পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०७ AM AA eM MMM MM MM MM MM MAM MAM MAAAS AAAAA AAAA AAAAM AA MMM MMM AAAA S AMM MA AA MAM MMM AAAA AAAA AAAA AAAA AAASS একজন অভ্যাগতের প্রতি এরূপ সম্ভাবণ স্বরুচি-বিরুদ্ধ বোধ করিলেও কেহই হাস্তসম্বরণ করিতে পারিল না, ব্যাপারটার মধ্যে এমনই কৌতুকজনক একটা কিছু মিশ্রিত ছিল । - স্বরেশ্বর নিজেও না হাসিয়া থাকিতে পারিল না, সে স্মিত মুখে কহিল, “তা হ’লে বুঝতে হবে যে আমার মনে আর মুখে যথেষ্ট বিরোধ রয়েছে।” সজনীকান্ত গম্ভীরমুখে কহিল, "তাই ত মনে হচ্ছে।” যেটুকু আঘাত সজনীকান্তর নিকট হইতে স্বরেশ্বর পাইল তাহাতেই স্থমিত্রার মন হইতে বিরোধটুকু কাটিয়৷ গেল । উপরন্তু মনে মনে একটু সন্তুষ্ট হইয়া কতকটা সন্ধিস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রসন্নমুখে বলিল, “ত হ’লে, স্বরেশ্বর-বাবু, স্থির হয়ে রইল কাল আপনি আসবেন। দেখবেন আর যেন কোন ওজর-আপত্তি করবেন না ।" তাহার পর সজনীকান্তর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া স্মিতমুখে কহিল, “স্বরেশ্বর-বাবুর চপ-কাট্‌লেটু খাওয়ায় তোমার যদি আপত্তি থাকে মামা-বাবু, তা হ’লে কাল চপ-কাটুলেটের বদলে কোপ্ত-কাবাব রাধ লেই হবে। ধিলিতী খাবারে আপত্তি আছে, কিন্তু মোগ্লাই খাবারে ত কোন আপত্তি থাকৃতে পারে না ?” স্থমিত্রার এই পরিহাস-বাণী শুনিয়া আবার একটা হাস্য-তরঙ্গ বহিয়া গেল । কিন্তু ইহার পরেই একটা নুতন স্বত্র অবলম্বন করিয়া নিম্নোক্তরূপে আলোচনাটা একেবারে সম্পূর্ণ নূতন পথে প্রবেশ করিল। " বিমান কহিল, “মোগলাই কোপ্ত-কাবাবে রাজনৈতিক আপত্তি না থাকৃলেও অন্য আপত্তি আছে— অতিশয় ঘি লাগে, আর সেইজন্যে জিনিষটা অতিশয় গুরুপাক হয় ।” এই মন্তব্যে প্রমদাচরণ চঞ্চল হইয়া উঠিয়া বলিলেন, *গুরুপাক হয় তা ঘির দোষে নয়, ঘির নামে তোমরা যে পদার্থ খাও তার দোষে। খাটি যদি হয় তা হ’লে এক । পোর্কাচ ঘি চুমুক দিয়ে খেলেও অম্বল হয় না।” প্রমদাচরণের বিশ্বাস বিশুদ্ধ ঘৃত ও দুগ্ধের অভাবেই বর্তমান ভারতের এই অবনত অবস্থা। স্বত ও দুগ্ধ যথেষ্ট { ২৩শ ভাগ,১ম খণ্ড ee eM ee AAAA AAAA AAAA SMSMMMS MSMSM MS MS T MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAeMAeMAeM MAAA স্থলভ হইলে কোন প্রকার দুঃখ কষ্ট এমন কি প্লেগ ম্যালেরিয়া হইতে আরম্ভ করিয়া চীনা জাপানী পৰ্য্যন্ত কিছুই ভারতবর্ষে থাকে না। এই প্রসঙ্গ হইতে অচিরাং গো-সমস্যা ও তাহার প্রতিকারের কথা আসিয়া পড়িল । এতদ্বিষয়ে অপর-পক্ষের আগ্রহ এবং ঔৎস্থক্যের কোন বিচার বা বিবেচনা না করিয়া প্রমদাচরণ উৎসাহভরে আলোচনা করিতে লাগিলেন। ফলে অপর-পক্ষের ধৈর্য্য-চু্যতি হইতে কিছুমাত্র বিলম্ব হইল না। অবশেষে দেখা গেল কোন-না-কোন ছলে একে একে সকলেই উঠিয়া গিয়াছে, শুধু একমাত্র নিরুপায় স্বরেশ্বর বসিয়া আছে । সে বেচারীর প্রতি প্রথম হইতেই প্রমদাচরণ এমন নিরবচ্ছিন্নভাবে মনোযোগী হইয়াছিলেন যে উঠিয়া পলাইবার কোন ফাকই সে খুজিয়া পায় নাই। ঘণ্টাখানেক পরে যখন স্থমিত্রা দয়াপরবশ হইয়। স্বরেশের উদ্ধারের জন্ত উপস্থিত হইল, গো-প্রসঙ্গ তখনও সবেগে চলিতেছিল। শ্রোতৃবর্গের সংখ্যাহ্বাসে উৎসাহহ্রাস কিছুমাত্র হয় নাই। তখন বিপন্ন সুরেশ্বর অনন্তোপায় হইয়া প্রতিশ্রুত হইতেছিল যে ননকো-অপারেশনের বিবিধ উদ্দেশ্যের মধ্যে গো-সমস্যাকেও অন্তভুক্ত করিবার জন্য সে একবার বিধিমত চেষ্টা করিবে । স্বমিত্রা কহিল, “বাবা স্বরেশ্বর-বাবুকে আর ছেড়ে না দিলে এইখানেই ওঁর স্বানাহারের ব্যবস্থা করতে হয় ।” সুরেশ্বর সকৃতজ্ঞনেত্রে স্বমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া অনুমতির অপেক্ষা না করিয়াই একেবারে উঠিয়া পড়িল, এবং প্রমদাচরণকে নমস্কার করিয়া কহিল, “আমিও অনেকক্ষণ আপনাকে আটকে রেখেছি, এখন তা হ’লে চললাম।” ঘড়ির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া প্রমদাচরণ কহিলেন, “তাই ত । বেল যে প্রায় বারটা বাজে। তা হ’লে এই খানেই যা হয় চারটি খেয়ে নিলে হয় না?” স্বরেশ্বর সবিনয়ে জানাইল তাহার কোন প্রয়োজন নাই, যে-হেতু প্রতিদিনই আহারাদি সারিতে তাহার এমনি বিলম্ব হইয়া যায়। তাহা ছাড়া যতক্ষণ সে গৃহে উপস্থিত না হইবে সকলে তাহার অপেক্ষায় বসিয থাকিবেন । -