পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○》やり ধ্বংসই সকল দুঃখের অত্যস্থিক নিবৃত্তি। এই কারণেই উহাদের পরম্পরকে প্রতীত্য-সমুৎপাদ ধৰ্ম্ম বলা হয়, অর্থাৎ একটির সংযোগে অন্ধটির উৎপত্তি । ইহারই আর এক নাম দ্বাদশ-নিদান । জাগতিক দুঃখকষ্টের মূল কারণ নিৰ্দ্ধারণ-পূর্বক তাহার উচ্ছেদ-সাধন করাই এই প্রতীত্য-সমুৎপাদ বা দ্বাদশ নিদানের একমাত্র উদ্বেগু । যেমন ব্যাধির কারণ নির্দেশ-পূর্বক তাহার প্রতিবিধান করাই চিকিৎসা-শাস্ত্রের উদ্বেগু, সেইরূপ জন্ম জরা ও মুতুক্কপ ব্যাধির কারণ নিৰ্দ্ধারণপূর্বক তাহ হইতে জীবকুলকে মুক্তিপ্রদান করাই এই দ্বাদশ নিদানের ধৰ্ম্ম । এই জন্তই ভগবান বুদ্ধকে জরীমরণ-বিলাতী ভিধকৃবর বলিয়া বৌদ্ধগ্রন্থমধ্যে উল্লেখ করা হইয়াছে। छैनौs cयोकथंश्वभरथा 4झें घlन* निनांनशप्4द्र वा|श्रj| वश्ल পরিমাণে প্রচলিত আছে। পরবত্তী কালে মানবজীবনের জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্যন্ত ঘটনাবলীর সন্ধিত এই দ্বাদশ নিদানের সাদৃষ্ঠ স্থাপনের চেষ্টা করা হইয়াছে। অজন্তাগুহার চিত্রাবলীমধ্যে এই দ্বাদশ নিদানের এক চিত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। তিব্বতীয় গ্রন্থমধ্যেও এইরূপ চিত্র দৃষ্ট হয় ; তিব্বতীয় লামাগণ ইহাকে জীবনচক্র বা সংসারচক্র বলিয়t থাকে। এই চক্রের কেন্দ্রস্থলে কপোতরূপী রাগ, সপর্যপী দ্বেষ এবং শুকররূপী মোক বিদ্যমান আছে। এই রাগ, দ্বেষ, ও মেহের দ্বারাই সংসারচক্র বিমূর্ণিত হইতেছে । সৰ্ব্বপ্রকার দুঃখ-কষ্টের মূলাভূত কারণ হইতেছে অবিদ্যা । মানবজীবনের উপর এই অবিদ্যার প্রভাব প্রতিপন্ন করাই এই-সকল বর্ণন বা চিত্রের প্রধান উদেষ্ঠ, ইহাই প্রতীত্য সমুৎপাদধৰ্ম্মের প্রধান শিক্ষা । একমাত্র প্রজ্ঞা দ্বারাই এই অবিদ্যার নাশ বা ধ্বংস সম্ভব । অবিদ্যায় নাশ বা ধ্বংস স্বীরাই ছঃপের অত্যষ্টিক নিবৃত্তি, ও দুঃখের নিবৃত্তি হইলেক্ট নিৰ্ব্বাণ লাভ কয়। গৌতম বুদ্ধ বলিয়াছেন— আধ্য অষ্টাঙ্গিক মাগই দুঃথ-নিরোধের একমাত্র উপায় । তিনি এই অষ্টাঙ্গিক মার্গে প্রবেশের উপায়স্বরূপ দশটি অকুশল কৰ্ম্ম পরিহার করিতে উপদেশ দিয়াছেন, মহাবস্তু নামক প্রার্টান গ্রন্থে এ-বিষয়ের বিকৃত বিবরণ অেেছ । প্রাণীতিপাতে অধৰ্ম্মে, প্রাণীতিপাত বৈরমণে ধৰ্ম্মে, আদিগ্গাদানে অধৰ্ম্মে, অদত্তাদান বৈরমণে ধৰ্ম্ম, কামে মিথ্যাচারে অধৰ্ম্মে, কামেসু মিথ্যাচার বৈরমণে ধৰ্ম্মে, স্বল্পসৈরেয় মদ্যপান অধৰ্ম্মে, স্বল্পদৈরেয় মদ্যপানাঙ্গে বৈরমণে ধৰ্ম্মে, মুলবাদে অধৰ্ম্মে, মুষীবাদীতে। বৈরমণে ধৰ্ম্মে, পিশুন বচে অধৰ্ম্মে, পিশুন বাচাতে। বৈবমণে ধৰ্ম্মে, মিথা দৃষ্টি অধৰ্ম্মে, সমগ দৃষ্টি ধৰ্ম্মে । দশ কুশল। কৰ্ম্মপথ ধৰ্ম্মে, দশহি মহারাজ অকুশলেহি কৰ্ম্মপথেহি সমস্বাগত সত্তা নরকে ধূপ পদ্যপ্তি । মহাবস্থ । প্রাণীতিপান্তঃ, অদত্তাদান, কমিমিথ্যাচার, মুম্বাবদ, পৈশুন্য (পরনিন্দ ), পরিষা (অপ্রিয়ভাজন), সস্তিন্ন প্রলাপ ( অসংলগ্ন বাক্য), অভিধা (পরজবো লোভ) ও মিথা দৃষ্ট ।- এই দশটি অকুশল কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলে রাগ, দ্বেষ ও মোহ দুরে যাইবে। প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩e [ २७१ खांशं, sक्ष ५७ পালি বৌদ্ধগ্রন্থে এই দশবিধ নিষেধবিধি কিঞ্চিৎ পরিবৰ্ত্তিতাকারে দণশীল নামে প্রচলিত আছে – ১। পাশতিপাতে বেরমণী সিক্খাপদং সমাদিয়ামি প্রাণিহত্যা হইতে বিরতি শিক্ষাপদ গ্রহণ করিলাম । ২। অদিল্লীদান৷ বেরমণী সিক্খাপদং সমাদিয়ামি । यमख3श्* श्८ठ-अर्थ९ि *ब्रजवा अंश्१ श्ऊ विब्रऊि *िक्रां*ांन গ্রহণ করিতেছি । ৩। কামেৰু মিচ্ছাচার বেরমণী সিক্খাপদ সমাদিয়ামি । কামসমূহে মিথ্যাচার হইতে, দোষযুক্ত কামাচার হইতে বিরতি শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি । ৪ । মুদাবাদ বেরমণী সিক্খাপদং সমাদিয়ামি। মুদাবাদ (মুধাবাদ) অর্থাৎ মিথ্যাবাক্য হইতে বিরতি শিক্ষাপদ গ্রহণ করিলাম । • স্বরামেরের মজ্জ পমাদটুঠান বেরমণ দিকৃথাপদং সমাদিয়ামি । মত্ততার কারণস্বরূপ স্বধীমৈরেয় প্রভূতি মাদকদ্রব্য সেবন করিব ন—এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি । ৬ । বিকাল-ভোজন বেরমণী সিক্খাপদং সমাদিয়ামি । দিব। দ্বিপ্রহরের পর হইতে পরদিন সুৰ্য্য-উদয় পৰ্য্যন্ত এই সময়ের মধ্যে কিছু আহার করিব না, এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি । ৭ । নজ-গীত-বাদিত্র-উৎসব-দর্শন হইতে বিরত থাকিব এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি । ৮ । মালা-গন্ধ-বিলেপন ধারণ মস্তক-বিভুসনটুঠান বেরমণী সিকূপীপদং সমাদিয়ামি । মালা ও সুগন্ধ দ্রব্যাদি ব্যবহার, অলঙ্কারাদি ধারণ, শরীরের শোভার নিমিত্ত শরীর-মার্জন প্রভৃতি হইতে বিরত থাকিব—এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি। ৯ । উচ্চসয়ন: মহাসয়ন বেরমণী সিক্খাপদং সমাদিয়ামি । উচ্চশয্য বা মহাশয্য ব্যবহার করিব না, এই শিক্ষণপদ গ্রহণ করিতেছি । পরিমাণে একফুট অপেক্ষ উচ্চ খাট পালঙ্ক কিম্ব। তুলtভর শয্যায় গুইব বা বসিব না এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি। ১০ । জাতরূপ রজত পটগগহনা বের্মণী সিক্গাপদ সমাদিয়ামি । স্বর্ণ ও রৌপ্য গ্রহণ করিব না, এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করিতেছি । দ এবিধ অকুশল ধৰ্ম্মের পরিহার বা দশ শীল পালন, অষ্টমার্গ পালনের সহায়স্বরূপ। এই দশশীল বা দশবিধ কুশল ধৰ্ম্ম, কায় বাক্য ७ भट्नद्र खे”द्र नश्यभ डिब्र श्राद्र किङ्कई नटश् ॥ ३शंद्र भ८५ cऔङभ বুদ্ধের বিশেষত্ব কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষীয় প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে কায় বাক্য- ও মনঃ সংযমের বিভিন্ন উপদেশপ্রণালী প্রচলিত আছে। কায় মন ও বাক্যের উপর সংযমের চিহ্নস্বরূপ এ দেশের ব্রহ্মচারিগণ-ত্ৰিদণ্ড ধারণ করিতেন, এখনও এ-প্রথা প্রচলিত আছে । ( উদ্বোধন, বৈশাখ ) শ্ৰী চারুচন্দ্র বন্ধ