পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] ব্যবসাগত লাভ ও সামাজিক লাভ همنوان AASAASAASAA AAAAMMAMMMMAMMeA MSM MS MS MMSMSMMMS MSMMSMMSMSMSMS MMMMM MMMMMMMM MMM MMMMAMMAMMAMS মূলধনও ইচ্ছা-মত এক ব্যবসায় থেকে অন্য বা যে-কোন ৰ্যবসায়ে যেতে পারে। আমাদের দেশে ১০২ টাকার শেয়ারও দুলভ নয়। যদি ১ • • ০২ টাকার কম কেউ কোন ব্যবসায়ে ফেলতে না পাবুত তা হ’লে সামাজিক মূলধনের অনেকাংশু নিষ্কৰ্ম্ম হয়ে পড়ে থাকৃত । শ্রমশক্তির একক হচ্ছে বেশীর ভাগ স্থলে ব্যক্তি অর্থাৎ একজন লোক । আধজন লোক ত আর শ্রমশক্তি সরবরাহ করতে পারে না, কাজেই এর চেয়ে কম আয়তন শ্রমশক্তির একক হ’তে পারে না । কিন্তু যদি কোথাও একদল লোকের কম লোক কোন কাজে না লাগান যায়, লাগাবার জন্তে পাওয়া না যায়, তা হ'লে শ্রমশক্তির একক ব্যক্তিসংঘ হ’য়ে দাড়ায়। যেমন, যদি শ্রমজীবী তার পরিবার ছাড়া নড়তে না চায়, তা হ'লে যে ক্ষেত্রে একজন মাত্র বেশী লোক নিয়োগু করে উৎপাদন বাড়ন যায়, সে ক্ষেত্রে সে উৎপাদনবৃদ্ধি সম্ভব হবে না। এ ছাড়া যদি একক মিশ্র হয়, অর্থাৎ মুলধন, মানুষ ও প্রকৃতি যদি আলাদা আলাদা পাওয়া না যায়, শুধু সম্মিলিতভাবে পাওয়া যায়, তা হ'লে যেখানে শুধু লপ্ৰল বাড়িয়ে লাভ হয় বা শুধু শ্রমশক্তি বাড়িয়ে লাভ হয়, ইত্যাদি, সে-সব স্থলে লাভের পথ বন্ধ হ’য়ে যাবে। যেমন, শ্রমজীবী যদি বলে, আমার টাকা খাটাবার স্বযোগ না দিলে আমি কাজ করব না, বা মহাজন যদি বলে, আমার জমি চাষ না কবুলে টাকা ধার দেব না, বা শুধু মূলধন দিতে রাজি এমন লোককে যদি বলা হয় যে ব্যবসার লাভ-লোকসানের দায়িত্ব ও তোমায় নিতে হবে, তা হ’লে কোন স্থলেই স্থবিধা-মত কাজ হ’বে না। আজকাল অনেক যৌথ কারবার এমনভাবে অনেক শেয়ার বার করে, যে, নানা-শ্রেণীর শেয়ার-ক্রেতাকে নানা-পরিমাণ লাভ-লোকসানের দায়িত্ব নিতে হয়। এইসব স্থলে কোম্পানীর কোন শেয়ারলভ্যাংশ সবার আগে পায়, কোন শ্রেণীর শেয়ারের শতকরা একটা নির্দিষ্ট হারে স্বদ ঠিক করা হয় এবং সেই সুদ না দিয়ে কোম্পানী আর কিছুতে লাভের টাকা ব্যবহার করতে পারে না, অথবা ঠিক সময় স্বদ না দিলে কোম্পান ফেল হ’য়ে যায় এবং আদালতে সৰ্ব্বাগ্রে বা শেয়ার-ক্রেতার অগ্রে প্রথমোক্ত শ্রেণীর শেয়ার-ক্রেতাদের দাবী গ্রাহ হয়, ইত্যাদি । গভর্ণমেণ্ট, টাকা ধার করার সময় শুধু মূলধনই নেয়, দায়িত্ব কারুর স্বন্ধে চাপাতে চায় না। অনেক রেল কোম্পানীর শেয়ার সম্বন্ধে গভর্ণমেণ্ট অনেক সময় নিজে দায়িত্ব নেয়। দায়িত্বভার গ্রহণ ও মূলধন সরবরাহের মধ্যে তফাৎ আছে বলে অনেকে দায়িত্বভার গ্রহণকে সামাজিক আয় উৎপাদনের চতুর্থ উপকরণ বলেন । ( uncertainty-bearing) Coffz-F IIfxx GfT Itz এবং ব্যাঙ্ক তাদের স্বদ দেয় । এ-ক্ষেত্রে বড় বড় ব্যাঙ্ক-এর সঙ্গে যারা কারবার করেন, তারা শুধু মূলধনই দেন। অবশ্ব বেশী স্বদে অনেক অজানা, কমজান, নূতন ও খ্যাতিহীন ব্যাঙ্ক, টাকা নেয় এবং সে-ক্ষেত্রে টাকা যে দেয়, সে ব্যাঙ্কের স্থিরতার ও ব্যবসায়ের দায়িত্বও কিছু নেয় । ব্যাঙ্ক, আবার অনেক স্থলে টীকা অপরকে দেয় এবং অল্পকালের ( অনেক ব্যাঙ্ক, বেণীকালের জন্যেও ) জন্যে হ'লেও নানা ব্যবসায়ের দায়িত্বের ংশ ঘাড়ে করে। ব্যাঙ্ক মূলধন সচল করে, এবং শুধু মূলধন যারা সরবরাহ করতে রাজি, তাদের কাছ থেকে মূলধনই শুধু নেয়। তার পর নিজের দায়িত্বে টাকা অপরকে দেয়। এদিক থেকে ব্যাঙ্ক-এর একটা খুব বেশী সামাজিক মূল্য আছে। তা হ'লে দেখা যাচ্ছে, যে, ব্যবসায় সম্বন্ধে সঠিক খবব বিস্তার করা এবং উৎপাদনের উপকরণগুলিকে সচল করা ও অমিশ্র ও অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হবার সুবিধা দেওয়ার উপর সামাজিক আয় অনেকটা নির্ভর করে। আর দেখা যাচ্ছে, যে, চলাচল যত সহজে হয়, ততই সীমাস্থিত নেট লাভ সব ব্যবসায়ে সমান হওয়ার সম্ভাবনা। এবং এই সমতা যত বেশী পাওয়া যাবে, অন্তসব অবস্থা অপরিবৰ্ত্তিত থাকুলে, ( অর্থাৎ পরোক্ষভাবে ও সামাজিক, অrয়, আয়ের উপকরণ ও স্বাচ্ছদ্য অক্ষত থাকলে, ) সামাজিক আয় ততই বেশী হবে । সামাজিক নেট লাভ ও ব্যবসায়গত নেট লাভে তফাৎ আছে আগেই বলা হয়েছে। যে-ব্যবসায়ে বেশী লাভ, মানুষ সেই দিকেই যাবে। এই দিক থেকে বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম সামাজিক অন্য