পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] SASAeAMSMAMMASAMMAASAA AAAS বিবিধ প্রসঙ্গ-বিনা বিচারে বন্দীদের দশ ఫిలి উদেশ্য বোধ হয় প্রায়োপবেশন বন্ধ করা । কিন্তু বন্দীর আপনাদিগকে লাঞ্ছিত ও উৎপীড়িত মনে করিলে যদি উপবাস দিয়া প্রতিবাদ করিতে এবং প্রতিকার না হইলে মরিতে চায়, তাহা হইলে তাহাদিগকে বঁাচাইয়া রাখা দুঃসাধ্য। আর, যাহাদিগকে কখন ছড়িয়া দিবে তাহার স্থিরতা নাই, তাহাদের মরণেও বাদ সাধিবার এত বেশী প্রয়োজন আছে কি ? সরকারী কি রকম কোন লোক বন্দীদের নিকটস্থ হইলে দাড়াইয়া উঠিয়া সেলাম আদি করিতে হইবে, তাহারও নিয়ম আছে। অনুষ্ঠানের কোন ক্রটিই নাই । বন্দীর ঘে কর্তৃপক্ষের অগোচরে কোন চিঠি লিখিতে বা পাইতে পারিবে না, তাহাও নিয়মের মধ্যে আছে । বন্দীর পলাইবার চেষ্টা করিলে তাহদের পলায়ন বন্ধ করিবার নিমিত্ত তলোয়ার বন্দুক আদি তাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হইতে পারিবে, এই নিয়মটিই সকলের চেয়ে দরকারী । একজন সাধারণ কনেষ্টবলেরও যদি এরূপ মনে কবিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে, যে,পলাতক কোন বন্দীর বিরুদ্ধে তলোয়ার না চালাইয়া বা তাহাকে গুলি না করিয়া তাহার পলাসুন বন্ধ করা যাইবে না, তাহা হইলে তলোয়ার ও বন্দুক ব্যবহৃত হইতে পারিবে । অতএব, দেখা যাইতেছে, যে, কোন কোন স্থলে কোন কোন বিন-বিচারে বন্দী ব্যক্তির কার্য্যতঃ প্রাণদণ্ড হওয়৷ ন হওয়৷ সাধারণ একজন পাহারাওয়ালার মনের ধারণার উপর নির্ভর করিতে পারে । *প্রাণদণ্ড” বলিতেছি এইজন্ত, যে, নিয়মাবলীর মধ্যে এই অত্যাবশ্বক কথাটি নাই, যে, রক্ষীরা পলায়ন নিবারণ করিবার নিমিত্ত কেবল শরীরের নিম্নদেশ লক্ষ্য করিয়াই গুলি ছুডিবেন বা তলোয়ার চালাইবেন, বুক বা মাথায় আঘাত করিবেন না । হিংস্র সিংহ বাঘ ভালুক খাচা হইতে পলাইলে মানব-সমাজকে নিরাপদ রাখিবার জন্য ঐসব পলায়িত জন্তুকে মারিয়া ফেলিতে কেহ ইতস্ততঃ করে না । এই বীরা মানুষ হইলেও বাঘ ভালুক সিংহের মত। অথচ বন্দী হইবার আগে তাহারা সব তোমার আমারই মত মান্তষ-ভাই ছিল । নামজাদ ইংরেজ লেখক রেভারেও এডোয়ার্ড টমসন ぐb"=&b ہے.یہ مت۔ یہ ہبہ ہبتہحہمہمہ: بهمی عام ہضمہ* ( আজকাল তিনি রেভারেও অর্থাৎ "ভক্তিভাজন” শব্দটি তাহার পুস্তকাদির আধ্যাপত্রে নিজের নামের আগে ব্যবহার করেন না-লোকে তাহাকে আর ভক্তি করে না এষ্ট সন্দেহে কি ? ) তাহার নব প্রকাশিত “ভারতবর্ষের złaśña” ( Reconstruction of India ) *** **za এক জায়গায়, মহাত্মা গান্ধী লর্ড আরুইনকে ব্রিটিশ গবন্মে ন্টের ভারতবর্ষের প্রতি সাধু ইচ্ছার প্রমাণস্বরূপ যে এগারটি সংস্কারের সূত্রপাত করিতে বলিয়:ছলেন, তাহার সমালোচনা করিতে গিয়া লিথিয়াছেন (পূ: ১৭s ), মিঃ গান্ধী এরূপ কথা বলিতেছেন যেন তিনি আকবর বা অ্যাওরংজেবের সহিত ব্যবহার করিতেছেন বলিয়৷ মনে করেন। কিন্তু আকবর ও আওরংজেব যে যুগে জীবিত ছিলেন, সে-যুগে শাসনকৰ্ত্তাদের স্বৈরিত সম্বন্ধে লোকমত যেরূপ ছিল, তাহার তুলনায় ঐ বিষয়ে বৰ্ত্তমান গণতান্ত্রিক যুগের লোকমত বিবেচনা করিলে লর্ড আরুইন, এমন কি প্রাদেশিক গবর্ণরেরাও, আকবর বা আওরঙ্গজেবের চেয়ে কম অনিয়ন্ত্রিতশাসনশক্তিবিশিষ্ট নহেন । তাহার হাতীর পায়ের তলায় মানুষকে ফেলিয়া তাহার প্রাণবধ করিবার কিংবা ভাহাকে ফুটন্ত তেলে ভt'জলার কিংবা জীয়ন্তে দেওয়ালে গথিয়া ফেলিবার হুকুম দিতে পারেন না বটে। কিন্তু বড়লাট অর্ডিন্যান্স দ্বারা মানুষকে কোন বা সকল প্রকার স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত করিতে পারেন, কোন কোন নির্দোষ এমন কি সৎ কাজকেও অপরাধে পরিণত করিতে পারেন, এবং সাধারণ বিচারপ্রণালী যে-কোন সময়ে থামাইয়৷ ( যেমন লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় \ প্রাণদণ্ড হইতে পারে এইরূপ অভিযোগে অভিযুক্ত আসামীর বিচার স্ববিচারের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক বাধাবাধি-নিয়ম মুক্ত স্পেশুগল টিবিউন্যাগ দ্বারা করাইতে পারেন । তদ্ভিঃ, বঙ্গে বিনাবিচারে-বন্দীদের জন্য যেরূপ সব নিয়ম হইরাছে, তাহা বিবেচনা করিলে প্রাদেশিক গবর্ণরেরও বজ্ৰমণ গণতান্ত্রিক যুগের পক্ষে খুবই স্বৈরশাসক ।