পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գծե বিপ্লবীদের মধ্যে খুব বুদ্ধিমান ও কণিষ্ঠ লোক ছিল, এবং তখন দেশের বিস্তর লোকের তাহাদের সহিত সহানুভূতি ছিল। এখন যদি দল থাকে, তাহার লোকসংখ্যা কম, পূৰ্ব্বেকার দলের মত মানুষও ইহাদের মধ্যে নাই ; এবং জাগেকার বিপ্লবীদের কার্য্য-কলাপের পরিণাম দেখিয়া দেশের লোকদের মধ্যে যাহাদের বিপ্লবামুকুল মতি ছিল তাহদেরও এ বিশ্বাস চলিয়া গিয়াছে, যে, বোমা ও রিভলভার দ্বারা খুন করিয়া দেশ স্বাধীন হইতে বা কিছু রাষ্ট্রীয় অধিকার লাভ করিতে পরিবে । অতএব হনন বা তদ্রুপ কোন উপদ্রব দ্বারা ভারতীয়ের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব লাভ করিতে চায়, ইহা ভুল ধারণা। কিন্তু ইহা সত্য, যে, ভারতীয়দের মধ্যে মডারেটুরাও এখন আর বিশ্বাস করে না, যে, ব্রিটিশ জাতির ন্যায়বোধের উপর নির্ভর করিয়া থাকিলেই রাষ্ট্রীয় শক্তি পাওয়া যাইবে । মডারেটু নেতা শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয়ও তাহার বাঙ্গালোরের বক্তৃতায় বলিয়াই দিয়াছেন, যে, ব্রিটিশ জাতির ন্যাস্থবোধকে জাগাইতে হইলে আরও ছ' একরকমের বোধেও ঘা মারা দরকার, দেখান দরকার যে তাহারা স্থায্য কাজ না করিলে তাহাদের কি ক্ষতি বা অস্থবিধা হইতে পারে ; তাহা হইলে নানা “বোধ” মিলিত হইয়া ব্রিটিশ জাতিকে স্ববুদ্ধি করিতে পারে । & ব্রিটিশ পালে মেণ্টে যখন যে দল প্রবল হয়, তখন তাহারাই হয় গবর্ণমেণ্ট । এই দলের নিকট কাজ আদায় করিতে হইলে অবস্থাভেদ অনুসারে কার্য্যপ্রণালীর পরিবর্তন করিতে হয়। একটা প্রণালী হইতেছে অবস্ট্রাকৃগুন বা বাধা প্রদান। আইরিশ নেতা পানেল ইহার ওস্তাদ ছিলেন। ইহা একটা কন্‌ষ্টিটিউগুস্তাল বা বৈধ উপায়। ভারতবর্ষের স্বরাজ্যদল এই উপায় অবলম্বন করিতেছেন। ইহাতে সিদ্ধি লাভ হইতে পারে বা নাও পারে। কিন্তু ম্যাকডোনাল্ড, বা রেডিং ইহাকে একটা ভারি গর্হিত পদ্ধতি বলিয়। ভারতীয়দিগকে বুঝাইতে কেন বৃথা চেষ্টা করিতেছেন ? কেন বৃথা ভয় দেখাইতেছেন, যে, ঐ পদ্ধতি পরিত্যক্ত না হইলে, উহা সমগ্র-ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভাতে অমুস্থত প্রবাসী--ফাঙ্কন, ১৩৩৬ مییابع SAA MAAA AAAA AAAA MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SAAAAS AAASASAAAAASAAAAMA AMA AMA MSMSAAAMAAA AAAA S AAAAA SAAAAA AAAA AAASA SAAAAA AAMAM AAAA AAAA AAAASAAAA ( २eन लाग, २ॐ श्र७ یہ^مے۔ হইলে, শাসনসংস্কারের ক্রমোন্নতি ও ক্রমবিস্তার বাধা পাইবে ? পৃথিবীর সর্বত্র রাষ্ট্রীয় মত যেরূপ হইয়াছে, তাহাতে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট, ভারতবর্ষেও আর পিছাইতে পারিৰেন না, অগ্রসর হইতেই হইবে। এবং ভারতবর্ষের লোকেরা এখন আর ব্রিটিশ জাতির কুপার, মর্জির, বা স্থায় বুদ্ধির উপর নির্ভর না করিয়া নিজেদের সংঘবদ্ধ একতা, সাহস ও শক্তির দ্বারা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব লাভ করিতে চাহিতেছে । এখন তাহারা ভয়ে পশ্চাৎপদ হইবে না। কিন্তু তাহারা, ধৰ্ম্মবুদ্ধির প্রেরণাতেই হউক, কিম্বা স্থবিচারনির্দিষ্ট নীতির অনুসরণেই হউক, কিম্বা উভয় কারণেই হউক, উপদ্রব ও হিংসার পথে যাইবে না ; অন্য উপায়ে ব্রিটিশ জাতিকে স্ববুদ্ধি কন্ধিতে চেষ্টা করিবে। স্তার ম্যালকম্ হেলীর বক্তৃত ভারতবর্ষে সত্বর পুরা দায়ী গবৰ্ণমেণ্ট, বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বশাসক অংশগুলির মত গবৰ্ণমেণ্ট স্থাপন করিবার জন্য প্রারম্ভিক কাজ করিবার নিমিত্ত আছুরোধ করিয়া একটি প্রস্তাব ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করা হইয়াছে। প্রথম দিন কিছু বক্তৃত হইয় আলোচনা স্থগিত আছে। বুধবার ১লা ফাল্গুন আলোচনা আবার চলিবে । গবর্ণ মেন্টের পক্ষ হইতে স্যার ম্যালকম হেলী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বক্তৃত করেন। তিনি দায়ী গৰণমেণ্ট এবং কানাডা প্রভৃতি ডোমিনিয়নগুলির মত স্বশাসক গবর্ণমেণ্টের মধ্যে প্রভেদ জ্ঞাপন করিয়ু বলেন, যে, ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট, দায়ী গবর্ণমেণ্ট, দিতে চাহিয়াছেন, ডোমিনিয়নগুলির মত গবর্ণমেণ্ট, নহে, যদিও তাছার মতে প্রথমটি হইতে দ্বিতীয়টিতে ক্রমে পৌছান যাইতে পারে । এই প্রভেদের বিচার না করিয়া আপাততঃ হেলী সাহেবের অন্য দুএকটা কথার উল্লেখ করি । তিনি অনেক ভারতীয় নেতার মত উদ্ধৃত করিয়া বলেন, যে, তাহারা কেহ দশ কেহ পনের বৎসর পরে, এবং সকলেই ক্রমে ক্রমে, দায়ী গবর্ণমেণ্ট, লাভে রাজী ছিলেন ; তবে এখন কেন শীঘ্রই উহা চাওয়া হইতেছে ? ইহার উত্তরে আমাদের ৰক্তব্য বলিতেছি। আমরা