পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪৮ AMSAMeSMAeSAeSAMAeSAeM AMeS AeMAM AMAMS তার পর শ্রীকান্তের হাত ধরিয়া ঝাকানি দিয়া বলিলেন —“তুমি যুবক শীঘ্র যোড়শী স্ত্রীর মুখ-নাড়া সহ করিতে রু কর।” &আশীৰ্ব্বাদের বেগ ও অতিশয্যে তিন ভাইবোনেই :লয় ফেলিল। বিরজা ভাইবোনকে সাদরে বসাইয়। :ীর পানে চাহিয়া বলিল—“সাদা কথাও এমন ভঙ্গী রে’ বল যে মনে হবে কি একটা কাণ্ড করে বস্লে ।” অমরনাথ হাসিয়া বলিলে —-“কথাটা কিন্তু তোমার jইয়ের অপ্রিয় হয়নি। হয় না হয় তাকেই জিজ্ঞাস .# রামায়ণের একটা উপমা দিলেই ব্যাপারটা খুব স্থল হ’য়ে উঠবে। অন্ধমুনি দশরথকে শাপ দিয়েছিলেন, পুত্ৰশোকে তোমার মৃতু্য হবে । তাতেই তিনি আনন্দে অধীর হয়েছিলেন ; যেহেতু পুত্ৰশোক পেতে হ’লে পুত্রলাভ অবখ্যম্ভাবী। এ ক্ষেত্রে যোড়শীর মুর্থনাড়া * করতে হ’লেই তার পণিপীড়মটা আগেই করতে হবে । কি বল শীকান্ত ?” বিরজা হাসিয়া বলিল—“আচ্ছ, তুমি এখন ঠাট্ট। ধামাও । এদের সঙ্গে একটু কথাবাৰ্ত্তী কই ।” “অ’চ্ছ, আমার তা হ’লে এখন পেনসন হ’ল ! পাষণ্ড ঐক্যস্ত, তোমার জন্য আমার আজ এই দুরবস্থ৷ ”—বলিয়া কুন্ত্রিম কোপের সহিত অমরনাথ শ্রীকান্তের পানে হিলেন । সকলে একসঙ্গে হাসিয়া উঠিল । . শ্ৰীকান্ত প্ৰাত:কৃত্য সারিয়া অমৰনাথের কাছে বসিয়া পানে প্রবৃত্ত হইল। শৈলজাকে সঙ্গে লইয়া বিরজা ভতরের দিকে চলিয়া গেল । রাজায় রাজায় দেখা হয় . বোনে বোনে দেখা হয় না । বিবাহিত। ভগ্নীদের }হাদরাদের পরস্পর দেখা-শুনা অল্পই ঘটি থাকে, ঠাই এই প্রবাদের জন্ম । বিরজা অপ্রত্যাশিত ভাবে শৈলজার সাক্ষাৎ পাইয়া তাহাকে নির্জনে জিজ্ঞাশ করিল—“শৈল, হঠাৎ যে ? তুই আবার পাটন ধাবার পথে আমার সঙ্গে দেখা করে’ যাবি তা ভাবিনি।” শৈলজা নিরুত্তব রহিল। শৈলজার কাধে স্নেহভর। হাত রাখিয় তাহার কৃশ স্থিা অতিম্বন্দর মুখের পানে চাহিয়া বিরজা বলিল— প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড تعمیم معیامیه-معیخ ۹ আবার AMMSAMAMAMMAeAeeAeeAM “শৈল ভাই, এত রোগ হ’য়ে গেছিস কেন ! বুঝি—” বলিয়াই শৈলজার পাণ্ডুর মুখের পানে চাহিয়া অমুশোচনায় শুরূ হইয়া গেল । “না মেজদি, ভালোই ত আছি”—কথা কয়টি শৈলজার মুখ দিয়া এমন স্বরে বাহির হইল যেন এই থাকাটাই তাহার জীবনের ভীর হইয়া দাড়াইয়াছে। বিরজা দেথিল শৈলজার চক্ষু যেন কাহাকে খুজিতেছে । কি একটা কথা যেন সে বলি-বলি করিয়াও বলিতে পারিতেছে ন । বিরজ জিদ করিয়া শৈলজাকে স্বনাদি শেষ করিবার জন্য পাঠাইয়া দিল । স্নান করিয়া শৈলজা কিছু স্বস্থ হইল । তাহাকে নিজ হাতে কিছু খাওয়াইয়া দুই বোনে শয্যার উপর পাশাপাশি বসিল । শৈলর একখানি হাত সস্নেহে আপনার হাতের মধ্যে রাখিয়া বলিল –“শৈল, ভাই, সত্যি করে বল, কিরণের কোন চিঠি পেয়েছিলি छूझे ?” শৈলজার বুকের শব্দ তখন এত জোরে হইতেছিল যে তাহার ভয় হইতেছিল বুঝি বা বিরজ এখনি শুনিতে পাইবে । মুখ নীচু করিয়া শৈল উত্তর দিল—“ন, মেজদি ।” “তবে তুই কি ক’রে জান্‌লি কিরণের এখানে আস্বার কথা ছিল। চমকাস্নে ভাই। আসা পয্যন্ত তোর চোখ সে সেই একই কথা বলে’ দিচ্ছে । আমার কাছে লজ্জা কেন ভাই ।” শৈল আর আপনাকে গোপন করিতে না পারিয়া কহিল—“বাবাকে তিনি চিঠি লিখেছিলেন তাই থেকে আমি জানতে পেরেছিলাম। হয়ত তিনি আর বেশীদিন বঁচি বেন না–তাই মনে করে’ এখান দিয়ে হ’য়ে যেতে চেয়েছিলাম । কিন্তু তার সঙ্গে আমার দেখা হওয়া আর অদৃষ্টে নেই।” বলিয়া শৈলজা বিরজার প্রসারিত বাহুর উপর ললাট রাখিয়৷ মুখ লুকাইল । বিরজা সস্নেহে শৈলজার পিঠে গত বুলাইতে লাগিল আর অনুভব করিতে লাগিল শৈলজার চক্ষু হইতে বিন্দু বিন্দু করিয়া অশ্র তাহাঁই বাহু সিক্ত করিতেছে। শৈলজার