পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিনয়-বাবু বাধা দিয়ে হেসে বললেন, “Of course you are So are we all ! আমরা বিলাতী আর্টের ভক্ত, কিন্তু স্বদেশী আর্টের কদর বুঝি না।” মি: চ্যাটো বললেন, “তার কারণ এ দেশের আর্টিষ্টর আর্ট নিয়ে যা করেন, তার নাম হচ্ছে ছেলে-খেলা। আমার মতে বাঙালী আর্টিষ্টকে প্রশ্রয় দেওয়া মহা পাপ ছাড়া আর কিছু নয় ।" • মিঃ ঘোষ বিরক্তি-ভরে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরালেন । শোনা-যায়-কি-না-ধায় এমন মুকু অস্পষ্ট স্বরে ভিনি wo-"Vulgar hound " রতন এতক্ষণ পরে কথা কইলে । মিঃ চ্যাটোর দিকে চেয়ে একটু হেসে বললে, “আপনার যে একটা নিজস্ব মত আছে তা শুনে খুলি হলুম। অধিকাংশ ইঙ্গ-বঙ্গের ত থাকে না । তাদের মত, আমদানি হয় সমুদ্রের ওপার থেকে ।” কুমার বাহাদুর টেবিলের উপরে-একটা ঘুসি বসিয়ে দিয়ে বললেন, “ঐ ইঙ্গ-বঙ্গ” কথাটায় আমার দস্তুর-মতন আপত্তি আছে।” fù: 5Ttji s'ì a stata, “llow dare you insult me y” রতন স্থিরভাবেই বললে, “ন, আমি আপনাকে অপমান করিনি ।” মি: চ্যাটো চড় গলায় বললেন, “Then what the hell do you mean—” - বিনয়-বাবু বাধা দিয়ে বললেন, “ছিঃ, মিঃ চ্যাটে ! ভদ্রসমাজে এ-রকম ভাষা চলা উচিত নয়। তর্ক হচ্ছে, তর্ক হোক্‌--রাগারাগি কেন ?" রতন তেমনি হাস্তে হাস্তে বললে, “চট্টোপাধ্যায় মশাই, আপনি মাতৃভাষায় কথা কইলেই আমি খুসি হব। অধিকাংশ বাঙালীর বিলাতী বুলি এখনে আমার ধাতস্থ झम्न ि।' মি: চ্যাটো মুখ বিকত ক’রে বললেন, "Stop your preaching t” রতন বললে, “আমি এটা কিছুতেই বুঝতে পারি না, বাঙালীর ছেলে হ’য়ে কথাবাৰ্ত্তায় আমরা এত ইংরেজী বেনো-জল SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAASA SSASAS SS SAAAAA AAMAMAAA AAAA AAA AAAS S AAAAA AAAAS AAAAA SAAA AAAA AAAA S AAAAAMAAAS AAAA AM MAAAA రిసిసి বুক্‌নি ব্যবহার করি কেন ? এটা যদি শিক্ষার লক্ষণ হয়, তবে এ শিক্ষা তো ভালো নয় !" মিঃ বাস্থ হা হা ক’রে হেসে উঠে বললেন, "মিঃ সেন, আপনি দেখচি গান্ধীর একটি শিষ্যের পৃষ্ঠপোষক হয়েচেন!* রতন উত্তেজিত স্বরে বললে, “বিনয়-বাবু, আমি এই মাত্র আপনার বাড়ীর ভিতর থেকে আসচি। সেখানে আপনার শ্বশুর-মশাইকে দেখে এলুম। একালের অাবহাওয়ায় যেন সেকালের একটি মূৰ্ত্তিমান সংস্করণ । তিনি চেয়ারে বসেন না, মাথায় লম্বা টিকি রাখেন, মেয়েদের পায়ে জুতো দেখলে চটে যান, নারীদের মধ্যে একটু স্বাধীনত দেখলেই শিউরে ওঠেন, আপনার মেয়েকে আমার মতন কোন লোকের সঙ্গে একলা মিশতে দেখলে সৰ্ব্বনাশ মনে করেন । র্তার মন এথনো সেই মন্থরঘুনন্দনের যুগেই বন্ধ হ’য়ে আছে। আমি সইতে পারলুম না, ভয়ে পালিয়ে এলুম। কিন্তু নীচে, এখানে এসে দেখ চি আর এক উণ্টে ব্যাপার। এখানে ধারা বসে আছেন, তাদের কারুর ভদ্রতায় আমি সন্দেহ প্রকাশ করচি না,—কিন্তু আসলে তারা কি ? আপনার শ্বশুরমশাইকে বরং বোঝা যায়—কিন্তু এরা সকলেই এক-একটি মূৰ্ত্তিমান প্রহেলিক । এরা না হিন্দু, না মুসলমান, না ক্রীশ্চান! এর বাঙালীও নন, সাহেবও নন । বাঙালীও এদের নিজের সমাজে নেবে না, সায়েবরাও তাই। আপনি হয়তো আমার স্পষ্ট সত্য কথায় রাগ করচেন বিনয়-বাবু, কিন্তু উপায় নেই । আমি কখনো মন ঢাকা দিয়ে কথা কইতে শিখিনি। আমি বেশ বুঝচি, আপনার শ্বশুরমশাই আর এই মি: চ্যাটাে আর মিঃ বাস্থ প্রভৃতি, এদের কারুর দ্বারাই দেশের একতিল উপকারের সম্ভাবনা নেই। এরা সবাই আগাছার মত, বাঙলার উৰ্ব্বর জমিকে খালি পোড়ো ক’রে তুলচেন মাত্র ! এই মি: চ্যাটে বা মিঃ বাস্থর কাছ থেকে আর কোন কথা আমি শুনতে চাই ন! !” রতনের মতন লোকের মুখ থেকে যে এমন তীব্র সত্য বেরুতে পারে, ঘরের মধ্যে কেউ তা কল্পনা করতে পারেন নি—এমনকি বিনয়-বাবুও না! সকলে স্তম্ভিতের মতন স্তন্ধ হ’য়ে বসে রইলেন।