পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

尊 q○ SAe eAeS M M MMA AM MAAA AA AASASSAAAAAAS AAAAAMM AM MAM MMM MAAAS AAAAA AM AM AM AA AMAMMAMA MAAAS দিনে এই কারণে শিকারের জমি লইয়াই পাশাপাশি নবাব জমিদারের দিনরাত লাঠালাঠি করিত। এই যে অনধিকৃত ভূমিমণ্ডল ইহাই পরবর্তীকালে পাশাপাশি অধিবাসী জাতিদের বাজারে পরিণত হয় । আগে যে জমি দাগ দিয়া রাখা হইয়াছিল, বিদেশীদের নিরুদ্বেগে চলাফেরা করিবার জন্ত, পরে সেই জমিই সওদা বিনিময় কেনাবেচা এবং বন্ধুত্ব ৰন্ধনের কেন্দ্ররূপে গড়িয় উঠে । ১•৬৩ খৃষ্টাব্দে বুটন্‌ জাতির এক জমিদার স্থানীয় রাঙ্গ হারল্ড ক্যাম্প্রিয়ানদিগকে খুব উত্তম-মধ্যম লাগাইয়। দিয়াছিল। হ'বল্ড, ছিল স্তক্সেন । স্যাক্সলর অনেকবার ক্যাম্প্রিয়ানদের ঠেঙ্গ খাইয়াছে । হারল্ডের সঙ্গে শেষ পর্য্যন্ত ক্যাম্প্রিয়ানরা এই বলিয়া সন্ধি করে যে, অফার বাধের পূর্ব দিকে ইহাদের কেহ সশস্ত্র দেখা দিবে না ; যদি দেয় তাহা হইলে স্যাক্সনরা তাহার ডান হাত কাটিয়া ফেলিবে । স্যাক্সনরাও সেই সঙ্গে কতকগুলা বঁধ তৈয়ারি করে । আফার বাধ আর এই বঁধের ভিতরকার জমিন উদাসীনীকৃত অনধিকৃত জমিন বলিয়া পরিগণিত হয়। এইখানে স্ত্যাকসন এবং ক্যাম্প্রিয়ান জাতীয় সওদাগরের আসিয। হাট-বাজার করিত। নৃতত্ত্ববিদেরা বিশেষ আশ্চর্য্যের সহিত লক্ষ্য করিয়াছেন যে, স্তাহেবজ-সমাজে মেয়ে-পুরুষের জীবন খুব বেশী আলাদা আলাদা। অনেকের বিশ্বাস এইরূপ ভাগাভাগি অবাধ মেলামেশ বন্ধ করিবার উদ্দেশু্যে অমুষ্ঠিত হইয়া থাকিবে । সাবেক কালে ভাইয়ে বোনে এই সংসর্গ চলিত। তাহ নিবারণ করার জন্য মেয়ে পুরুষের মধ্যে অবাধ আনাগোনার নিয়ম তুলিয়া দেওয়া অসম্ভব নয় ।

  • জনীতি” “ণীল” ইত্যাদির প্রভাবে স্ত্রী-পুরুষের স্বাতন্ত্র্য ও পার্থক্য প্রথম প্রবর্তিত হয় । পরে কাজকৰ্ম্ম *নিত্যকৰ্ম্ম-পদ্ধতি" খাওয়াদাওয়ার আয়োজন কর। ইত্যাদি কারণে সেই পার্থক্য আরও বাড়িধা যায় এবং গভীর হইয় উঠে। সহজেই ইহা বোধগম্য যে, পুরুষের হাতে ছিল অtহার্য্য সংগ্রহ করা এবং তাহার রক্ষণা

প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩০ [ ২৩ল ভাগ, ২য় খণ্ড MMAMAeMeMMAeAMAMAMAeAMeMAMMAiAAAS বেক্ষণ ও তদবির করা। অপর পক্ষে স্ত্রী থাকিত রান্নাবাড়ার কাজে, কাপড়চোপড় ੇ করিবার ধাদ্ধায়। আর গৃহস্থালী দেখা দিবার পর তাঁহার সকল কাজেই ছিল স্ত্রী জাতির অধিকার । অষ্ট্রেলিয়ার কুনাই জাতীয় একজন লোক ইংরেজ পাদ্রী পৰ্য্যটক ফিজনকে বলিয়াছিল ;–“পুরুষ শিকার করে, মাছ ধরে, লড়াই করে,—আর বসিয়া থাকে ।” অর্থাৎ এই তিন কাজের বাহিরে যা-কিছু সবই স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য । স্ত্রীপুরুষের এই সামাজিক ভাগাভাগি বা স্বাতন্ত্র্য ও পার্থক্যকে কাল মার্কস্ “শ্রম-বি ভাগের” প্রাথমিক রূপ বিবেচনা কবেন । স্ত্রী-পুরুষের শ্রমবিভাগে সম্পত্তি বা ধন-দৌলত খানিকট। স্ত্রীর অধিকাবে, খানিকট পুরুষের অধিকারে । পুরুষ শিকারী এবং যোদ্ধা । ঘোড়া আর অস্ত্রশস্ব তাহার সম্পত্তি । গৃহস্থালীর ইড়িকুড়ি এবং তাহার আতুযfঙ্গক অন্যান্য সরঞ্জাম সবই স্ত্রীর সম্পত্তি । এইগুলা ঘাড়ে অথবা মাথায় বহিয়া সে চলাফের করে, ঠিক তাহার ঘাড়ের শিশু ধেমন তাঁহারই সম্পত্তি। শিশুর বাপ কে অনেক সময়ে তাহ৷ অজ্ঞাত। মা-ই শিশুর মালিক । শিশুর মতন এইসব গৃহস্থালীর সরঞ্জামও স্ত্রীর সম্পত্তি এবং বোঝা । চাষ-আবাদ স্বরু হইবার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীপুরুষের ভাগাভাগি আরও বাড়িয়া যায়। জমি ভাগাভাগি ও চাষ-আবাদের দরুনই জগতে প্রথম দেখ, দেয়। পূৰ্ব্বে যে জমি গোট জাতি বা গোষ্ঠীর সমবেত সম্পত্তি ছিল, চাষ প্রবর্তিত হইব মাত্র সেটা নানা টুকরায় বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিল । * . ; চাষবাসের আমলেও পুরুষ যোদ্ধা এবং শিকারীই থাকে। কৃষি-কার্য্যে মন দেয় স্ত্রী । কখনো কখনো শস্য কাটার সময় পুরুষ আসিয়া স্ত্রীকে সাহায্য করে মাত্র। যে-সকল সমাজে পশুপালন প্রচলিত, পুরুষ সেই-সুকল সমাজে জানোয়ারের তদবির করে । চাষের কাজে সে ভিড়ে না । বস্তুতঃ সেই সমাজে চাযের চেয়ে পশুপালন উচ্চতর কাজ বিবেচিত হয় । অবশু জানোয়ার চরানো যে চাষের চেয়ে সহজ সে-বিষয়ে সন্দেহ নাই ।