পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । মাত্রাবৃত্তছন্দ b-2 মাত্রাবৃত্ত ছন্দ পাঠকগণ অবশ্যই লক্ষ্য করে থাকবেন যে স্বরবৃত্ত ছন্দের যে-সমস্ত ধারায় প্রতিপাদের অন্তর্গত স্বরগুলোর লখুত্ব-গুরুত্বের হিসাব রাখা • হয় সে-সমস্ত স্থলে প্রতিপাদেও মাত্র-পরিমাণ ঠিক থাকে । ধেমন আদি গুরু, মধ্য গুরু, কিংবা অস্থা গুরু ত্রিস্বর ছন্দের প্রতি প দেই চার মাত্র থাকে । আবার ত্রিম্বর পাদ ছন্দের সে-সমস্ত শাখায় দুটো স্বর গুরু থাকে কিংব চতুঃস্বরপাদ ছন্দের যে-সমস্ত শাখায় একটি গুরু স্বর থাকে সে-সমস্ত স্থলে প্রতিপাদে পাঁচটি করে মাত্র পাওয়া যাবে। তেমনি সদগুরু ত্রিম্বর-পদি কিংবা দ্বিগুরু চতুঃস্বর-পাদ কিব। এক গুরু পঞ্চস্বর-পাদের প্রতিপাদে মাত্র-পরিমাণ ছয় । কিন্তু এ-সব ছন্দে মাত্রা-পরিমাণ স্থির থাকলেও এ-সব ছন্দকে মাত্রীবৃত্ত বল সঙ্গত ময় । কেন না প্রতিপাদের স্বর সখ্য। এবং তাদের লঘু-গুরু ক্রমের প্রতি লক্ষা মাত্র-পরিমাণের প্রতি স্বর-সঃ থা। তাদের দৃষ্টি রাখলেই গৌণত মাত্রপরিমাণ ও নিয়মিত হয়ে যায়। তাই এ-সব ছন্দকে মাত্র। বুৰ নাম দেওয়া সঙ্গত মনে করি না । সংস্কৃত অক্ষর বৃত্ত ছন্দ সঙ্গন্ধেও এ কথা অবিকল খাটে। সংস্কৃত অক্ষররক্তে ও প্রত্যেক স্বরের লঘুত্ব-গুরুত্বের হিসাব রাগ হয় বলে’ প্রতি চরণের মাত্র সমান থাকে, কিন্তু তাই বলে’ এ ছন্দকে জাতি বা মাত্র-ছন্দ বলা হয় না । যা হোক, বাংলায় অধিকাংশ সময়েই স্বর-সংখ্য। ঠিক রেপে এব" সঙ্গে সঙ্গে প্রতি স্বরের ওজন হিসাব করে’ ছন্দ রচনা করা সম্ভবপর হয় না। তাই কবির অনেক সময় কেবল স্বর সংগ্য ঠিক রেখেই ছন্দ রচনা করেন । এইটেষ্ট খাটি স্বরবৃত্ত ছন্দ ; এ ছন্দে মাত্র-পরিমাণ স্থির থাকে না । আবার অনেক সময় তারা কেবল মাত্র-সংগ্য ঠিক রেখেই কবিত। রচনা করেন । এইটেই মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ; এ ছন্দে স্বর-সংখ্য স্থির থাকে না । যথা— "রুদ্র মোদের । ঠাক দিয়েছে। বাজিয়ে আপন । তুর্য । মাথার পরে | ডাক দিয়েছে । মধার্কিনেব | গ্য ।” বেগেই এ-সব ছন্দ রচিত হয়. লক্ষা রেগে নয় । মুগাত এবং লঘু গুরু-ক্রমের উপর এখানে প্রতি পাদের স্বর-সংগা চার, কেবল শেষ দুষ্ট পাদে দুষ্ট । কিন্তু মাত্র সপ্যার স্থিরতা নেই । কাজেই এ ছন্দ স্বরবৃত্ত । আবার “ফাল্গুন । চঞ্চল | ফোর্ট। ফুল । রয় না | অবহেলে | দেয় ফেলে । পুষ্পের গয়ন ৷ ” এখানে প্রতিপাদের স্বর সংখ্যার কোনো মিল পাওয়া যায় না । অথচ প্রতিপাদে মাত্র-স”খ্যা চার, কেবল প্রতি ছত্রের শেষ পাদে তিন তিম মাত্র । কাজেই ছন্দ মাত্রাবৃত্ত । এক্ষণে মাত্রাবুও ছন্দের শ্রেণী-বিভাগে প্রবৃত্ত হওয়া যাক । মাত্রাবৃত্ত ছন্দের প্রতি-পদের মাত্র-সংখ্যা এবং প্রতি ছত্রের অন্তর্গত পাদ-সংখ্যার প্রতি দৃষ্টি রেখে এ ছনের শ্রেণী-ভাগ করতে হয় । মাত্রাবৃত্ত ছন্দের প্রতিপাদে চার মাত্রা, পাচ মাত্র, ছয় মাত্র। এবং তিন চার কিংব। চার-তিনের মিশ্রণে সাত মাত্র করে থাকৃতে পারে। সুতরাং এদিক থেকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে চতুমাত্রপাদ, পঞ্চমাত্র-পাদ, সন্মাত্র পদ সপ্তমাত্র-পাদ এই চার ভাগে বিভক্ত করা যায । এই প্রতিপাদের অন্তর্গত মাত্ৰাসংখ্যার দ্বারাই এ ছন্দের ভিতরের গঠন নিয়ন্ত্রিত হয়। আবার প্রতি ছত্রের অন্তর্গত পাদসংখ্যার দিক্‌ থেকে এ ছন্দকেও দ্বিপদী ত্রিপদী চৌপদী প্রভৃতি নাম দেওয়া যেতে পারে । এষ্ট শ্রেণী-বিভাগ ছন্দের বহির্গঠনকে নিয়মিত করে । অনেক সময় এ ছন্দের শেষ একটি পাদ এক, দুই, তিন, চার, এমন কি পাচ মাত্রার অভাবে অপূর্ণ থাকৃতে পারে । সে স্থলে এ ছন্দকে অপুণ দ্বিপদী, অপূর্ণ ত্রিপদী প্রভৃতি নাম দেওয়া যাবে। ১ । চতুমৰ্পত্রিক বা চতুমাত্র-পাদ ( বাংল। পজ ঝটিক ) -- भूल गाग्न | भूक्ष अश्न | अख्त्व | मृहे | অবচন একি শ্লোক ! অপরূপ সৃষ্টি । সাম্যের একি সমে । পূহ হ’ল চিত্ত । fন৩্যের ইঙ্গিত এ মিলন-তীর্থ ! টুটে ভেদ নিষেধের শিলাময় জঙ্ঘা, জয়তু যমুনা জয় ! জয় জয় গঙ্গা । এবং e সত্যেনানাথ ( অপুর্ণ চৌপদী )