পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ' مې. ५ \--- নব্য বঙ্গীয় চিত্রকলাপ নব্য বঙ্গীয় চিত্রকলাকে এখন আর তেমন, নব্য বলা চলে না, এখন উহার পরিচয় সকল বাঙালীরই কিছু-না কিছু জাম আছে । আর বাঙালীই বা বলি কেন ? : e:রতবর্ষের চিত্রকলাতুরাগী রসিক সমাজ ইহাকে আর অবজ্ঞায় ঠেলিয়া ফেলিয়া রাখেন না । বিভিন্ন প্রদেশে৭ বঙ্গীয় চিত্রপদ্ধতির অনুকরণে ও প্রেরণায় ইহার অনুরূপ চিত্রকলা জন্মলাভ করিতেছে । কাজেই, ইহাকে নবা বলিয়া সঙ্কোচ করিবার বা বঙ্গীয় বলিয়| আশঙ্কা করিবার কোনও কারণ নাই । বরং বিপরীত কারণে ভর হয়, আমাদের নব্য বঙ্গীয় চিত্রশিল্পী সমাজ বুঝি শিল্পের অপেক্ষ তাহার পদ্ধতিটাকেই বড় করিয়া তোলেন এবং আমাদের নিজস্ব চিত্রশিল্প সম্বন্ধে পূৰ্ব্বেকার অন্ধ অবজ্ঞ বুঝি আজিকার দিনে আবার ফ্যাসান-মাফিক অন্ধ স্তুতিতে আসিয়া ঠেকিতেছে । নব্য বঙ্গীয় চিত্রকল। যদি অবনীন্দ্রনাথ, নন্দলাল প্রমুখ শিল্পাচাৰ্য্যগণের রূপকৰ্ম্মের অঙ্কুরুতিকেই তাহাদের শিষ্যাকুশিষ্যদের একমাত্র আদর্শ বলিয়। স্থির করিয়া দিত তাহা হইলে সত্যসত্যই আশঙ্কার কারণ ছিল । কারণ, আদর্শ যতই মা সুন্দর ও মুনিপুণ হাতের কাজ হোক শুধু তার অনুকরণে তার প্রাণকে পরা যায় না । তাই, শিষ্যপরম্পরার এইরূপ অমুকরণে ক্রমশঃই আদর্শের রূপ ংস পটুত্বের হ্রাস দেখা যাইত। নব্য বঙ্গীয় চিত্রশিল্পীদের পাহারও কাহার ও চিত্ৰ দেখিয়া যে এইরূপ আশঙ্কা হয় মই তাহা নয়। তবে, আশার কথা এই যে, এখনও “তন চিত্রশিল্পীদের মধ্যে এমন অমেকে আছেন র্যাহার এই যুগের ও পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব যুগের শিল্পাচাৰ্য্যগণের আসল *ক্তি ও আসল প্রতিভার দ্বারা অকুপ্রাণিত হইয়াই এই পতি অবলম্বন করিয়াছেন, নিতান্তই পদ্ধতির চমকদার ভাবে প্রভাবান্বিত হন নাই । তাই, তাহাদের প্রাণ এই পথে মুক্তি পাইতেছে, বন্দী হইয়া পড়িতেছে না। পদ্ধতি যতক্ষণ পর্য্যস্ত প্রাণবান থাকে ততক্ষণ পৰ্য্যস্ত ? চলিতে ভয় পায় না। আনন্দের কথা এই যে, ר צ নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলু যে সচল আছে, তাহার প্রমাণ আমরা পাইতেছি । " | বঙ্গদেশের যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার শিক্ষা ও অঙ্কুশীলন হয়, তাহার একটি ভরিয়েন্টাল সোসাইটি অফ আর্টস, অন্যটি কলাভবন, ও তৃতীয়টি কলিকাতা আর্টস স্কুল । ইহার মধ্যে আর্টস স্কুলে সাহেবী ও সরকারী প্রভাব সমধিক ছিল । কিন্তু উহার বর্তমান অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত মুকুল দে মহাশয়ের চেষ্টায় ভারতীয় চিত্ৰপদ্ধতির শাখা বেশ সজীব হইয়া উঠিয়াছে। অধ্যক্ষ মহাশয় ও র্তাহার সহকৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মহাশয়ের চেষ্টায় বৰ্ত্তমানে চিত্রকলার সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্র ছাড়াইয়। ভারতীয় কলা কারুকলার কার্যকরী শিল্পক্ষেত্রেও প্রবেশলাভ করিতেছে। ইহা বড়ই স্কুলক্ষণ। কলাভবনে সেই চেষ্টা পূৰ্ব্ব হইতেই চলিতেছিল। ওরিয়েন্টাল সোসাইটি অফ আর্টস বর্তমামে বিভিন্ন দেশীয় চিত্রকলা পদ্ধতি সম্বন্ধে বক্তৃতাচয়ের আয়োজন করিতেছেন, আশা করা যায় ইহাতে সোসাইটির ভারতীয় শিল্পের নূতন সাধকগণ মিজ শিল্পকে ঐসব বিভিন্ন শিল্পপদ্ধতির পটভূমিকায় স্থাপন করিবার অবসর পাইবেম এবং তাহাতে র্তাহাদের মন স্বচ্ছ ও তাহাঙ্গের কলানৈপুণ্য আরও খাটি হইবে । এই সব প্রতিষ্ঠানের যে সব কৃতী ছাত্র নিজেদের শিক্ষার ৪ সাধনার কৃতিত্ব দেখাইতেছেন, তাহাদিগকে আমাদের অবজ্ঞা করা উচিত নয়। ইহঁদের মধ্যে কেহ গুরুগণের প্রতিভার অধিকারী কিনা, তাহ ঠিক মাই , কিন্তু তাই বলিয়৷ ইহঁাদেরও ষে বৈশিষ্ট্য ও কৃতিত্বটুকু আছে তাহা স্বীকাৰ্য্য । সে বৈশিষ্ট্য উপভোগ্য৪ । এইরূপ কয়েকটি শিল্পী শ্ৰীযুক্ত ইন্দু প্রক্ষিত্ত, শ্ৰীজ্যোতি রিন্দ্রকৃষ্ণ রায়, তারকনাথ বস্ন, আত্মামন্দ সিংহ 5 ননীগোপাল দাসগুপ্ত, তাহদের দুই একটি শিল্প নিদর্শন এখানে প্রকাশ করা গেল-মনে রাখিতে হইবে , মুদ্রণের অস্তুবিধায় তাহানের শিল্প-ক্ষমার ধথেষ্ট পরিচয়