পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ২য় সংখ্যn ] ہمعیبر پہ-مین** جمیع معر اح کبیر ح নিকটবর্তী স্থানও যোগাইতে পারিত না, কারণ অনাবৃষ্টি অল্পদেশব্যাপী কদাচিৎ হয় । এই প্রশ্ন একটু বিস্তারিত আলোচনা করিতেছি । প্রথমে দেখি, অনাবৃষ্টির হেতু কি। পূর্ববঙ্গে অনাবৃষ্টি হয় না, এখানে হয় কেন । দেখিতেছি, আরব-সাগর ও বঙ্গসাগর হইতে যে দুই নীরদ বায়ুপ্রবাহ আমাদের দেশে বহিয়া থাকে, উহাদের সংঘর্ষস্থলে বাঁকুড় অবস্থিত । শুধু বাকুড়া নহে, মেদিনীপুর ও ওড়িষ্যার দশাও তাই, কতু এই, কতু অই প্রবাহ প্রবল হইয়া উভয়ে দুর্বল হইয়। পড়ে । ফলে স্ববৃষ্টি, বিশেষতঃ যথাকালে বৃষ্টি, বাঁকুড়ার ভাগ্যে নাই । কিন্তু প্রকৃতি অন্য এক বিষয়ে উদার ছিলেন। পূর্বকালে বাকুড়া বনভূমি ছিল । বিষ্ণুপুর নাম এখনও বনবিষ্ণুপুর নামে খ্যাত সে জঙ্গল আর নাই। লোকে বন নিমূল করিয়া শর্থনা ডাঙ্গ ফেলিয়া রাখিয়াছে। মান্যবর মজিষ্ট্রেট সাহেব পূর্বের বনভূমির এক মানচিত্র করাইয়াছেন। তাহাতে দেখি অধিক কাল নয় পঞ্চাশ বৎসর পূবেও বাঁকুড়া জেলার বার আন জঙ্গলে পূর্ণ ছিল । তখন প্রজা এত বৃদ্ধি পায় নাই, কৃষিভূমির টান পড়ে নাই, কাঠের দর চড়ে নাই, এবং বোধ হয় বড় বড় জঙ্গল যার-তার অধিকারেও যায় নাই। এখন বৃষ্টিজল বৃক্ষমূলে আবদ্ধ হয় না, বৃক্ষদেহে রসরুপে সঞ্চিত হয় না। পড়িবামাত্র গড়াইয়া জোলে উপস্থিত হয়, কিয়দংশ ভূনিম্নগত হইয়া কাকর-বাহ ল্যহেতু অবিলম্বে সেই জোলে আসিয়া পড়ে, পরে খাল ও নদীর বন্যা স্বষ্টি করে । অনাবৃষ্টি হইলে ইন্দ্রের দোয, অতিবৃষ্টি হইলেও ইন্দ্রের দোষ। কিন্তু বুদ্ধিমান জন প্রকৃতির সহিত কলহ করে না । প্রকৃতির দানে নিজের প্রয়োজন যথাযোগ্য সাধন করে। আমাদের বুদ্ধি থাকিলে বন কাটিয়া শ খন ডাঙ্গা করিতাম না, কিংবা নদীর দুই তীরে অবিচ্ছিন্ন বঁাধ - ص ح-تصحیح عصایح - مس - ح - مس - سمی -ه বাধিয়া বনভূমির উবরতা-শক্তি সাগরে নিক্ষিপ্ত হইতে - দিতাম না। যে মাটির উপরিভাগে পাথর কাকর মোটা ৰালি, তাহার জল কে আটকাইতে পারিবে ? অস্তঃস্রোত কে রোধ করিবে ? পারিত গাছে ; কিন্তু, তাহ নিমূল । শ,খন পাতা ঝরিয়া পড়ে না, পাতা পচিম মাটি হয় না, বঁকুড়া সারস্বত সমাজের উদবোধন-পত্ৰ । S S SMSM SMS A S A S A S A S A S A S A SAS ২৩৭ পশ্চিমাংশ A S A S A S A S A S AAAAS মাটিতে রসও থাকে না । ব.কুড়া শহরের সেদিন পর্যন্ত বনাকীর্ণ ছিল । এখন সেখানে পাতা পচার লেশ নাই । অনেকে জানেন, এখন সেখানে কুআতে যত হাত দেড়ী লাগে তখন তত লাগিত না । অরণ্যধ্বংসের দ্বিতীয় ফলও ঘটিয়া থাকিবে । বায়ু শঙ্ক হইয়া থাকিবে । ভূনিম্নগত যে জল বৃক্ষ-মুল দ্বারা শোষিত হয়, কাও ও প্রকাগু, শাখা ও প্রশাখা-পথে উঠিয়া পত্রের নাসারন্ধ দিয়া তাহার অধিকাংশ বাষ্পাকারে বায়ুতে নিক্ষিপ্ত হয়। ফলে বায়ু শুষ্ক হইতে পায় না। শফ বায়ুতে দেহের রস খাইয়া যায়, পিপাসা বৃদ্ধি পায়, এবং পিপাসা নিবৃত্তির চেষ্টায় বৃক্ষ ক্লান্ত হইয় পড়ে। তখন মাটিতে রস থাকিলেও শস্তের পুষ্টি ও আধিক্য আশা করিতে পারা যায় না । * প্রকৃতির সহিত কলহ না করিয়াও পূর্বকালে লোকে জলস্থিতির ব্যবস্থা করিয়াছিল । যেখানে বৃষ্টি অনিশ্চিত সেখানেই পুষ্করিণী ও বন্ধে বৃষ্টিজল ধরিয়া রাখিত। বাকুড়ায় এখন সেসব বুজিয়া গিয়াছে । সম্প্রতি উদ্ধারের উদ্যম হইতেছে, কিন্তু, কেবল তদ্বারা ছভিক্ষের উপশম হইবে না। বস্তুত, বাকুড়ায় দুর্ভিক্ষ হয় না। ধান চৗল পাওয়া যায়, লোকে অর্থাভাবে কিনিতে পারে না । বল বাহুল্য, অর্থের অভাব আর অল্পের অভাব, এক কথা মহে। বৃষ্টিজল সঞ্চিত থাকিলে ধান শুখাইবার শঙ্কা থাকিবে না ; ধান জন্মিবে, কৃষিজীবী মাসকয়েক কম পাইবে, বেতন পাইবে । ধানে ও বেতনে দেশের ধন বৃদ্ধি হইবে। কিন্তু, তা বলিয়া ধান যে সস্তা হইবে, একথা বলিতে পারা याँग्रे न] । অন্যদিক্ দিয়া দেখি । বতমানে কৃষিযোগ্য ভূমিই আমাদের একমাত্র ধন হইয়াছে। জনসংখ্যার অনুপাতে বাকুড়ায় এই ভূমি অল্প। লক্ষ লক্ষ লোক ভূমি-হীন । তাহাদিগকে অন্যের ভরণীয় হইয়া জীবন যাপন করিতে হয়। যখন ভূ-স্বামী ভতৰ্গর শস্যহানি হয়, তখন ভরণীয় প্রথমে কষ্ট পায় । সাজায় চাষ, কি ভাগে চাষ, ভরণীয়ের পক্ষে সমান কথা । বাস্তবিক, কর্ষণোপযোগী যাবতীয় ভূমি বাকুড়ার যাবতীয় লোককে সমান ভাগ করিয়া দিলে প্রত্যেকের ভাগে দুই বিধাও পড়ে না। যদি