পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ) ۶ھی.می. ‘‘جمعیھلا یم** আধুনিক কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিক প্রমাণের যে কোন মূল্যই নাই তাহা দশ বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গালার ইতিহাস রচনা কালে প্রমাণ করিতে হইয়াছিল ।* দনুজমর্দন দেব ও মহেন্দ্র দেবের মুদ্র। আবিষ্কৃত হইলে কায়স্থজাতীয় নেতারা নবাবিষ্কৃত বটুভট্টের দেববংশ নামৰ্ক কুলগ্রন্থ “আবিষ্কার” করিয়৷ এই দুই জন রাজাকে কায়স্থ জাতির অধিকার-ভুক্ত করিবার চেষ্টায় ছিলেন। আমি দশ বৎসর পূৰ্ব্বে এই গ্রন্থের অকত্রিমত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছিলাম বলিয়। মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বঙ্গীয়সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকায় এই কুলগ্রন্থের অকৃত্রিমত্ব বিষয়ক এক স্বদীর্ঘ বিধান প্রকাশ করিয়াছিলেন । শাস্ত্রী মহাশয় কুলগ্রন্থ-প্রিয়, তিনি সকল গ্ৰন্থকেই অকৃত্রিম বলিয়া বিশ্বাস করিতে প্রস্থত এবং সাধারণতঃ প্রমাণগুলি পরীক্ষা করেন না। বটুভট্টের দেববংশে লেখা আছে যে মহেন্দ্র দেব দহুজমর্দলের পিতা । যে তুষ্ট ব্যক্তি এই গ্রন্থখানি জাল করিয়াছিল সে আমারই এক প্রবন্ধে পড়িয়াছিল যে, মহেন্দ্র দেবের মুদ্রার তারিখ ১৩৩৮ শকাব্দ এবং দনুজমর্দনের মুদ্রার তারিখ ১৩৪৯ শকাব্দ । মহেন্দ্র দেব যখন দনুজমর্দনের পূর্ববৰ্ত্তী রাজা তখন তিনি দনুজমর্দনের পিতা না হইয়া আর কোথায় যান। মহেন্দ্র দেবের মুদ্রার তারিখ পড়িতে আমি যে ভুল করিয়াছিলাম সে কথা বটুভট্টের দেববংশের ‘আসল গ্ৰন্থকার জানিতেন না, পরে H. E. stapleton নামক পুৰ্ব্ববঙ্গের একজন বিশিষ্ট রাজকৰ্ম্মচারী মহেন্দ্র দেবের অনেক গুলি মুদ্র আবিষ্কার করিয়া প্রমাণ করিলেন যে, তাহার কোনটিই ১৩৪০ শকাব্দের পূৰ্ব্বে মুদ্রাঙ্কিত হয় নাই। তখন বুঝিতে পারা গেল যে মহেন্দ্র দেব দনুজমর্দনের পরবর্তী রাজা এবং ৮রাধেশচন্দ্র শেঠ মালদহে মহেন্দ্র দেবের যে মুদ্রাটি আবিষ্কার করিয়াছিলেন তাহার প্রকৃত তারিখ ১৩৩৯ শকাব । বটুভট্টের দেববংশের যে অংশটিতে মহেন্দ্র দেবকে দনুজমর্দনের পিতা বলা হইয়াছে সেই অংশটি AMSMSAMAMAMMAeMASAMSAeSAASAASAAAS গণেশ ও দনুজমর্দন &66. ു. ു--് ു."ു--സ-പ്പം പണ്. പാ আর এ কথান প্রাচীন পুথি আবিষ্কার করিয়া প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব সিদ্ধান্ত-বারিধি শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্ব মহাশয় এখনও বলেন নাই যে, “পূৰ্ব্বের পুথিখানি সাত নকলে আসল খাস্ত হইয়াছিল,” কিন্তু একথা বলিবার সময় হইয়া আসিয়াছে । সম্প্রতি বাঙ্গালার ইতিহাস, রাজা মাত্রেরই কায়স্থ বংশে জন্মের উপদ্রব হইতে রক্ষণ পাইয়া বারেন্দ্র উপদ্রবে প্ৰপীড়িত হইযা পড়িয়াছে। শ্রীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় বারেন্দ্র ব্রহ্মণ, তিনি কেবল বাঙ্গালী পাঠকদের জন্য প্রবন্ধ রচনা করেন না, ইংরেজীতে তাহার অনেকগুলি স্বচিন্তিত প্রবন্ধ দেশে ও বিদেশে প্রচারিত হইয়াছে ; স্বতরাং প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব সিদ্ধান্তবারিধি শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্ব যে ভাষায় ও যে ভাবে নূতন রাজার নাম আবিষ্কৃত হইলেই তাহাকে কায়স্থ বংশের অধিকারভুক্ত করিয়া লইয়াছেন সেই ভাবে ও সেই ভাষায় আত্মপ্রকাশ ভট্টশালী মহাশয়ের পক্ষে সম্ভব নহে স্বতরাং তাহাকে ৬ দুর্গাচন্দ্র সান্যাল রচিত অলীক কাহিনীসমূহের আশ্রয়ে আত্ম-গোপন করিতে হইয়াছে। তাহার ইংরেজী গ্রন্থের সমালোচনা করিবার সময়ে অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ সরকার এই বিষয়ে কটাক্ষপাত করিবার লোভ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই ৷e ৬ দুর্গাচন্দ্র সান্যালের মতে রাজা গণেশ বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ এবং ভট্টশালী মহাশয়ের মতে রাজা গণেশের অপর নাম দক্ষ জমদন । ভট্টশালী মহাশয় বলেন যে,— ১। শিহাবউদ্দীন বায়াজিদ শাহের মৃত্যুর পরে রাজা গণেশ বাঙ্গালা রাজ্য জয় করিয়, নিজে রাজা হইয়াছিলেন এবং মুসলমানদিগকে উৎপীড়ন করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । ২ । মুসলমান সাধু নুর কুতব-উল-আলেম সেইজন্য জৌনপুরের স্বলতান ইব্রাহিম শাহ শাকীকে বাঙ্গালা রাজ্য আক্রমণ করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন ।

  • বাঙ্গালীর ইতিহাস, ১ম ভাগ, ১ম সংস্করণ, পরিশিষ্ট (ঙ), পৃ: ১২৮—৩৭ ৷
  • “Our author's critical acumen is not sufficiently awake against D. C. Sanyal’s gossip,”—Modern Review, April, 1923, p. 469. ●