পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88२, مميميه "معهد সঞ্জীবিত রাখে, সেটাকে তার ভাবরাজ্য বা ভাবময় জীবন বলা চলে । আমাদের সাধারণ কৰ্ম্মজীবন আমাদের জীবিকাসংস্থানের উপাদান সংগ্রহ করে দেয়, আমরা সতত যে স্থত-লবণ-তৈল-তগুল-বস্ত্রেন্ধন-চিন্তয়া জর্জরিত থাকি, ত যোগানই ওর প্রধান কাজ। কিন্তু কৰ্ম্ম যখন দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বেষ্টনীকে অতিক্রম করে' উন্নততর ক্ষেত্রে বিচরণ করতে চায়, তখন আমাদের ভাবময় জীবনই তার এবং মনের খোরাক যুগিয়ে থাকে। যে-সকল উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ও আদর্শ আমাদের মগ্নচৈতন্যে সুপ্ত অবস্থায় লীন হয়ে থাকে, আমি যে ব্যাপক অর্থে ‘সাহিত্য’ শব্দ ব্যবহার করেছি, তার আলোচনা ও অমুশীলন দ্বারাই সেগুলি জাগ্রত হ’য়ে আমাদের ভাব ও কৰ্ম্মের উপর একটা উন্নততর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। কতকগুলি মহৎ আদর্শের সঙ্গে পরিচয় ও তার অমুশীলন ব্যতিরেকে সম্যগ দৃষ্টি লাভ হয় না। যে বস্তুর ভিতর দিয়ে ঐ মহৎ আদর্শগুলি আমাদের মানসক্ষেত্রে প্রতিভাত হয়, তাকেই আমি সাহিত্যের উপাদান বলি । ম্যাথু আৰ্ণল্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য স্বধীগণ এরূপ সাহিত্যসেবালব্ধ মানসিক অবস্থাকে culture (কালচার) বলে বর্ণনা করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র ‘ধৰ্ম্মতত্ত্বে' এই কালচারেরই প্রাধান্ত দিয়ে গিয়েছেন। মামুষের সমস্ত বৃত্তিগুলির সম্যক বিকাশ্ম ও সামঞ্জস্য সাধন এর উদ্দেশ্য। গ্ৰীকজাতির এই আদর্শ ছিল, এবং আধুনিক পাশ্চাত্যজাতিগণ মানসিক উত্তরাধিকারস্বত্রে তার কতকটা লাভ করেছেন। আমাদের শিক্ষা ও সাধনা অনেকটা একদেশদশী, অর্থাৎ ব্যক্তিগত মুক্তি ও পরলোকতত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত । যে-সকল জাগতিক ব্যাপার নিয়ে আমাদিগকে প্রতিমুহূৰ্ত্তে কারবার করতে হয়, সে-সকল প্রত্যক্ষদৃষ্ট ব্যাপার সম্বন্ধে আমরা অনেকটা উদাসীন । স্কুল-কলেজে এযুকল বিষয়ে আমরা যেটুকু পড়ি, তা কেবল অর্থোপার্জনের খাতিরে । আমাদের মনের উপর সেগুলি কোন স্থায়ী দাগ রেখে যায় না। স্বতরাং মনুষ্যত্বের সৰ্ব্বাঙ্গীন বিকাশ ও সমন্বয়ের সাধনা আমাদের পক্ষে অত্যাবশ্যক। যে মাত্রাজ্ঞানের অভাব আমাদের কৰ্ম্ম ও চিন্তাকে অনেকাংশে পঙ্গু করে রেখেছে, "কালচার’ S AASAASAA MAMAAA AAAA SAAAAASA SSASAS SSAS SSAS MAMS প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩e. [ २७* छां★, २ग्न १७ ۰-مبمبیی همبیی هسیه ব্যতীত তার দূরীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সকলকেই যে একই নির্দিষ্ট পথে অগ্রসর হতে হবে, সকলেই যে সাহিত্যচর্চা করবে, তা নয়। তবে জনসাধারণের বুদ্ধিবৃত্তিকে কিয়ৎপরিমাণে মার্জিত করে তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্বন্ধে খাটি জ্ঞান প্রচার করতে হলে দেশের শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে এই আত্মোৎকর্ষসাধন-চেষ্টার ব্যাপকতা লাভ করা বিশেষ দরকার। নতুবা আমরা কেতবে পড়ব এক, কাজে করব অন্তরূপ—আমাদের বিচারবুদ্ধি দৃঢ়প্রতিষ্ঠ হবে না এবং দেশের অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বিপুল জনসভঘকে আমরা ঠিক পথে চালাতে পারব না । কেননা সকল বিষয়েই এ-কথা বলা চলে না—‘জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্তি: । অনেক সময় আমার ধৰ্ম্ম কি, অর্থাৎ ক্ষেত্রবিশেষে আমার কর্তব্য কি, সেটা জানিনে বলেই আমার প্রবৃত্তিকে ভ্রান্তপথে পরিচালিত করে যা অকরণীয় তাকেই কৰ্ত্তব্য বলে’ মেনে নি। আমাদের দেশে এরূপ ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে, এবং এ’কেই আমি জাতীয় est qÚR HfGH A BEI RH53–national inefficiency রূপ একট। শোচনীয় ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেছি। যে সাবিত্ৰীমন্ত্র আজও আমাদের ঘরে ঘরে উদীরিত হয়ে থাকে, বিশ্বমানবের প্রার্থন। আর কোথাও এত উচ্চ গ্রামে গ্রথিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। প্রার্থন বলতে সবলের নিকট দুৰ্ব্বলের কাতর ক্ৰন্দনই আমরা সাধারণতঃ বুঝে থাকি। প্রগাঢ় ভক্তি, একনিষ্ঠ বিশ্বাস, ঐকাস্তিক নির্ভর এর উপাদান, ঈশ্বরে পরামুরক্তি এর প্রাণ। কিন্তু কোথাও কি এরূপ ধ্যান শুনা গিয়েছে, যে সবিতৃদেব আমাদের ধীশক্তি প্রচোদিত করেন, র্তার বরেণ। ভগ অর্থাৎ তেজকে আমরা ধ্যান করি ? ধীশক্তির বিকাশ, তার সবিতাসদৃশ অমিততেজকে ধ্যানে উপলব্ধি করা–এই না আমাদের প্রার্থনার বিষয় ? যে জাতি জ্ঞানের মহিমা ও গরিষ্ঠতা এরূপ ভাবে বুঝেছে, তার অধঃপতিত সস্তান আমরা সেই জ্ঞানালোক থেকে এতই সরে’ পড়েছি যে, আমাদের বর্তমান অবস্থা ইউরোপের Dark Ages বা তমসাচ্ছন্ন যুগের সঙ্গে তুলিত হয়, আর পক্ষাস্তরে পূশ্চিাত্য জগতের শ্রেষ্ঠ মনীষী গেটে প্রভৃতি 'Licht, mehr licht ' 'Light-more light “