পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬ ভাবে প্রদর্শন করিতেছে এই যুক্তি ব্যবহৃত হইবে, কিন্তু বস্তুতঃ ইহার সহিত ভারতবর্ষের সাধারণ সমস্যার কোন সম্পর্ক নাই। আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়ী যে-ই থাকুক, জাতীয় অভিযোগের কারণ আছে এই বিশ্বাস যতদিন স্বাজাতিক ভারতবর্ষের থাকিবে, ততদিনই ভয়োৎপাদকদের কার্য্যপ্রণালী অবলম্বিত হইবার সম্ভাবনা থাকিবে । স্বযুক্তি ও স্থবিবেচনা ও মিতব্যবহার উৎকট রাজনৈতিক উন্মাদজনিত অত্যাচারের শ্রেষ্ঠ ঔষধ । অবিচার ভয়োৎপাদন নীতির প্রাণশোণিত (অর্থাৎ, অবিচার থাকিলে ভয়োৎপাদন নীতিও থাকে ; কিন্তু যেখানে অবিচার নাই, সেখানে ভয়োৎপাদন নীতি নাই —সেখানে বিপ্লবীরা ভয়োৎপাদনের জন্য প্রাণবধ করে না ), এবং গোল টেবিল বৈঠকের কাজই হইতেছে অবিচারের লয় সাধন করা ।” ম্যাঞ্চেষ্টার গাডিয়্যানের মন্তব্য যে রাষ্ট্রনৈতিক বিশ্বাস হইতে উদ্ভূত, তাহার সহিত আমাদের অনৈক্য নাই । তবে অন্য দু-একটা বিষয়ে আমরা কিছু বলিতে চাই। যে-সব দেশে ব্যক্তিবিশেষের একছত্র রাজত্ব, যথায় তাহার ইচ্ছাই আইন, কিম্বা যে-সব পরাধীন দেশে আমলাতন্ত্র বিদ্যমান এবং কার্যতঃ প্রধান আমলাদের ইচ্ছাই আইন, সেই সকল দেশে বেসরকারী কোন কোন লোক গণতন্ত্র শাসনপ্রণালী স্থাপনার্থ,অথবা পরাধীন দেশকে স্বাধীন করিবার নিমিত্ত, কিম্বা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত প্রতিহিংসার জন্য সরকারী লোকদিগকে হত্যা ব হত্যার চেষ্টা করিলে সরকারী লোকেরা তাহাকে টেররিজম বা ভয়োৎপাদন নীতি এবং যাহারা তাহাতে বিশ্বাস করে, তাহাদিগকে টেরারিষ্ট বা ভয়োৎপাদক বলিয়া থাকে। এইরূপ নামকরণ সত্যমূলক। কিন্তু ঐ সব সরকারী লোকের ভুলিয়া যায় কিম্বা ইচ্ছা করিয়াই এই সত্য গোপন করে, যে, পূৰ্ব্ববর্ণিত দেশসমূহে সরকারী লোকেরাও ভয়োৎপাদন নীতিতে বিশ্বাস করে এবং তাহারাও ভয়োৎপাদক। তাহারাও ভয়োৎপাদক বলিয়াই, ভারতবর্ষের সব প্রদেশে যেখানে গ্রেপ্তার করিলেই নিৰ্ব্বিবাদে অসহযোগীরা জেলে যাইত, সেখানেও লাঠি দ্বারা বেদম প্রহার চলিয়াছে ও প্রবাসী—পৌষ ১৩৩৭ SAAAAAA AAASA SAASAASSAAMMMASA SSASAS SSASAS SSAS SSAS SSAS [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড SA A ASJJMSMJJ SAAAAA SAAAAA AAAA SAA CS MSMASAJS গুলি বর্ষিত হইয়াছে এবং তাহাতে অনেক বেসরকারী লোক হত ও আহত হইয়াছে ; যেখানে রাজস্ব আদায়ের জন্য অসহযোগীদের তুল্যমূল্যের জিনিষ ক্রোক ও নিলাম করিলেই চলিত, সেখানে তাহাদের ঘরবাড়ী ধানের গোলা শস্যক্ষেত্র লুষ্ঠিত বা ভস্মীভূত হইয়াছে, যেখানে নারীদিগকে গ্রেপ্তার করিলেই চলিত সেখানে তাহাদিগকে তাহাদের বাড়ী হইতে দূরে অরক্ষিত অবস্থায় ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে বা প্রহার করা হইয়াছে ; যেখানে নারীদিগকে গ্রেপ্তার করিলেই চলিত সেখানে কোথাও কোথাও তাহাদের লজ্জাশীলতার হানি ও অন্ত অত্যাচার হইয়াছে, ইত্যাদি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতায় অজিতনাথের প্রাণবধ এবং ঢাকায় লোম্যান সাহেবের হত্যাকারীকে খুজিতে গিয়া মেডিক্যাল ছাত্রদের মেসে তাহাদিগকে গুরুতর প্রহার, টেররিজম ভিন্ন আর কিছুই নহে । এই-সব ব্যাপার মনে রাখিলে বুঝা যাইবে, টেরারিজমের আউটবাষ্ট বা হঠাৎ আবির্ভাব হয় নাই, গোল টেবিল বৈঠক আরম্ভ হইবার আগে হইতে সরকারী লোকদের দ্বারা ইহা চলিয়া আসিতেছে এবং গোল টেবিল বৈঠক আরম্ভ হইবার প্রাক্কাল হইতে এপর্য্যন্ত সরকারী লোকদের টেরাজিজম ভীষণতর আকার ধারণ করিয়াছে। অসহযোগ প্রচেষ্টার প্রবর্তৃক মহাত্মা গান্ধী ও তাহার দল বিশ্বাস করেন না, যে, সরকারী লোকদের ভয়োৎপাদন নীতির জবাব, প্রতিশোধ বা প্রতিকার স্বরূপ বেসরকারী লোকদেরও ভয়োৎপাদন নীতি অবলম্বন করা উচিত। র্তাহাদের বিশ্বাস ও আচরণ ঠিক ইহার বিপরীত। তাহারা কোন প্রকার প্রতিশোধ না দিয়া সকল অত্যাচার ও অপমান সহা করিতে প্রস্তুত এবং সহ্য করিতেছেন। ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদের প্রাণবধ করিয়া দেশকে স্বাধীন করিবার সম্ভাব্যতায় বা এরূপ কাজের ঔচিত্যে র্তাহারী বিশ্বাস করেন না, আমরাও করি না । এরূপ কাজ দ্বারা সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টারও বিশ্ন জন্মে। এবিষয়ে আগে আগে অনেক কথা লিথিয়াছি ; পুনরুক্তি অনাবশুক । গোল টেবিল বৈঠকটাকে আমরা একটা ফঁাদ ও প্রহসন মনে করি । তথাপি ইহা ঠিক, যে, যখন কতকগুলি