পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য তুরস্কে নারী-জাগরণ তুরষ্কের নারী-সমাজ বহুকাল অন্তঃপুরে আবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তুরস্ক মহিলারা পর্দার আডাল হইতে বাহির হইয়া সমাজের নানা কাজের ভার গ্রহণ করিতেছেন । নারীজাতির শিক্ষার আমূল পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। কনস্তান্তিনোপল ও অস্তান্ত সহরে প্রাথমিক ও উচ্চশ্রেণীর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কনস্তাস্তিনোপলবিশ্ববিদ্যালয়ে নারী-শিক্ষার জন্ত একটি বিশেষ বিভাগ খোলা হইয়াছে। সরকারী ব্যয়ে শতাধিক মহিলা শিক্ষালাভের নিমিত্ত ইউরোপে প্রেরিত হইয়াছেন। তুরষ্কের নারী-হিতসাধনের প্রধান কৰ্ম্মী শ্ৰীমতী হালিদে অদিব, হাতুম। পাশ্চাত্য দেশে উাহাকে "তুরষ্কের জোয়ান অব আর্ক" নামে অভিহিত করা হয়। कांब्र१ छूर्क छांउिब्र श्रूनक्रथांtनब्र मूल उंशिअस शंउ আছে । তিনি কামাল পাশার বিশেষ বান্ধবী—রাজ্যসংক্রান্ত গুরুতর বিষয়েও কামাল পাশা তাহার পরামর্শ গ্রহণ করিয়া থাকেন। শ্ৰীমতী হাস্থমের পিতা ছিলেন রাজ্যচ্যুত স্বলতান আব্দুল হামিদের কোষাধ্যক্ষ। তিনি উদার-মতের লোক ছিলেন, কাজেই নিজের কস্তাকে পাশ্চাত্য ভাষায় শিক্ষিত করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। ফলে তুরষ্কের মত রক্ষণশীল দেশে জন্মিয়াও হামুম গ্রাজুয়েট হইয়াছিলেন । আব্দুল হামিদের নির্বাসনের পর হইতে তিনি স্বদেশের নারী-সমাজের নেত্রীরূপে রাজনৈতিক আনোলনে যোগদান করিয়াছেন। পূৰ্ব্বে তিনি ইংরেজদের ভক্ত ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি পাশ্চাত্য জাতি দের এরূপ শক্র হইয়া দাড়ান ধে ইংরেজরা তাহাকে, বন্দী করিয়া নির্বাপিত করিবার চেষ্টা করে । কিন্তু তিনি ছদ্মবেশে পলায়ন করিয়া সে যাত্র রক্ষা পান। এই অপূৰ্ব্ব নারী একাধারে কবি, লেখিকা, শিক্ষক, কুটরাজনীতিক ও সৈনিক । যথার্থ শিক্ষা লাভ করিলে, রক্ষণশীল দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াও এবং নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থাকিয়াও নারী ধে কিরূপে নিজের পথ স্বগম করিয়া লইতে পারেন, শ্ৰীমতী হামুম তার जौबख मृहेॉख् । নারী কৰ্ম্মী-সঙ্ঘ কয়েক মাস পূৰ্ব্বে কলিকাতায় নারী কৰ্ম্মী-সঙ্ঘ ( League of Women Workers ) Rfq«* q«sfē wisq প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ইংরেজ, বাঙালী, পাশা ইত্যাদি নানা সম্প্রদায়ের মহিলারা এই অনুষ্ঠানুটি গড়িয় তুলিবার চেষ্টা করিতেছেন । ইহার নানাদিকে ইহাদের কার্য্যক্ষেত্র প্রসারিত করিবার জন্ত চেষ্টা করিতেছেন। এই নব-প্রতিষ্ঠিত সত্যটি র্তাহাদের উদ্দেশ্যের যে পরিচয়-পত্র প্রকাশ করিয়াছেন তাহাতে বিদ্রোহের স্বর ধ্বনিত হইয় উঠে নাই। কিন্তু নিজেদের মুক্তির জন্য ধীরতা ও সংযমের যে তাহাদের অভাব হইবে না এ পরিচয়ও তাহারা প্রদান করিয়াছেন । পুরুষদের সহিত তাহার, পাশ্চাত্য মহিলাদের অন্থকরণে, বিরোধ বাধাইতে চাহেন না, অথচ নারীদের অধিকার সম্বন্ধেও তাহার বেশ সচেতন । স্থতরাং ভরসা হয় যে এই সঙ্ঘটি নারী-সমাজের এবং সঙ্গে-সঙ্গে দেশের উপকার করিতে সক্ষম হইবে। আমরা এই শুভ জহুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি । পররাষ্ট্র-বিভাগে নারী ডেলিমেল পত্রিকার ক্ষশিয়াস্থ সংবাদদাত। মিঃ রিচার্ড, এটা সম্প্রতি রুশিয়ার কয়েদ হইতে মুক্তিলাভ ফরিয়াছেন। তিনি বলেন, রুশিয়ার পররাষ্ট্র-বিভাগের