পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ) চিকিৎসালয়ও স্থাপন করা হইয়াছে। স্বস্থ ও সবল লোকদিগকে চরক ও র্তীতের কাজে নিযুক্ত করা হইয়াছে। কিন্তু এখনও বিস্তর অর্থের প্রয়োজন। দুঃখের বিষয় সরকারী সাহায্যও উপযুক্ত পরিমাণে পাওয়া যায় নাই। o গত ৬ই ও ৭ই আগষ্ট তারিখে আবার একটি ভয়াবহ বন্যার সংবাদ পাওয়া যায়। নেত্রবতী নদীর জল বেগে বৃদ্ধি পাওয়ায় বানতোষাল, পানেমাঙ্গালোর, উপীনানগদী ও ভেকুর গ্রামগুলি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। এই সকল ধ্বংস এাপ্ত গ্রামগুলির কতকগুলি ছবি প্রদত্ত হইল । বানতোয়াল গ্রামে &ায় এক হাজার ধব লোকের বসতি আছে। এই গ্রামটির প্রাকৃতিক দৃশ্য অতীব মনোহর। কিন্তু এই প্রবল বন্য। এই শান্তিপূর্ণ গ্রামটির সকল সৌন্দর্য্য হবণ করিয়াছে। সেখানে মাসাধি *কাল পূৰ্ব্বে সুন্দর সুন্দর ঘর-বাড়ী গ্রামের শোভা বৰ্দ্ধন করিত, সেখানে আজ চারিদিকে শুধু ধ্বংসের লীলা । ৭ই আগষ্ট তারিখে নেত্ৰবতী নদীর জল হঠাৎ বুদ্ধি পায়। গ্রামের অধিবাসীরা কোনক্রমে পরিত্যক্ত চালার উপর ও অন্যান্য উচু স্থানে ধাইয় নিজেদের জীবন রক্ষা কবে , কিন্তু গো-মহিমাদি গৃহপালিত পশুগুলি সমস্তই ভাসি যায়। দুইদিন পরে সাতটি মানুষের মৃতদেহ ও હરે જામજી :બન કિડ છેઃ હેજાદ્ધ સંસા ફય গ্রামটির চতুৰ্দ্দিকু জলে বেষ্টিত হওয়ায় অন্য স্থান হইতে সাহায্য পাইতে বিলঙ্গ ঘটে । গ্রামে যাইবার রাস্তাগুলি সমস্তই ডুবিয়া যাওয়ায় লোক-চলাচলের পথ বন্ধ হয়। প্যানেম্যাঙ্গালোর গ্রাম নেত্রবর্তী নদীর অপর পার্থে অবস্থিত। উভয় গ্রামের মধ্যে নদীব উপরে একটি সেতু আছে। দিবাভাগে এই গ্রামে বন ডাকে। স্বতরাং এখানকার অধিবাসীরা সকলেই কোনপ্রকারে দক্ষিণ কানাড়ায় বন্যা AAAAAA AAAA AAAA AAAA S SAAAS AAAS SAAAAAMMAJSAMJSMMMJA AMAJJA AMJMMMMAAMMJAJJAMMJJJMMS ტტ ASA SSASAS SSASAMS প্রাণে বাচিয়াছে। মিঃ আচ্চ ঘ নামক একজন মুসলমান স্বেচ্ছাসেবক নিজের প্রাণ বিপন্ন করিয়া ৫২ জন নিরাশ্রয় রমণীর ও বালকবালিকার প্রাণ রক্ষা করেন। অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকেরাও এই বিপন্ন নরনারায়ণের জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করিয়াছেন । উপীনানগদী ও ভেকুর গ্রামের অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। এখানকার নরনারীর দুর্দশার কথাও বর্ণনাতীত। ম্যাঙ্গালোর সহর এবং চতুৰ্দ্দিকম্ব গ্রামগুলিও এই প্রবল বন্যার হাত হইতে নিস্কৃতি পায়ু নাই । এ পর্য্যস্ত এই বন্যাক্রান্ত জেলাতে ২৬টি সাহায্যকেন্দ্র স্থাপিত হইয়াছে এবং প্রত্যহ ১২ হাজার নরনারীকে সাহায্য করা হইতেছে । অন্ন বস্ত্র ঔষধ ও পথ্য ইত্যাদিতে দৈনিক প্রায় আটশত টাকা খরচ হইতেছে । কিন্তু বৰ্ত্তমানে আরও বিস্তর অর্থের প্রয়োজন। এখনও ৪৮ হাজার লোকের ঘরবাড়ী প্রস্তুত করিতে সাহায্য করা দরকাব । কুষকদিগকে ফসলের বীজ ক্রয় করিবার জন্য ও অর্থসাহায্য করিতে হইবে। যাহাতে এইসকল নদীমাতৃক গ্রামে ভবিষ্যতে বন্য ন হয় সে-বিষয়েও দৃষ্টি দিতে হইলে । স্থায়ীভাবে এই দৈব উপদ্রবের প্রতিরোধ করিবার ব্যবস্থা করিতে হইবে। বাংল, বোম্বাই, মহীশূর, বিহার ও ব্রহ্মদেশ হইতেও বন্যার সংবাদ আসিয়াছে। গত বৎসরের উত্তর-বঙ্গের ভীষণ বন্যার কথা এখনও কেহ ভুলিতে পারে নাই। সে সময় সমগ্র ভারতবর্ষ যেরূপ ভাবে বিপন্ন নরনারীকে সাহায্য করিয়াছিল, আশা করা যায়, বর্তমান ক্ষেত্রেও সকলেই এই দুর্দশাগ্ৰস্ত নরনারীকে যথাসাধ্য সাহায্য করিতে ভুলিবেন না । শ্ৰী প্রভাত সান্যাল