পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিবীর অভ্যন্তর— ছেলে-বেল অনেকেই চারপাঠে পড়িয়া থাকিলেন লে “অবনীর পৃষ্ঠদেশ হইতে ১০।১৬ ফ্রোশ নিমস্থিত সমুদায় স্থান অত্যুষ্ণ তরল পদার্থে পরিপূর্ণ। নরিকেলের মধ্যগত জলভাগ যেমন কঠিন অবিলণে অtধূত, পৃথিলার অভ্যস্তরস্থ তরল বস্তুরাশিও নেইকপ কঠিন আচ্ছাদনে অtটছাদিত ।” ண்ம் . .

  • ثم يعي: .

[ (t) নং চিহ্নিত অংশে অধুনাপরিত্যক্ত মতানুসারে অন্তর্দ্রবময়ী পৃথিবীর চিত্র। (:) নং চিহ্নিত অংশে ওয়াশিংটন সাহেবের মতে স্বর্ণগদি ধরণীর যে চেহারা দাড়ায় তাহীর চিত্র । (৯) নং চিহিত অংশে ধাতু ও পাষাণময় পদার্থে সম্পিণ্ডিত পৃথিবী-গোলকের চিত্র। উপরের ছবিটি ডক্টর ওয়াশিংটনের, নীচেরটি ডক্টর হবদের। ] কিছু কাল পূর্ব পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকদের ধারণ এইরূপই ছিল বটে, কিন্তু এপল আর এরূপ মত তাহার পোষণ করেন না । এখন তাহার। এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হইয়াছেন যে এই পৃথিবী-গোলক আগাগোড়াই কঠিন পদার্থে নিৰ্ম্মিত। এমন কি উহার মনে কৰেন যে পুগিষীর অভ্যন্ত পাষাণত্রবে পূর্ণ হওয়া দূরে থাকুক, ইস্পাস্তের চেয়েও শক্ত o পদার্থে ( খুব সম্ভবতঃ কোন ধাতব পদার্থে ) একেবারে | || কিন্তু এই ধাতু যে কি ধাতু ৬ষ্ঠ। কেহই নিশ্চয় করিয়া বলিতে পাবেন নাই । তাহার এসম্বন্ধে কতকগুলি বৈজ্ঞানিক যক্তিমূলক অনুমান করিয়াছেন মাত্র। তন্মধ্যে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক হৰস সাহেবের অনুমান হইতেছে এই যে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে প্রায় নিরেট লোহারই এক চাপ রহিয়াছে। এত পরিমাণে লৌহের অস্তিত্বের কথা শুনিয়া অনেকে বিস্ময় অনুভব করিতে পারেন। কিন্তু ইহা অপেক্ষ বিস্ময়ের কথা এই যে বৈজ্ঞানিকদের আধুনিকতম মতে পৃথিবীর হৃৎপিণ্ডটি একেবারে একটি সোনার পিণ্ড । ইংরেজি কাব্য সাহিত্যের সঙ্গে যাহীদের পরিচয় আছে তাহার এখানে মক্কাকবি মিন্টনের পারাডাইস লষ্ট কালোর প্রথম সর্গে শয়তানের অনুচরবর্গের দ্বারা পাঠালপুরীতে স্বর্ণনিৰ্ম্মাণের কথা স্মরণ করিবেন, কিন্তু নরকপুরীতে স্বর্ণের অস্তিত্বের হেতু দেপাইয়। মহাকবি লোকের বিস্ময় নিলারণের জন্ত লে কারণ নির্দেশ করিয়াছেন সে যুক্তি এখানে পাটে না, কারণ তাত নিছক্‌ কবি-কল্পনা । বৈজ্ঞানিক যখন বলেন যে পৃথিবীর মধ্যস্থলে লক্ষ লক্ষ মণ দোন রূপ তাম প্ল্যাটিনাম প্রভৃতি ভারী ধাতু আছে, তখন তিনি শুধু এলেমেলে। আন্দাজের কথা বলেন না ; কিন্তু ভূপৃষ্ঠের মৃত্তিকার পুত্র তঃ তন্ন করিয়া রাসায়নিক gBBBB BBB BBBB BBBB KK DBB BBBSBBBS অনুমান করেন। আমেরিকার ওয়াশিংটন কর্ণেগি ইন্‌ষ্টিটিটের ডক্টর হেনরি ওয়াশিংটন ভূতত্ত্ববিদ্যায় জগতের মধ্যে বিশেষ পারদর্শী । তিনি প্রায় ৫০০০ জায়গার মাটির রাসাযfনক পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে পাইয়াছেন দে এই সব মুক্তিকাতে সাধারণতঃ খুব হাঙ্ক। ধাতুষ্ট অধিক পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যায়। ভারা ভারী ধাতুর অংশের অনুপাত খুবই কম ; সোনার অনুপাত শতকরা এক ভাগেরও লক্ষভাগ। আজকাল ভারী ধাতুগুলির এত বেণী অভাব পরিলক্ষিত হইলেও, ধরপৃষ্ঠ চিরদিনই যে সেগুলি হইতে বঞ্চিত আছে ইহ। সম্ভব নহে। সে সব ধাতু যে পরিমাণে পৃথিবীতে থাকিবার কথা, শে-দল ধাতুকে ধারণ করয় তাহার বহন্ধৰ নাম হইয়াছে, দেগুলি ৩৪ হইলে কোপীয় গেল ? তাহার কি তাহ হইলে আমাদের দৃষ্টিবহিভূত কোনস্থানে পৃথিবীর সুদুর কোন কন্দরে আন্ম গোপন করিয়া আছে ? ডক্টর ওয়াশিংটনের বিশ্বাস সে সত্য-সত্যই দেগুলি ধরণীর অস্তস্তলে ডুবিয়া আছে। উহার মতে সমস্ত পৃথিবীটাই একদিন দ্রবময়ী ছিল। তপন ভারী ভারী ধাতুপদার্থগুলি তলাইয়৷ ডুবিয়া যায়, আর হাঙ্গাগুলি উপরে ভাসিতে থাকে । কাজেই fঠনি মনে করেন যে লক্ষ লক্ষ মণ হারান ধাতুপদার্থগুলি । পৃথিবীর ভিতরে রহিয়াড়ে। তাহার অনুমান অনুসারে ধাতুস্তরগুলির বিস্তাস এইরূপ—পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রদেশে যত ভারযুক্ত ধাতুর সমাবেশ,—যপ প্ল্যাটিনম, সোনা, অ্যাণ্টীমনি, ওস্মিয়াম (সৰ্ব্বাপেক্ষ ভারী ধাতু, ফাউন্টেন পেনের সোনার নিবের ধাতুমিশ্র ইরিডোমিয়াম এই ওসিমিয়ম্ ও ইরিডিয়াম মিশ্রণে প্রস্তুত হয় )। এই অস্তরতম বহুমূল্য ধাতুময় প্রদেশের অব্যবহিত পরেই অপেক্ষাকৃত কম গুর ধাতুর স্তর। এইখানেই তাম রূপ ও সীস পাওয়া যায়। ভূমধ্যে যদি লৌহের স্তর থাকে তবে তাহ এ-সব ধাতুস্তরেরও উপরে আছে। ডক্টর ওয়াশিংটন মনে করেন যে পৃথিবীৰ ভিতর এরূপ একটি লোঁহের স্তবও আছে । পুথিবীর সৰ্ব্বোপরি যে স্তর গুtঙ্গ। প্রস্তর ও অষ্ঠাষ্ঠ হাঙ্ক ধাতুব দ্বারা গঠি• ; আমব তাঙ্গরষ্ট উপব বাস কবি ।