পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ একেবারেই তাহা নহে—ঠিক এই অনুপম মুখই সে দেখিয়াছিল বটে ফুলশয্যার রাত্রে, এমন ভুলও হয় ! —পূজোর সময় আসিনি তাই “তুমি ভাবতে কি না ?...ও সব মুখের কথা-ছাই ভাবতে !. —ম গে না, মা বললেন তুমি আসবে ষষ্ঠীর দিন, ষষ্ঠ গেল, পূজা চলে গেল, তখনও মা বললেন তুমি একাদশীর পর আসবে—আমি— অপর্ণ হঠাৎ থামিয় গেল, অল্প একটু চাহিয়া চোখ নীচু করিল। অপু আগ্রহের স্বরে বলিল—তুমি কি বললে না ? অপর্ণ বলিঙ্গ—আমি জানিনে, বলবো না— অপু বলিল-আমি জানি আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়াতে তুমি মনে মনে— অপর্ণা স্নেহপূর্ণ তিরস্কারের স্বরে বলিল-আবার ওই কথা ?..ওসব আছে ?—ছিঃ-ব’লে না— —ত কৈ, তুমি খুশী হয়েচ, একথা তে তোমার মুখে কখনও শুনিনি অপর্ণ }— অপর্ণ হাসিমুখে বলিল—তার পর কতদিন তোমার সঙ্গে আমার দেখা হয়েচে গো শুনি ?...সেই আর-বছর বোশেখ আর এ বোশেখ--- —আচ্ছ বেশ, এপন তো দেখা হ’ল, এখন আমার কথার উত্তর দাও ? অপর্ণ কি-একটা হঠাৎ মনে পড়িবার ভঙ্গিতে তাহার দিকে চাহিয়৷ আগ্রহের স্বরে বলিল—তুমি নাকি যুদ্ধে যাচ্ছিলে, পুলুদ বল্ছিল, সত্যি ?. —যাইনি, এবার ভাবচি যাবে। —এখান থেকে গিয়েই যাবো— অপর্ণ হাসিয়া বলিল-আচ্ছা থাক্ গে, আর রাগ করতে হবে না, আচ্ছ, তোমার কি কথার উত্তর দেব বলে তো ?.ওদব আমি মুখে বলতে পারবো না – —আচ্ছা, যুদ্ধ কাদের মধ্যে বেধেচে, জানো ?-- - —ইংরেজদের সঙ্গে আর জাৰ্ম্মানির সঙ্গে—আমাদের ৰাষ্ট্ৰী বাংলা কাগজ আসে। আমি পড়ি যে । ঘাড় বাকাইয় কথা বলতে প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ృ9రిగి SS SMMMS SSASAS SS SAAAA [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড অপর্ণ রূপার ডিবাতে পান আনিয়াছিল, খুলিয়। বলিল-পান থাবে না ?••• বাহিরে এক পশলা বৃষ্টি হইয়া গেল। এতটুকু গরম নাই, ঠাণ্ড রাতটির ভিজা মাটির স্বগন্ধে ঝিরঝিরে দক্ষিণ হাওয়া ভরপূর, একটু পরে স্বন্দর জ্যোংস্কা উঠিল। অপু বলিল—আচ্ছা অপর্ণা, চাপাফুল পাওয়া যায় তে। কাউকে কাল না ব’লে বিছানায় রেখে দেবে ? অাছে চাপাগাছ কোথাও ?••• —আমাদের বাগানেই আছে। আমি একথা কাউকে বলতে পারবে না কিন্তু—তুমি বলে কাল সকালে ওই নৃপেনকে, কি অনাদিকে. —আচ্ছা কেন বলে। তো তুললাম ?. অপর্ণা সলজ হাসিল । অপুর বুঝিতে দেরি হইল না ধুে অপর্ণ তাহার মনের কথা ঠিক ধরিয়াছে। তাহান হাসিবার ভঙ্গীতে অপু একথা বুঝিল । বেশ বুদ্ধিমতী তে। অপর্ণা ! . . . সে বলিল-ই একটা কথা অপর্ণা, তোমাকে একবার কিন্তু নিয়ে যাবে। দেশে, যাবে তো ? অপর্ণ বলিল—মাকে ব’লে, আমার কথায় তে চাপাফুলের কথা হবে না--- —তুমি রাজী কি না বলে আগে—সেখানে কিন্তু কণ্ঠ হবে । দুখান মোটে চালাঘর, তাও মা মারা যাওয়ার পর আর সেথানে যাইনি, তোমাদের মত ঝিচাকর নেই, নিজের হাতে সব কাজ করতে হবে --রাজী আছ কি না ? আমি কিন্তু গরীব, তা আগে থেকেই ব’লে রাখি । তুমি হ’লে জমিদারের মেয়ে— অপণা এবার একটু দৃঢ়ম্বরে কথা কহিল । বলিল— কেন একশোবার ওকথা বলে ?.. তুমি কাল মাবে বাবাকে ব’লে রাজী করাও, আমি তোমার সঙ্গে যেখানে নিয়ে যাবে যাবে, গাছতলাতেও যাবে, আমি কুমার সব কথা জানি, পুলুদা মায়ের কাছে বলছিল,"আমি সব শুনেচি । যেখানে নিয়ে যাবে, নিয়ে যাও, তোমাৰ ইচ্ছে, আমার তাতে মতামত কি ? রাত্রে দুজনে কেহ ঘুমাইল না । (ক্রমশঃ)