পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] অপমানকর • মনে করেন ; তাহার বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের শাসনকৰ্ত্ত হইতে চাই, কলমের শাসন চাই না ; তলোয়ারের ত চাই-ই না । মনের এই ভাব স্বাভাবিক এবং ইহা শ্রদ্ধা উৎপাদন করে । কিন্তু কোন দেশের লোক যদি পরস্পরের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করে, তাহা হইলে মানবসভ্যতার বর্তমান অবস্থায় তরবারির শাসন অব গুম্ভাবী হইয়া পড়ে—সে তলোয়ারটা বিদেশীর হাতে থাক কিম্বা স্বদেশীরই হাতে থাকৃ। কারণ, ভারতবর্ষ যদি স্বাধীন হইত, পঞ্জাব যদি স্বাধীন হইত, তাহা হইলেও তথায় হিন্দুমুসলমানে খুনখুনি করিলে, ভারতীয় স্বাধীন গবর্ণমেণ্ট কেও পুলিশ বা সৈনিকের বলপ্রয়োগ দ্বারা দাঙ্গ থামাইতে হইত। অতএব, পঞ্জাবের লোকের বা অন্য কোন জায়গার লোকেরা যদি তলোয়ারের শাসন অপমানকর মনে করেন, তাহা হইলে তাহদের ভদ্র- ও সভ্য-ভাবে পরস্পরের সহিত সদ্ভাবে বাস করিতে শিক্ষা করা কর্তব্য । কচুরি পান কমিটি পূর্ববঙ্গে কচুরি পানার উপদ্রবে খুব ক্ষতি হইতেছে। উহা বিনষ্ট না হইলে আরও ক্ষতি হইবে। গবৰ্ণমেণ্ট, উহা বিনাশের উপায় নিৰ্দ্ধারণ জন্য স্যার জগদীশচন্দ্র বন্ধকে সভাপতি - করিয়া ও সাতজন সভ্য মনোনীত করিয়া এক কমিটি নিযুক্ত করেন। এবিষয়ে বস্থ মহাশয় অনেক গবেষণা করেন ও করান। গ্রিফিথস নামক দক্ষিণ আফ্রিকার এক ব্যক্তি বলে, যে, তাহার ঔষধ আছে, তাহার প্রয়োগে কচুরি পান ধ্বংস হইয়া যায় । সে কয়েক লক্ষ টাকা পাইলে উহার উপাদান বলিয় দিবে। পরীক্ষায় এই ঔষধের স্থায়ী কাৰ্য্যকারিত কোথাও প্রমাণিত হয় নাই। কমিটির পাঁচজন সভ্য ও সভাপতি বস্থ মহাশয় গ্রিফিথ সের ঔষধের বিরুদ্ধে মত দেন । তথাপি কি কারণে জানি না, এত বড় বৈজ্ঞানিকের ও পাচ জন সভ্যের মত অগ্রাহ করিয়া কৃষিমন্ত্রী নবাব নবাবআলী চৌধুরী গ্রিফিথসের সহিত কথাবার্তা চালাইতেছেন। কে তাহাকে এইরূপ আচরণ سb٭-بس۔ 8 G বিবিধ প্রসঙ্গ—স্তার নারায়ণ গণেশ চন্দাবরকর SAM MAMAeeMeA MA MAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MAMAMMAS AeM AM M MeA AeeM eAM MM eMAAA SAAA AAAAM MM MMMM MMM MA AMA AM MMeAAA AAAA S M S AAAA S 8&Gr TS T SAM S M S A SAS SSAS حسیه می করিবার ক্ষমতা দিয়াছে ? বৈজ্ঞানিক বিষয়ে অবৈজ্ঞানিকের আস্পদ্ধ হাস্যকর হইলেও এক্ষেত্রে ইহা অসহনীয় ; কারণ, ব্যবস্থাপক সভার সভ্যেরা বাধা না দিলে ইহার ফলে প্রজাদের প্রদত্ত ট্যাক্সের বহুলক্ষ টাকা বাজে খরচ হইবে । এই বিষয়টির বিশেষ বৃত্তান্তের জন্য জুন মাসের মডান রিভিউ দ্রষ্টব্য। স্যার নারায়ণ গণেশ চন্দাববৃকর জাতীয় জীবনের সকল বিভাগে উন্নতি, প্রগতি ও ংস্কার পরস্পরসাপেক্ষ, এবং সমস্তই যুগপৎ হওয়া উচিত ; আধুনিক ভারতে নিজের জীবন দ্বার। রামমোহন রায় প্রথমে এই নীতি ও মত শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন। ইহার বিপরীত মতাবলম্বী রাজনৈতিক আন্দোলনকারীরা বরাবর দলে পুরু আছেন। তাহারা আগে চান স্বায়ত্ত শাসন, জাতীয় আত্মকর্তৃত্ব, স্বরাজ্য বা "স্বাধীনতা ; তাহার পর সমাজ সংস্কার করিবেন বলিয়া কেহ কেহ বলেন, অনেকে তাহাও বলেন না । কিন্তু মহাত্মা গান্ধী তাহার কার্য্যতালিকায় প্রথম স্থান যে সংস্কার-কাৰ্য্যটিকে দিয়াছেন, তাহ রাজনৈতিক নহে, সামাজিক ; তাহ অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ । তাহার দলের অধিকাংশ লোকের মনের ভাব ও আচরণ যাহাই হউক, তাঙ্গর প্রকাশ্যে এই কাজটিকে অনাবশ্যক বা অনিষ্টকর বলিতে পারেন নাই। হিন্দুমুসলমানের মিলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একান্ত আবশ্যক হইলেও, গান্ধী মহাশয়ের কার্য্যতালিকার এই কাজটিও রাজনৈতিক উপায়ে সম্পন্ন হষ্টতে পারে না । ইহাও হিন্দু ও মুসলমান উভয়েরই সামাজিক ও ধৰ্ম্মবিষয়ক গোড়ামি কতকটা পরিত্যাগ ও উদারতা অবলম্বনের উপর নির্ভর করে । সুতরাং, রামমোহন রায়কে যাহার দেখিতে পারেন না, তাহাদিগকেও কার্য্যতঃ র্তাহার অন্তহত নীতি অবলম্বন করিতে হইতেছে। র্তাহার পথের পথিক বোম্বাই প্রেসিডেন্সীতে ছিলেন মহাদেব গোবিন্দ রাণড়ে, কাশীনাথ ত্র্যম্বক তেলাং প্রভৃতি। র্তাহাদের পরে, জীবনের সকল বিভাগে