পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re8 جیسه ( ১২১ ) বাংলার স্বাধীন হিন্দু রাজা বাঙ্গালাদেশে প্রবাদ অাছে যে পুরাকালে সিংহবাহু নামে একজন বাঙ্গালী, এই বঙ্গদেশের স্বাধীন রাজা ছিলেন। রাঢ়দেশে সিংহপুর নামক নগরে উtহার রাজধানী ছিল। উtহারই পুত্র বিজয় সিংহ খৃঃ পূঃ ৫ম শতাব্দীতে সিংহল ( Ceylon) বিজয় করিয়াছিলেন । বিজয়সিংহের সিংহল-বিজয়ের চিত্র এখন অজস্তার গুহায় দেখা যায় । আরো কিংবদন্তী আছে, যে আদিশূর নামক জনৈক বাঙ্গালী খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে বাংলাব প্রথম স্বাধীন রাজ ছিলেন, তাহার রাজধানী ছিল গৌড়ে । কথিত হয় যে তিনি কনৌজ হইতে বাংলা দেশে যে পাঁচ জন ব্রাহ্মণ আনয়ন করিয়াছিলেন উtহীরাই বৰ্ত্তমান রাঢ়ী ও বীরেন্দ্র শ্রেণীর ব্রাহ্মণগণের আদি পুরুষ। এই-সকল প্রবাদবাক্যের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলিয়। মনে হয় না। তবে যে-সকল বিবরণের ঐতিহাসিক ভিত্তি ও মুল্য আছে তাহাই নিম্নে লিপিবদ্ধ করা যাইতেছে । আৰ্য্যগণের পুর্বে বঙ্গদেশে অনার্য্য দৰ্ঘ্যর বাস করিত। আর্য্যর আসিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম সংস্থাপন ও আর্য্যসভ্যতার বিস্তার করিলেন এবং তৎসঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশকে প্রধানতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করিয়াছিলেন, বীরেন্দ্ৰ—উত্তরবঙ্গ, বঙ্গ—পূৰ্ব্বসঙ্গ. ও রাঢ়—পশ্চিম ও দক্ষিণ-বঙ্গ । মৌর্য্য- ও গুপ্ত-রাঙ্গত্বকালে বাংলাদেশ তাহীদের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল, কিন্তু ৬৪৭ খৃষ্টাব্দে হৰ্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যু হইলে তাহার স্ববিস্তৃত সামাজ্য ভাঙ্গিয় কতকগুলি খওরাজ্যে পরিণত হইল । তখন বাংলার উপর তন্নিকটবৰ্ত্তী অনেকগুলি প্রবল শক্তির নজর পড়িল । তাহার ফলে বাংলার অবস্থা বড়ই শোচনীয় হইয় উঠে। বাংলার সেই তুর্দিনে সেই পরিবর্তন-সমম্বিত সমযে দেশেব অনেক ক্ষমতাশালী বিজ্ঞলোক সম্মিলিত হইয়। দেশের শাস্তি ও স্বশুঙ্খল! সংস্থাপনের জন্ম “গোপাল” নামক জনৈক বুদ্ধিমান ও স্বচতুৰ লোককে ৭৫৯ খৃষ্টাব্দে বাংলার রাজপদে প্রতিষ্ঠিত কবেন। উাহাব সকলে স্বেচ্ছাপূর্বক “গোপালের অধীনত স্বীকার করিয়াছিলেন ; এবং উtহার ওরূপ বশ্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন বলিয়াই একদিন প্রায় সমস্ত উত্তর-ভারত বাংলার শাসনে আসিয়াছির । গোপালকে অী বীর “গোপালদেব” বলিয়াও অভিহিত করা হয়। উক্ত “গোপালদেবই” বাংলার প্রথম স্বাধীন বঙ্গালী হিন্দুরাজ ছিলেন । “গোপাল” এই নামের শেধে “পাল” শব্দ অাছে বলিয় তাহীর বংশ বাংলার “পালবংশ’ বলিয়। খ্যাত । গোপালদেবের পুত্র ধৰ্ম্মপাল এক সময় প্রায় সমগ্র উওর-ভারতের অধীশ্বর হইয়াছিলেন । পৌণ্ডবৰ্দ্ধনে গোপালদেবের রাজধানী ছিল । বর্তমান বগুড়া সহরের ৮ মাইল উওবে মহাস্থানগডেব যে ধ্বংসস্তুপ আছে, তাহাই প্রথম স্বাধীন বাঙ্গালী হিন্দু রাঙ্গার রাজধানী পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের স্মৃতিচিহ্ন । অনন্তুর বাংলাদেশ সেনবাজগণের হস্তগত হইলে তাহার। প্রথমে পেও বৰ্দ্ধন হইতে রাজসাহীর অন্তর্গত "দেওপারে" এবং অবশেষে ১১৬৯ খৃষ্টীৰো গৌড়ে রাজধানী উঠাইয়া লইয়া যান। গী যশোদাকিঙ্কর ঘোম ( २२e ) স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধৰ্ম্মে ভয়াবহ: | এই শ্লোকের প্রকৃত অর্থ এইরূপ —স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম বলিতে কি বুঝায়, আমরা প্রথমে তাহাই আলোচনা করিব। স্বধৰ্ম্ম কি ?—স্ব অর্থাৎ আত্মার ধৰ্ম্মই স্বধৰ্ম্ম, অর্থাৎ যে ধৰ্ম্ম দ্বারা আপনাকে জানা যার অর্থাৎ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e . AeeMAe MMAMMAe eMAMMAMMAMA AAAA AAAA AAAA AAM MMAeM MMAeMMeMAeMAeMAeMMMeMMMA MAMMAMA AMMAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAM MM AM AMAM AeS eS eS eS AASAASAASAASAA AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAA AAAAMAAAA { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড যিনি আপনাকে জানেন, তাহাই এস্থলে স্বধর্ণ। আর পরধৰ্ম্ম কি ? -- ইন্দ্রিয়গণের ধৰ্ম্ম অর্থাৎ যে ধৰ্ম্ম দ্বারা চিত্ত ইঞ্জিয়াসক্ত থাকে—যtহাতে আত্মজ্ঞান জন্মে ন ( কারণ জিতেন্থি য় ন হইলে আত্মজ্ঞান জন্মে না ), জtহাই এখানে পরধর্থের অর্থ । তাহ হইলে যে পর্য্যন্ত পরধৰ্ম্মে অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গণের ধৰ্ম্মে আসক্ত থাক যায়, তাবৎ স্বধৰ্ম্ম অর্থাৎ আত্মজ্ঞান জন্মে না বা তাহতে থাকাও যায় ন!—কেবল পবধৰ্ম্মেই থাকা হয় । পরস্তু জন্ম হইলেই মৃত্যু অনিবাৰ্য্য, তখন স্বধৰ্ম্ম অর্থাৎ আত্মধৰ্ম্মে থাকিয়াই মরণ ভাল। যেহেতু উহা জীবকে ইহজন্মে, বিশেষতঃ পরজন্মে, উন্নত করে। পক্ষাস্তরে ইঞ্জিয়গণের ধৰ্ম্মে থাকিয়া মরণ হইলে ত{হার মত ভয়াবহ অীর কিছুই নাই । কারণ পরধৰ্ম্মে ভোগের নিবৃত্তি নী হইয়। বরং বৃদ্ধিষ্ট হইয়া থাকে। সেইজন্যই শ্ৰীভগবান গীতাতে বলিয়৷ গিরাছেন - “স্বধৰ্ম্মে থাকিয় মরণও ভাল ; কিন্তু পরধৰ্ম্মে থাকিয়া মরণ বড়ই ভয়াবহ ।” এস্থলে পরধৰ্ম্মকে ভয়াবহ বলিবার তাৎপর্যা এই যে, উহ। দ্বার। ভোগের অবসান ন হইয়। ববং ক্রমশঃ বৃদ্ধিই হইয়া থাকে। ঐ রমেশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তা SBBBS BBB BSBB KBBB BBBBS BBB BB BBBBB প্রশ্ন দুইটি— ( ১ ) ইহার বাস্তবিক অর্থ ? (২) কোথায় প্রয়োগ হইয়াছিল ? ( ১ম ) স্বানুষ্ঠিতাৎ ( সৰ্ব্বাঙ্গপুৰ্ত্ত্যাকুতাৎ অর্থাৎ উত্তমরূপে অনুষ্ঠিত ) পরধৰ্ম্মাৎ ( পরধৰ্ম্ম হইতে ) বিগুণ: ( সদোষ অপি অর্থাৎ অঙ্গহীন ) স্বধৰ্ম্মঃ ( স্বকীয়ে ধৰ্ম্মঃ অর্থাৎ নিজ-প্রকৃতিগত ধৰ্ম্ম ) শ্ৰেয়ঃ ( পশস্যতরঃ অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ )। অর্থাৎ সুন্দর রূপে অনুষ্ঠিত পরধৰ্ম্মাপেক্ষ সদোষ স্বধৰ্ম্ম শ্রেষ্ঠ । “স্বধৰ্ম্মে (প্রবর্তমানস ) নিধনং ( মরণং অর্থাৎ মৃত্যু ) শ্ৰেয়ঃ ( শ্রেষ্ঠ: অর্থাৎ কল্যাণকর ) পরধৰ্ম্মঃ ( ইন্দ্রিয়ধৰ্ম্মঃ ) ভয়াবহ: ( ভয়সস্কুল ) স্বধৰ্ম্ম অর্থাৎ আত্মধৰ্ম্ম পালনে দেহান্ত হইলেও , কল্যাণ লাভ হয় কিন্তু পরধৰ্ম্মে অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ধৰ্ম্মের কার্য্য অত্যন্ত ভয়সস্কুল । { ২য় ) মহাযুদ্ধ-ক্ষেত্রে সত্ত্বগুণসম্পন্ন বীরশ্ৰেষ্ঠ অর্জুন গুরুজন ও আত্মীয়গণ নষ্ট হইলে ধৰ্ম্ম ছানি হইবে এই ভাবিয়া যখন শোকে ও মোহে অভিভূত হইয় আত্মজ্ঞান হাবাইল সামান্ত মানবের স্যায় দীনভাবে শিষ্যত্ব স্বীকার করিয়া যুদ্ধপ্রবৃত্তি-রূপ “ক্ষত্রিয়ধৰ্ম্ম শ্রেয়” কি যুদ্ধে নিবৃত্তি শ্রেয়, ইহা জানিতে চাহিয়াছিলেন, সেই সময়ে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ আত্মজ্ঞানেচ্ছ, ধীমান অর্জুনকে শ্ৰীমদ্ভগবদগীতার ২য় অধ্যায়ের ১১শ শ্লোক হইতে যে-সকল আত্মজ্ঞান দিয়াছিলেন এই শ্লোকাংশ (৩য়) অধ্যায়ের ৩৫ গ্লোকের তন্মধ্যস্থিত। গীতা-শাস্ত্র সম্পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান-প্রতিপাদক, কেননা, পূৰ্ণব্ৰহ্ম বলিয়া কল্পিত শ্ৰীকৃষ্ণমুখ-পদ্মবিনিঃস্থত । অতএব শ্ৰীকৃষ্ণ যে সাধারণ সমাজ গঠিত বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম ব্যক্তির স্তায় হিন্দু মুসলমান ও খৃষ্ট-ধৰ্ম্মাবলম্বীর গোড়ামি-ভাব দেখাইয়। অর্জুনকে নীচস্বভাবপ্রাপ্ত দলাদলি বা আত্মপরভাবে উপদেশ দিয়াছেন ইহা কখনও সম্ভব হইতে পারে না । কেননা ভগবন্ধুক্ত ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বজনীন মনুষ্য মাত্রেরই রক্ষা বা পরিত্রাণের উপায় । সুতরাং এই প্লেকের প্রকৃত অর্থ এই যে মনুষ্য মাত্রেই সকলেই নিজ নিজ প্রকৃতির ধৰ্ম্মানুযায়ী কাৰ্য্য করে বা করা স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম । কারণ প্রকৃতি বা স্বভাবের অমুকুল কাৰ্য্য করিতে সকল জ্ঞানীব্যক্তিই ইচ্ছা করে, প্রতিকুল কাৰ্য্য করিতে কেহ চায় না । ৩য় অধ্যায়ের ৩৩শ ৩৪শ শ্লোকে ভগবান বলিয়াছেন যে জ্ঞানী বা অক্সানী সকলে স্বীয় প্রকৃতির অনুযায়ী কৰ্ম্ম করেম,