পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] একটা নির্জন স্থানে একজন গো-চিকিৎসক এসে বাস করছেন। তার চেহারার বর্ণনার সঙ্গে স্বরদাসের আকৃতির অনেকটা মিল হ'ল। তখনি সে গ্রামে গিয়ে অনেককে জিজ্ঞাসা করলে, কিন্তু গো-চিকিৎসকের সন্ধান কেউ দিতে পারলে না। . সেদিন ঘুরতে ঘুরতে অবসন্ন অবস্থায় উরুবিম্ব গ্রামের প্রাস্তে একটা বড় বট-গাছের ছায়ায় সে বসেছে । সন্ধ্যা তখনও নামেনি, ঝিবুঝিরে বাতাসে গাছের পাতাগুলো নাচছে, পাশের মাঠে পাকা শস্তের শীষগুলো সোনার মত চিকমিক করছে, একটু দুরে একটা ডোবার মতো জলাশয়ে বিস্তর কুমুদ ফুল ফুটে আছে, অনেক বন্তহংস তার জলে খেলা করছে । সামনে একটু দূরে একটা ছোট পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে একটা ঝরণা। পাহাড়ের নীচে এক জায়গায় ঝরণার জল খানিকট আটকে গিয়ে ওই ডোবার মতো জলাশয়ট তৈরী করেছে। প্রত্যুম্নের হঠাৎ চোখ পড়ল পাহাড়ের গা বেয়ে ধাপে ধাপে ঘট কক্ষে এক স্ত্রীলোক নেমে আসছেন । দেখে তার মনে কেমন সন্দেহ হওয়াতে সে এগিয়ে গেল। ডোবার এদিকের উচু পাড়ে গিয়ে দেখেই তার মাথাটা যেন ঘুরে উঠল—এই ত! এই ত তিনি ! ভদ্রাবতীর তীরের শালবনে ইনিই ত পথ হারিয়ে ঘুরছিলেন, মাঠের মধ্যে জ্যোংস্কারাতে একেই ত সে দেখেছিল—তবে তার অঙ্গের সে জ্যোতির এক কণাও আর নেই, পরনে অতিমলিন এক বস্ত্র। কিন্তু সেই মুখ, সেই চোখ, সেই স্বন্দর গঠন ! দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখে তার মনে আর কোন সন্দেহ রইল না যে এই তিনি। তার মনের মধ্যে গোলমাল বেধে গেল। সে উত্তেজনার মাথায় বিহার ছেড়ে স্বরদাসের খোজ করে বেড়াচ্ছিল বটে, কিন্তু দেখা পেলে কি করবে, তা সে ভাবেনি। কাজেই সে একরকম লুকিয়েই সেখান থেকে চলে এল । রোজ রোজ সন্ধ্যায় প্রস্থায় এসে বটগাছটার তলায় বসে। রোজ সন্ধ্যায় আগে দেবী পাহাড়ের গায়ের পথ বেয়ে নেমে আসেন আবার সন্ধ্যার সময় ঘটবক্ষে و حس-۹ মেঘ-মল্লার JAMMMMMMAMAMAMAMAMMAAA AAAA AMMAMeMAMAMAMMMMMMMASJSAJJ لحمیہ۔ میر حه:میr٠٧مياهمي ৬২৫ سر احیای سیرحمایی بسیار محصحسعه "ماه مه ۳ ماه همه ধাপে ধাপে উঠে চলে যান—সে রোজ বলে’ দেখে । ( و ) এইরকম কিছুদিন কেটে গেল। একদিন গ্রন্থায় মাঠের গাছতলায় চুপ করে’ বসে আছে, সেই সময়ে দেৰী জলাশয়ে নামূলেন । সেও কি ভেবে ডোবার এদিকের পাড়ের দিকে দাড়াল—দেখলে দেবী ঘট নামিয়ে রেখে কুমুদফুল সংগ্রহে বড় ব্যস্ত। একটা বড় ফুল জলাশয়ের এপারের দিকে এগিয়ে বেশী জলে ফুটেছিল, তিনি সেট সংগ্রহের জন্য খানিকটা বৃথা চেষ্টা কবৃবাব পর চোখ তুলে অপর পারে প্রস্থ্যমকে দেখতে পেয়ে হঠাৎ একটু অপ্রতিভের হাসি হাস্লেন—তার পর হাসিমুখে তার দিকে চেয়ে বললেন, “ফুলটা আমায় তুলে’ দেবে ?” “দিই যদি আপনি এক কাজ করেন।” “কি বলে ?” “আমায় কিছু খেতে দেবেন ? আমি সমস্ত দিন কিছু খাইনি।” দেবীর মুখে ব্যথার চিহ্ন দেখা দিলে। বললেন, “আহা ! তা এতক্ষণ বলনি কেন ?—এপারে এস, থাকৃগে ফুল !" প্রদ্যুম্ন জলে নেমে ফুলটা সংগ্রহ করে’ ওপারে গেল । দেবী বললেন, “তুমি মাঠের মাঝের ওই বড় গাছটার তলায় রোজ বসে থাক, না ?” প্রদ্যুম্ন তার হাতে ফুলটা দিয়ে বললে, “হা, আমিও দেখি আপনি সন্ধ্যার সময় রোজই জল আনৃতে আসেন।” দেবী হাসিমুখে বললেন, “ওই পাহাড়ের উপরই আমাদের ঘর—এস তুমি আমার সঙ্গে—তোমায় খেতে দিইগে ।” হঠাৎ দেবী যেন কেমন এক প্রকার বিহবল-চোখে চারিদিকে চাইলেন। তার পর পাহাড়ের গায়ের কাট ধাপ বেয়ে উঠতে লাগলেন, প্রচ্যুম্ন পেছনে পেছনে চলল। পাহাড়ের উপর উঠে গিয়ে—একটু দুরে বুনো বাশঝাড়ের আড়ালে একটা ছোট কুটীর বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । দেবী বদ্ধছয়ার খুলে ঘরের মধ্যে গিয়ে প্রদ্যুম্বকে বললেন, "এস" । ->