পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য } লউন । পণ্ডিত মোতীগাল নেহরু নরম ও ভদ্রভাষায় স্নোকুত্ব সাহেবকে নিজের সর্বগুলি জানাইবার পরই তাহাকে জেলে নিক্ষিপ্ত করা হইল । ইহা কিরূপ সৌজন্য ও বিজ্ঞতার পরিচায়ক ? যদি বলেন, তিনি বেআইনী কাজ করিয়াছেন বলিয়া তাহার জেল হইল, ইহাতে আশ্চৰ্য্য কি, অসৌজন্যই বা কি ? উত্তরে বলি, তাহার জেল হইবার কয়েক মাস পূৰ্ব্বে তিনি মুন তৈরী করিয়া লবণ আইন ভঙ্গ করিয়াছিলেন ও অন্যান্ত বেআইনী কাজ করিয়াছিলেন। তখন সরকার বাহাদুর র্তাহাকে জেলে পাঠান নাই। এত মাস যদি সরকার অপেক্ষা করিয়া থাকিতে পারেন, তাহ হইলে আরও কয়েক দিন অপেক্ষ করিলে কি সাম্রাজ্য উন্টিয়া যাইত ? অথবা কোন আমলা কি মনে করিয়াছিলেন পত্তিত মোতীলালকে জেলে দিলে তাহার সর্ব ও স্বর আরও নরম হইবে ? ইহা গেল রফ ও সন্ধি আরম্ভ হইবার আগেকার কথা । রফা ও সন্ধির কথাবাৰ্ত্তা যখন চলিতেছে, তখন দুজন মহিলা সভ্য ব্যতিরেকে কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির (সভাপতিসমেত) সমুদয় সভ্যকে গ্রেপ্তার করিয়া জেলে পাঠান হইল। এই কাজটি কোন প্রাদেশিক গবন্মেষ্ট করেন নাই। ভারত-গবন্মেণ্টের, বড়লাটের, থাস এলাকাভুক্ত দিল্লীতে এই কাজ হইয়াছে। এই কাজটির মধ্যে বুদ্ধিমত্তা, বিবেচকতা, রাজনীতিজ্ঞতা, ও মহাসুভবতার কোন প্রমাণ আমরা পাই নাই । কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সমিতি দিল্লীতে আগে হইতে বেআইনী ঘোষিত ছিল না ; ঐ সহরে তাহার অধিবেশন হইবার প্রাক্কালে উহাকে বেআইনী ঘোষণা করা হইল এবং তাহার পর সভ্যদিগকে গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করা হইল । তখন রক্ষা ও সন্ধির কথাবাৰ্ত্ত চলিতেছিল । কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাঙ্কক সমিতি অযশু কয়েক মাস যাবৎ বেআইনী কাজ করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু দিল্লীতে বখন উহা এতদিন ৰেআইনী বলিয়া ঘোষিত হয় নাই, এতদিন উহার অধিবেশন নিষিদ্ধ হয় নাই, তখন আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করিলে সাম্রাজ্য লুপ্ত হইত না । ইহাণ মনে রাখিতে হইবে, উক্ত ঘোষণার সময় ডা: আঙ্গারী কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং পণ্ডিত S$ বিবিধ প্রসঙ্গ—বড়লাটের অকপটতা ও বদাস্যতা AA MAAA AAAA AAAAJAMMASAAAJSAMAMMJJJAHHHAJSJJ X8& মদনমোহন মালবীয় উহার জন্যতম সভ্য ছিলেন, ইহারা সত্যাগ্রহের আইন লঙ্ঘন কার্ঘ্যে বহুদিন যোগ দেন নাই। র্তাহাদিগকে উষ্ণমস্তিষ্ক মনে করিৰার কারণ নাই । তাহারা সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টাকে কোন পথে চালান, তাহা দেখিবার জন্য ছুদিন অপেক্ষা করিলে কি ক্ষতি হইত ? অবশ্ন আমলাতন্ত্র তাহাজের প্রেষ্টিজের কথা ভাবিয়া থাকিবেন। ইহাও উহাদের কেহ কেহ ভাবিয়া থাকিতে পারেন, কার্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির পুরুষসভ্যদিগকে জেলে পাঠাইলে ভারতীয়ের বুঝিতে পরিবে গবষ্মেন্ট ভয় পান নাই। গবক্সেণ্টও এখন বোধ হয় নেতাদের সৰ্বগুলি হইতে বুৰিয়া থাকিবেন, যে, তাহারাও ভয় পান নাই। ঠিক্ কংগ্রেসের কাগজ এখন একখানাও নাই বলিলেও চলে । কিন্তু যাহাদের মত কংগ্রেসের সহিত কতকটা মিলে, সেই সব কাগজেৱ লেখা হইতেও গবন্মেষ্ট বুঝিয়া থাকিৰেন, কংগ্রেসপক্ষীয় লোকেরা এবং তাহাদের সহিত সহানুভূতিসম্পন্ন লোকেরাও ভয় পায় নাই, এবং সন্ধির কথাৰাৰ্ত্ত নিষ্ফল হওয়ায় নিরাশ হয় নাই । রফ ও সন্ধির কথাবাৰ্ত্তার সময়ের মধ্যে সরকার বাহাদুর নেতাদিগকে যেমন ক্ষণিক রেহাইও দেন নাই, তেমনি সৰ্ব্বসাধারণের উপরও দমননীতি প্রবলতর বেগে চালাইয়া আসিয়াছেন এবং নূতন নূতন অঞ্চলে কোন-নাকোন অর্ডিন্যান্স জারী করিয়া জাগিতেছেন। গবন্মেষ্ট ঘে ভয়ু পান নাই বা পরাজিত হন নাই, ইহা দেখাইবার জন্য এই সমস্তই আবশ্বক বিবেচিত হুইয়া থাকিতে পারে। কিন্তু গবন্মেণ্ট-নামধেয় মাস্থষগুলির মত কংগ্রেসনেতানামধেয় মানুষগুলিও রক্তমাংসে নির্মিত মানুষ । ইংরেজ বা ভারতীয় কেহ কেন এরূপ মনে করেন, যে, গবন্মেন্টের পক্ষে উগ্র হইতে উগ্রতর মুষ্টি গ্রহণ করা আবশ্বক ও সঙ্গত, কিন্তু নেতাদের পক্ষে উৰুদেৱ সৰ্বগুলি একটুও কড়া করা সঙ্গত নহে? কেহ কেন. এরূপ আশা করেন, যে, গবন্মেন্টের দমননীতি যতই কঠোর হইবে, নেতাদের সৰ্বগুলি ততই নরম ও লঘুপাক হইতে থাকিৰে ?