পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] স্বপ্রসিদ্ধ মহামহত্তক সন্ধিবিগ্রহিক চণ্ডেশ্বর । ই কৃত্যুচিস্তামণি প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন।. চণ্ডেশ্বর তুলাপুরুষ দান করিয়া সংসারাশ্রম ত্যাগ করেন এরূপ প্রবাদ আছে । বত্নাকর সপ্ত— কৃতা, দান, ব্যবহার, শুদ্ধি, পুজা, বিবাদ, গৃহস্থ : তন্মধ্যে বিবাদ-রত্নাকর আমাদের দেশের প্রামাণিক গ্রন্থ এবং ইংরেজীতে অসুবাদিত হইয়াছে । বীরেশ্বরের আর-এক ভ্রাতুপুত্র রামদত্ত উপাধ্যায় কৰ্ম্মপদ্ধতিকওঁ । দুইজনের গ্রন্থ একত্র মিথিলায় মুদ্রিত হইয়াছে। বিদ্যাপতির পিতা গণপতি ঠাকুর দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী নামক গ্রন্থ রচনা করেন। উক্ত গ্রন্থে শিবসিংহের পিতার অগ্রজ রাঙ্গা শ্ৰীগণেশ্বরের নাম আছে । গণপতি ঠাকুর গণেশ্বরের সভাপণ্ডিত ছিলেন।-- মিথিলায় তখন গ্রাহ্মণ রাজা । ইহার এককালে ক্ষত্রিয় রাজাদিগের গুরু ছিলেন । পরে ইহরাই বীজ হইয়াছিলেন । বিদ্যাপতির পূর্বপুর্বঘের ক্ষত্রিয় রাজদেগের দক্ষিণহস্ত-স্বরূপ ছিলেন । ব্রহ্মণ-বংশেরও উtহীর দক্ষিণ হস্তই ছিলেন । বিদ্যাপতি নিজেও অনেক রাজার অধীনে কী স্থা করিয়াছিলেন । প্রথম কীৰ্ত্তিসিংহ, তার পর দেবসিংহ, তার পর শিবসিংহ, .# পদ্মসিংহ, তার পর হরসিংহ, তার পর নরসিংহদেব । তার পর ধীরসিংহ । বিদ্যাপতি ইহাদের সকলেরই রক্ত সভাসদ ও পণ্ডিত ছিলেন । কীৰ্ত্তিসিংহের রাজত্বেল ঠিক পূর্বেই মুসলমানের তিরহুত দখল করিয়া লয় এবং তিবহুতে অরাজকত উপস্থিত হয় হিন্দু সমাজ লণ্ডভণ্ড হইয়া যায়। কীৰ্ত্তিসিংহ পিতু রাজ্য উদ্ধার করেন এবং আবীপ হিন্দু সমাজের পুনর্গঠন করিতে আরম্ভ কবেন ... সমাজ-গঠনের ভারট দীর্ঘজীবী বিদ্যাপতির উপরই পড়িয়ছিল।... BBBBB BBB BSBB BB SBBBBBBKSgDBBB KK ধীরসিংহেব সময় লেখা হয় । সেটি ১৫ শতকের মাঝামাঝি অর্থাৎ প্রায় ১৪৫০ সালের ...বিদ্যাপতি প্রায় ১ • • শত বৎসর বয়সে ঐ পুস্তক লেথেন 1• • • সহজিয়ারা ,য বলিয়৷ থাকে বিদ্যাপতি রসিক ভক্ত ছিলেন, লপিমাদেবী ঠাহীর প্রেসপালী, একথাটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নহে । কাবণ বিদ্যাপতি শুধু শিবসিংহ ও লখিমীদেবীরই ভণিত দেন নাই, ভোগীশ্বর ও র্তাহীর রণব ভণিত দিয়াছেন ; দেবসিংহ ও র্তাহার রাণীব ভণি৩ দিয়াছেন ; শিবসিংহ ও র্তাহার অন্যাস্ত রণব ভণিত দিয়াছেন ; তিরহুতের অনেক বড় বড় রাজকৰ্ম্মচারী ও তাঁহাদের পরিবারের নামে ভণিত দিয়াছেন ; এমন কি হুসেন শাহের নামেও ভণিত দিয়াছেন । সুতরাং ভণিতায় রাণীদের নাম দেখিয় বিদ্যাপতিকে সহজিয়া ঠাওরান যুক্তিযুক্ত নয় ...বিদ্যাপতির পুত্রপৌত্রের বেশ পণ্ডিত ছিলেন । তাহীর পুত্রবধূও গান লিপিয়াছেন শুনা যায়। বিদ্যাপতি পণ্ডিত ---তিবহুতেব রাজাদের একজন প্রধান সভাসদ এবং হিন্দুসমাজের পুনগঠনে কৃতসংকল্প ।--তিনি কবি ।--তিনি ইতিহাস লিপিতেছেন। কীৰ্ত্তিসিংহ কেমন করিয়৷ পিতৃবৈরানীশ করিয়া সপ্তবত্নাকর, প্লাজ্য উদ্ধার করিলেন, শিবসিংহ কেমন করিয়া স্বাধীন হইলেন, দেবসিংহের মৃত্যুর পর কেমন করিয়া সকল বাধা বিপ্ন অতিক্রম করিয়া শিবসিংহ রাজ্য লাভ করিলেন, তাহীর ইতিহাসের গানগুলি তাহার কীৰ্ত্তিলতা ও কীৰ্ত্তি-পতাকা উহাকে ভারতবর্ষের একজন প্রধান ইতিহাস-লেখক করিয়া তুলিয়ছে ...একটা জিনিষ কিন্তু বড়ই আশ্চৰ্য্য—বিদ্যাপতি সংস্কৃতে যে বই লিখিয়াছেন, তাহতে স্মৃতি অর্থাৎ হিছুয়ানী ত আছেই, তার উপর শিব আছেন, দুর্গা আছেন, গঙ্গ৷ আছেন ; কৃষ্ণ ব| বিষ্ণু একেবারেই নাই । আবার মৈথিল ভাষায় যে গান লিথিয়াছেন তাহতে শিবও আছেন, সেই সঙ্গে দুর্গাও আছেন, কষ্টিপাথর-পল্টুদাস So S গঙ্গাও আছেন, বেশীর ভাগ কুমরাধ আছেন । ইহার অর্থ কি ? যখন পণ্ডিত হইয় সংঙ্গতে লিখিতেছেন তখন কৃষ্ণ-বিষ্ণুর নামও করেন নাই, কিন্তু যখন মৈথিলী ভাষায় লিখিতেছেন তখন রাধ ও মাধবে ভরপুর। ইহার অর্থ ঠিক বোঝা যায় না ... কীৰ্ত্তনের গান বিদ্যাপতির সময় হয় নাই | উজ্জ্বলনীলমণি ভক্তিরসামৃতসিন্ধু প্রভৃতি রসশাস্ত্রের বই খুব প্রচলিত হইয় গেলেই বৈষ্ণবসমাজে ইদানীন্তন কীৰ্ত্তনের স্বষ্টি হয় ।...বিদ্যাপতির অন্ততঃ দুইশত বৎসর পরে ...বিদ্যাপতির অনেক গানে রাধাকৃষ্ণের নামও নাই, গন্ধও নাই ...মিথিলায় প্রবাদ আছে, কামিনী করএ সননে গানটি কোন বাদসাহের ফরমায়েসী ... বেফরমায়েদী গান বিদ্যাপতি নিজেও সে সকল লিথিয়ছেন তাহার অনেকই মাত্র আদি রসের, রাধাকৃষ্ণ বা বৈষ্ণুবের পদ নয়।-- সংস্কৃত অলঙ্কারে যত কিছু কবিপ্রৌঢ়েীক্তি আছে, যত চলিত উপম৷ আছে, বিদ্যাপতি ঠাকুর তাহার গানগুলিতে সেগুলির প্রচুর ব্যবহার করিয়াছেন । হালাসপ্তসতী, আর্য্যসপ্তসতী, অমরুশতক, শৃঙ্গারতিলক, শুঙ্গারণতক, শুঙ্গারাষ্টক প্রভূতি সংস্কৃত এবং প্রাকৃত আদিরসের কবিতাগুচ্ছ হইতে বিদ্যাপতি আপনার গানের যথেষ্ট ভাব সংগ্ৰহ করিয়াছেন। অনেক সময় পড়িতে পড়িতে স্বপরিচিত সংস্কৃত শ্লোক মনে পড়ে।...শুধুই যে সংস্কৃত উপমা বিদ্যাপতির সম্বল, তাহ নহে, ওঁহিব নিজের উপমা ও আছে ...বিদ্যাপতির নিজস্ব কিন্তু সাজনির তারিফ । তাহাতে একটা সুতনত্ব আছে, পড়িলেই মুগ্ধ হইতে হয়।...গানের ভিতর ভাবগুলিসাজান বিদ্যাপতির নিজেরই । সে অতি সুন্দর । বিদ্যাপতি বহিজগতেই ইউক. আর অস্তজ গতেই হউক, সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলি বাছিয়া লইয়| সজাইবার সময় সুন্দরতর সুন্দরতম কলিয়া তুলিয়াছেন ।... বিদ্যাপতি অনেক জায়গায় ঋতু বর্ণনা করিয়াছেন । ভ{ণ অতি মিষ্ট, স্বত্ব অতি মিষ্ট, সংস্কৃত ঋতু বর্ণনার যা কিছু মিষ্ট আছে সব আনিয়া এক করা হইয়াছে । গানগুলি কিন্তু ছোট । একটা পূরী কিছুর বর্ণনা ভাল করিয়া করিতে গেলে যতটুকু জায়গা চাই, গানে ততটুকু জায়গা পাওয়া যায় না । স্ত্র তরাং দু' চারিটি অতি মিষ্ট জিনিষ একত্র করিয়। গানটি শেষ করিতে হইয়াছে । বেশী কথা বলিবার জায়গা নাই, হতরাং যাহার সংস্কৃত পড়িয়াছে তাহদের পক্ষে কুর অাব ভাষা ছাড় নুতন জিনিষ কিছুই নাই। কেবল সেই সংস্কৃত কবিতার স্মৃতি জগাইয় দিয়াই গান থামির যুtয় --- তিনি সৌন্দর্য্যেল কবি ছিলেন, সেনাধ্য সৃষ্টি করিয়া গিয়ছেন । ( প্রাচী, ভাদ্র ) শ্ৰী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পলট,দাস প্রায় দ৬ শত বৎসব পুৰ্ব্বে যখন অযোধtয় নবাণ শুজ-উদ্দৌল ও দিল্লীতে সাই-অtলম বিরাজ করিতেছিলেন, তখন অযোধ্যlর ভক্ত সাধকগণে সদয়-সিংহাসনে এক মহাভক্তের রাজত্ব চলিতেছিল । ইনিই ভও পল্ট দাস . পল্ট, অযোধ্যার নংগাজালালপুর গ্রামের কান্দু বাণিয়া নামে এক গ্রাম্য দোকানীর ছেলে ।. অযোধাবাসী ভক্ত গোবিলদাসের কাছে পল্ট, উপদেশ লাভ করেন .তিনি “চারবরণ-কে মেটি কে ভক্তি চলঙ্গ মুল । গোবিন্দ গুরুকে বাগমে পল্ট ফলে ফল ।