -"

  • কেন r" “ব্যাপার দেখে আমি আগে থাকৃতে চাকরকে দিয়ে খবর পাঠিয়েছি, আজ তুমি এখানে থাকৃবে। জুতো খোল, খাবার দিতে বলি, কাল ত ছুটি—”

খেলাটা মাতের মুখে চটিয়া যাওয়ায় রাধিকাৰাবুর মন প্রসন্ন ছিল না। তাহার উপর সন্ধ্যাৰেলাকার ব্যাপারটা মনে পড়িয়া গেল। ফিরিবার পথে আবার এই এক বিপত্তি। তিনি ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন।