পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b*&2 (8) টেকু বাপের বাক্স খুলে টাকাকড়ি বিলিয়ে দিচ্ছিল – জানলা গলিয়ে রাজ্যের যত কাঙালীকে । চৌ-চেী চৌকাঠ ডিঙিয়েই পেছন হ’তে রেশমী ফশিটি তার গলায় পরিয়ে দিলে। বললে—টেকু কত্তা, ভারি যে পরের ধনে পোদ্ধারী হচ্ছে ! চুরি ক’রে অত জোরসে খয়রাং চালাবেন না, এখন একটু জিরোন । এ জিরেন-ফিতে খোদ মাঠাকুরুণেরই দেওয়া । মা-ঠাকুরুণ আমাকেই দিয়েছিলেন ; কিন্তু জিরেন আমার কপালে নেই, তাই আপনাকে খয়রাৎ করতে এলুম। চৌ-চেীর হাতের হেঁচ,কা টানে টেকুর দম আর্টুকে জিভ, বেরোবার জো হচ্ছিল । দুচারবার গে। গে। ক’রে সে মুখ থুবড়ে ভূয়ে পড়ে গেল। হাফ ছেড়ে চৌ-চেী ঘরের কোণে ফিরে গেল । সেখানে গিয়ে নতুন ক’রে আফিংএর ডেল মুখে গুজে ঝিমুতে লাগল। কস হ’য়ে টেকু দুহাতে গলার র্যগণ খুলে’ ফেললে । তার পর বাগান হ’তে শিকূলি-বাধ। বুড়ে। বাদরটাকে টেনে আনলে ; আর তাব গলায় ফাশ দিয়ে গাছের ছালে ঝুলিয়ে রেখে, নিজে খিড়কির পথে চম্পট দিলে । ( & ) কুটুমের বাড়ী 'হারাকিরি’ হয়েছে,--ভোর বেলা শোক করতে জ্ঞাতিগোষ্ঠি সাদা কাপড় মুড়ি দিযে সদাগরের বাড়ীতে এসে হাজির ৷ ” উঠানে পা দিয়েই তারা দেখে —চ ৪-সি রাজীব দেওয়া সোনার পাতে মোড়। মেী তাতের নল টানছে। দেখে জ্ঞাতিকুটুম চ’টেই লাল—বটে ! চাও-সি, তুমিও দেখচি দেশের শত্তর ;– নইলে 'হারাকিরি করলে না ? ভয়ে-ভয়ে চাও-সি বললে—রাঙাবেী মালী-বেটার আক্কেল দেখলে ! টিয়ান বললে—তাই ত ! চৌ-চৌ, জিরেনেব কথাটা তুলে গেলি ! চৌ-চেী বললে—ম ঠাকুরুণ, ভয় নেই,--টেকু-কত্তাকে দিয়ে আমি সে কাজ সেরেছি। চৌ-চেীর কথা শুনে সকলে উঠে পডে' ছুটে গিয়ে প্রবাসী — কীৰ্ত্তিক, ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড দেখে বটেই তে। ...কিন্তু এ কি টেকু ?—বাগানে গাছের ডালে জিভ, বের ক’রে ঝুলছে—চাও-সির বুড়ে বাদরট না ? জ্ঞাতিকুটুম বললে—বুঝেছি,—এ-ও চাও-সির চালাকি । ম'রে ও টেকু সবার উপর টেক। দিতে চায়, তাই মুখোস বদলে গাছে ঝুলছে ! কিন্তু চোদপুরুষের অপমান ক’রে বেণী রাখেনি, তাই মরীর সঙ্গে সঙ্গে দেবতা তাকে বেণীর মত লেজ দিয়ে দেশের মান রেখেছেন । আমরা ইলুম জাতকুটুম, আমাদের চোখে ফাকি ?—রেশমী ফাশে গাছে ঝুলছে—ওতে টেকুই ! সবাই বললে—ঠিক ঠিক, হুবহু টেকুই । দেশের বালাই দূর হ’ল, মনে ক'বে সবাই নিশ্চিন্ত । ( b ) দশপনের দিন যেতে ন-যেতে চাও-সি বাজবি নিজের-হাতে-লেগ। 'চিয়েন-এর মন না রেখে চোখ ওলটালে। জ্ঞাতিকুটুম নতুন ক’রে শোক করতে সাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে আবার সদাগরের বাড়ীতে এসে হাজিব । এশেই তার চাও-সির টাকার সিন্দুকের উপর আসন গেড়ে বসল। এদিকে খবর পেয়ে টেকুও বাড়ীতে এসে উপস্থিত । জ্ঞাতিকুটুম বললে—কে হে, বাপু, তুমি ? টেকু বললে—আমায়ু চেন না কি ?-আমি টেকু, চা ও-সি-সদাগরের ছেলে । ‘টেকু ?—সবাই বললে –‘মিছে কথা । টেকু তো কবেই মরেছে।’ গায়ের মোড়লরাও বিচার করে বললে—ঠিকই টেকু ত মরেছেই । বলুক্‌ দেখি কেউ—মরেনি ; তা হ’লে টেকুকে এখনই ধ’রে এ রেশমী ফিতে দিয়ে ফাশি দেওয়া যাবে। আর টেকু যখন আগেই মরেছে, তখন এ আর কে হবে ?—চা ও-সি সদাগরের ধে বুড়ো বাদরটাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না, হুবহু সে-ই । মোড়লদের এ বিচারে দেশস্থদ্ধ লোক ধন্তি ধথি করতে লাগল । জ্ঞাতিকুটুমর। マE I টেকুকে ধরে এক বাঁদর-নাচ