পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«әь - .. wগল, তারাই বিরুদ্ধতা করবে ন। তারা ম’রে গেলে আবার যুদ্ধ হ’তে পারবে...” “ত হ’লে ?” “সন্ধি চিরস্থায়ী করতে হ'লে সীমান্তে দুই তরফের সীমা-সাক্ষী পোতা আবশ্যক । তা হ’লে আর কেউ সীমা লঙ্ঘন করতে সাহস করবে না।” “সীমা-সাক্ষী, সে আবার কি ?” “সীমা-সাক্ষী জানেন না ? যাদের মধ্যে সন্ধি পাক হবে তাদের দুই তরফের দু'জন জীয়ন্ত লোককে দুটো গৰ্ত্ত কেটে পিঠোপিঠিভাবে পুতে ফেলা হয়। পাহাড়ীদের বিশ্বাস এর ম’রে ভূত হ’য়ে নিজের নিজের স্বদেশের সীমা রক্ষা করে । জীয়ন্ত বিদেশী বা বিদেশীর ভূত কাউকে নিজের এলাকায় ঢুকুতে দেয় না। এদেরি বলে সীমা-সাক্ষী । পাহাড়ীর। এদের প্রাণান্তে চটায় না। এ-কথা আমি পাহাড়ীদের মুখে অনেকবার শুনেছি । আমার বিবেচনায় এরূপ একটা অনুষ্ঠান ক’রে রাখা মন্দ নয়। পরে অনেক উংপাতের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়৷ যেতে পারবে ।” চন্দ্রগুপ্ত সবেগে মাথা নেড়ে বললেন—“ন, না, না ; সে হ’তে পারবে না ! তুমি বল কি গোপরাজ, যুদ্ধের উত্তেজনায় প্রাণের হানি অনেক ক'রে যে লা যায়, তাই ব’লে মুস্থচিত্তে হত্য তো আর করতে পারিনে ৷” “আমিই কি হত্যা করতে বলছি ?...তবে দণ্ডনীয় কেউ থাকূলে, তাকে দ গু৪ দেওয়া যেত অথচ পাহাড়ীদের মনের উপরে সীমা-সাক্ষীর স্বাক্ষরটাও উজ্জল হ’য়ে থাকৃত । কারণ, সন্ধির সর্ব ওদের দিযে মানাতে হ'লে, ওর মানে এম্নি ধারা মস্তরই ত চাই...” বন্ধুগোপ আরো কি বলতে সাচ্ছিল কিন্তু তার কথা শেষ না হ’তেই প্রহরী এসে সংবাদ দিলে, মন্ত্রী শকটারের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে দূত এসেছে, এখনি দেখা করতে চায়, প্রয়োজনীয় সংবাদ আছে। চন্দ্রগুপ্ত ইঙ্গিতে তাকে নিয়ে আসতে বললেন । দূত এসে অভিবাদন ক’রে কুমারের হাতে চিঠি দিলে। চিঠি খুলে চন্দ্রগুপ্ত পড়লেন, “মহামাত্য শকটার-শৰ্ম্মার নিবেদন এই যে পত্রপাঠ মহাহভব মহারাজ-কুমার যেন প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩e

  • . AM MMMMMAMMAMMMMAMAMMAMAMAMAMAM MAA AMMMMMAMMMM

{ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড বৈশালীর অভিমুখে যাত্রা করেন। রাজধানীর সংবাদ আছে । বিলম্বে ক্ষতির সম্ভাবনা । অলমিতি।” পাঠশেষে গোপরাজকে জিজ্ঞাস্ব দৃষ্টিতে চেয়ে থাকৃতে দেখে চন্দ্রগুপ্ত বললেন—“বৈশালীতে ফিরে যাবার জন্তে তাগিদ এসেছে বন্ধু । হস্তা খানেক পরে হ'লে এখানকার সব ব্যবস্থা পাক ক’রেই যাওয়া যেত। তা যখন হ’ল না, তখন আমার অকুপস্থিতিতে সে-কাজ তোমাকেই করতে হবে । সে ভার তোমার উপর রইল ।...” গোপরাজ একগাল হেসে বললে,-“গোয়ালার বুদ্ধিতে যতদূর সম্ভব তা করব । মগধের ধ্বজ একবার যখন হিমালয়ের মাথায় স্থাপিত হয়েছে, প্রাণ থাকৃতে তা’ আর নবীতে দিচ্ছিনে ৷”

  • পাহাড়ের চূড়েীয় চূড়োয় যে-সব সেনাগুল্ম স্থাপন করা গেছে, সেগুলো বজায় রাখবার কি ব্যবস্থা ?”

“গোয়াল-পণ্টনের কিছু আপনি সঙ্গে নিন, বনের পথে সেথোর কাজ করবে। আর তার বদলে আপনার শিক্ষিত সেনার কিছু অংশ আমাকে দিয়ে যান, তাদের দিয়ে আমার বাকী গোয়াল: গুলোকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেব, তারাই এইসব সীমান্ত-দুর্গ রক্ষা করবে। আমরা পিপল-বনের বুনো, আমরাই এই পাহাড়ী বুনো কুকুরদের মুগুর । তারপর কিছুদিন বাদে ঐ কিরাতদের আস্তে আস্তে তৈরী ক’রে নেওয়া যাবে । ওদের দিয়েই ওদের বশে রাখা যাবে । যেমন বেল দিয়ে বেল ভাঙা—ভাঙো আর খাও ।” চন্দ্রগুপ্ত হেসে বললেন,—“বন্ধু, তুমি নিজেকে বুনো ব’লে পরিচয় দিচ্ছ, কিন্তু তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি মগধের মন্ত্ৰী-পরিষদেরই একজন সদস্য। তোমার কুশাগ্রবুদ্ধির উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে নির্ভাবনায় আমি বিদায় নিচ্ছি ।” প্রশংসার গৰ্ব্বে গোপবন্ধুর সরল মুখের চেহারা উজ্জল হ’য়ে উঠল। সে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলে উঠল—“ভবিষ্যৎসম্রাটের জয় হোক । তিনি যে এই বুনোকে বন্ধু ব’লে সম্বোধন করেন, বুনোর পক্ষে এ পরম গৌরবের সামগ্ৰী । এ গৌরবের যোগ্য হবার চেষ্টাই আমার জীবনের চরম লক্ষ্য ।”