পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st সংখ্যা ] SAA AA ASASASA AAAMAMAMM MMSMMSMSMMS MAAA SAAAAA AAAA AAAASAAAA জন । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে লোকসংখ্য। শতকরা কমিয়াছে, পূর্ববঙ্গের ঢাকা বিভাগে শতকরা ৭.১ জন বাড়িয়াছে । ১৯১১ সালে ভারতবর্ষের প্রদেশগুলির মধ্যে আগ্রাঅযোধ্য প্রদেশের লোকসংখ্যা অধিকতম ছিল । তাহার পরবর্তী দশবৎসরে ঐ প্রদেশের লোকসংখ্যা কমিয়া যাওয়ায় ১৯২১এর গণনা অনুসারে বাংলার লোকসংখ্য উছ অপেক্ষ দশ লক্ষ বেশী হইয়াছে। সুতরাং এক্ষণে বঙ্গের লোকসংখ্যাই সকল প্রদেশের মধ্যে অধিকতম ৷ অথচ ভারভগবর্ণমেণ্ট, বাংলাদেশকে বঙ্গে সংগৃহীত রাজস্ব হইতে এত বেশী পরিমাণে বঞ্চিত করেন, যে, বঙ্গের প্রজাদেব জন্ত বাংলাগবর্ণমেণ্ট জন-প্রতি যত খরচ করিতে পারেন, তাহা অন্য সমুদয় প্রদেশ অপেক্ষা কম। বাংলা দেশের হাজারকরা ৬৭ জন, অর্থাৎ মোট ৩২,১১,৩০৪ জন, মাঙ্গুষ শহরে বাস করে ; বাকী প্রায় সাড়ে চারি কোটি লোক গ্রামে বাস করে । ইহারা আমাদের আহার যোগায় ; অথচ আমরা ইহাদের কথা কমই ভাবি, এবং পাড়াগেয়ে বলিয়া ইহাদিগকে অবজ্ঞা করি । কলিকাতা ও তাহার শহরতলীগুলি বাদ দিলে, বঙ্গের শতকরা ৪ জন মাত্র লোক শহুর্যে । সমগ্র ভারতে শতকরা ১০ জন নগরবাসী । অতএব, বাঙালীর মোটের উপর অন্যান্য প্রদেশের ভারতীয়দের চেয়ে বেশী পাড়াগেয়ে । ইংলণ্ড, ও ওয়েলসের শতকরা ৭৯ জন অধিবাসী শহুর্যে, ২১ জন গ্রাম্য । ১৯১১-১৯২১ দশকে বঙ্গে নাগরিকের শতকরা ৮২ বাড়িয়াছে। কিন্তু ইহার মধ্যে জানপদ নগরগুলিতে ( country towns ) বাড়িয়াছে শতকরা ২ জন, কলিকাতা ছাড়া ধণিজ্যিক ও কারখানার শহরগুলিতে বাড়িয়াছে শতকৰ্ম্ম ১৬৯ জন। বাণিজ্যিক ও কারখানার শহরগুলিতে দ্বীলোকের সংখ্যা খুব কম হইয়া গিয়াছে। বদের বাংি হইতে কলকারখানায় কাজ করিবার জষ্ঠ ইঙ্গিার ইজার পুরুষ মজুরের আগমন তাহার কারণ জনপদ নগল্পগুলিতেও স্ত্রীলোকের সংখ্যা কিছু কমিয়াছে। পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীলোকের সংখ্য অধিক হ্রাস হইলে পারিবারিক বা গার্হস্থ্য প্রভাবের হ্রাস হয়, S"> বাংলা দেশের লৌকিক তথ্য MM MAM MeMeMeM MMM MAMAee eeAMMAM MAAA AAAA AAMAM AM ee eAM MM eM MM AeM MM AA MeM MAM MeAM MM MA AM eee AAAAS 8 96: এবং পুরুষেরা “গৃহস্থ” না থাকিয় "বাসাড়ো" হইয়া পড়ে। যেখানে পারিবারিক প্রভাব কমিয়া যায়, তথায় পাপাচার বৃদ্ধি পায়। এই কারণে দেশে কলকারখানা যত বাড়িবে, প্রতিকার না হইলে, সামাজিক অপবিত্রতাও তত বাড়িবে । ইহার প্রতিকার প্রধানতঃ দুই প্রকারে হইতে পারে । ( ১ ) মজুর ও কারিগরদের বেতন এরূপ হওয়া চাই, যাহাতে তাহার। "গৃহস্থ” হইয়া কলকারখানার নিকটে বাস করিতে পারে, এবং ( ২ ) কলকারখানার নিকটে তাহাদিগকে গৃহস্থের মত থাকিবার গৃহ কলকারখানার মালিকগণ দিতে আইন অনুসারে বাধ্য, এরূপ নিয়ম হওয়া চাই । বাংলার জানপদ শহরগুলির অধিকাংশ অধিবাসীর জন্ম, শহরগুলি যে-জেলায় অবস্থিত, সেই জেলায় হইয়াছিল। কিন্তু ভাটপাড়, টিটাগড়, শ্রীরামপুর ও ভকেশ্বর, এই কলকারখানার শহরগুলির শতকরা ৬৯ জম অধিবাসীর জন্ম বাংলা দেশের বাহিরে । এইগুলিকে এখন আর বাঙালীর শহর বলা চলে না । পশ্চিম ও মধ্যবঙ্গের যে-সব শহরে কলকারখানা নাই, সাধারণতঃ তাহদের অধিবাসী কমিয়াছে ; কিন্তু ভদ্ৰেশ্বর, বৈদ্যবাটী, চাপদানী, ভাটপাড়া, টিটাগড়, বজবজ, গারুলিয়া, নৈহাটা ও কামারহাটর লোকসংখ্যা বেশ বাড়িয়াছে। ভদ্ৰেশ্বর, বৈদ্যবাট ও চাপদানীর মোট লোকসংখ্যা শতকরা ৪১ জন, বজ বজের ৪৩ এবং ভাটপাড়ার ৩০ বাড়িয়াছে । উত্তরবঙ্গের কোন কোন শহর খুব বাড়িয়াছে । ংপুরের লোক বাড়িয়াছে শতকরা ১৬, দিনাজপুরের ১৩, জলপাইগুড়ির ২৭, বগুড়ার ৩৫, এবং রেলওয়ে-কেন্দ্র সৈদপুরের ৬৩। ঢাকার লোকসংখ্যা ১,১৪,৪৫০ দশ বৎসরে শতকরা ১০জন বাড়িয়াছে। ১৯১২ সালে ইহা পূৰ্ব্ববঙ্গ-ও-আসাম প্রদেশের রাজধানীত্ব হারান সত্বেও এই বৃদ্ধি হইয়াছে। পূৰ্ব্ববঙ্গের পাটের বাণিজ্যের কেন্দ্রগুলিও বড় হইয়াছে। নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী শতকরা দশ জন, মাদারীপুরের ৩৩ এবং চাদপুরের ২৯ বাড়িয়াছে। মৈমনসিংহের ২৭, বরিশালের ১৯, কমিল্লার ১৪ এবং চট্টগ্রামের ২৫ বাড়িয়াছে। দিনের বেগ কলিকাতার অস্থায়ী বাসিদার সংখ্যা